২১২ কোটি টাকা ছাড়িয়ে অজয়ের সিনেমার আয়
Published: 12th, May 2025 GMT
‘রেইড’ সিনেমার সিক্যুয়েল নিয়ে ফিরেছেন বলিউড অভিনেতা অজয় দেবগন। গত ১ মে ভারতের ৪ হাজার পর্দায় মুক্তি পেয়েছে ‘রেইড টু’।
এ সিনেমায় অজয়ের বিপরীতে অভিনয় করেছেন বাণী কাপুর। চলতি বছর এখন পর্যন্ত মুক্তিপ্রাপ্ত বলিউড সিনেমার মধ্যে প্রথম দিনে তৃতীয় সর্বোচ্চ আয় করেছে ‘রেইড টু’। এ তালিকার প্রথম ও দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ‘ছাবা’ (২৯ কোটি রুপি) ও ‘সিকান্দার’ (২৫ কোটি রুপি)।
২০১৮ সালে মুক্তি পায় ‘রেইড’ সিনেমা। সেই বছরের মুক্তিপ্রাপ্ত হিন্দি সিনেমার মধ্যে প্রথম দিনে তৃতীয় অবস্থানে ছিল সিনেমাটি। বক্স অফিসের সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে যাত্রা শুরু করেছে রাজ কুমার গুপ্তা নির্মিত এই সিনেমা। মুক্তির প্রথম চারদিন বক্স অফিসে ভালো সাড়া ফেলে। তবে সময়ের সঙ্গে এই আয় কমতে থাকে। তবে গতকাল সিনেমাটির আয় বেড়েছে।
আরো পড়ুন:
আমি কাঁদতে কাঁদতে খুশির ঘরে যাই, মায়ের মৃত্যু নিয়ে জাহ্নবী
মাকে নিয়ে বলিউডের আলোচিত পাঁচ সিনেমা
স্যাকনিল্কের তথ্য অনুসারে, মুক্তির প্রথম দিনে ‘রেইড টু’ সিনেমা ভারতে আয় করে ১৯.
সিনেমাটি শুধু ভারতে আয় করেছে ১২৯.৭ কোটি রুপি (গ্রস)। বিদেশে আয় করে ১৮.৫ কোটি রুপি। যার মোট আয় দাঁড়িয়েছে ১৪৮.২ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২১২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা)।
‘রেইড টু’ সিনেমার আইটেম গানে কোমর দুলিয়েছেন তামান্না ভাটিয়া। সিনেমা মুক্তির কয়েক দিন আগে টি-সিরিজের ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পায় ‘নাশা’ শিরোনামের গানটি। এতে কণ্ঠ দিয়েছেন— জেসমিন স্যান্ডলাস, সচেত ট্যান্ডন, দিব্যা কুমার, সুমন্ত মুখার্জি। বরাবরের মতো এ গানও দারুণ সাড়া ফেলেছে।
‘রেইড’ সিনেমায় অজয়ের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন ইলিয়ানা ডিক্রজ। তবে দ্বিতীয় পার্টে তার জায়গা নিয়েছেন বাণী কাপুর। ‘রেইড টু’ সিনেমায় আরো অভিনয় করেছেন— রীতেশ দেশমুখ, রজত কাপুর, সুপ্রিয়া পাঠক প্রমুখ। তাছাড়া সিনেমাটির বিশেষ চরিত্রে জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ ও হানি সিং অভিনয় করেছেন। ‘রেইড’ সিনেমার বাজেট ছিল ৭০ কোটি রুপি। সিক্যুয়েলে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২০ কোটি রুপিতে।
ঢাকা/শান্ত
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অজয় দ বগন ২৫ ক ট প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করছে
প্রযুক্তির উৎকর্ষের মধ্যেও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষেরা বিভিন্নভাবে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীকে প্রায়ই বিকৃতভাবে বা ভুলভাবে উপস্থাপন করছে। গুগলে ‘ইনডিজেনাস পিপল’ লিখে খোঁজা হলে মাঝেমধ্যে এমন ছবি দেখানো হয়, যা তাদের ‘আদিম’, ‘বন্য’, ‘বর্বর’, ‘জংলি’ ও ‘হিংস্র’ আকারে উপস্থাপন করে।
সোমবার রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় বক্তারা এমন অভিযোগ করেন। ‘আদিবাসী নারীর অধিকার রক্ষা ও ভবিষ্যৎ গড়ার লড়াইয়ে আধুনিক প্রযুক্তির ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্ক।
আলোচনা সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক ফাল্গুনী ত্রিপুরা। তিনি বলেন, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের ঘিরে এমন উপস্থাপনের প্রভাব নারীদের ওপরও পড়বে।
মানবাধিকারকর্মী খুশী কবির বলেন, দেশে জাতিসংঘের অনেকগুলো দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা হলেও আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালন করা হয় না। তিনি বলেন, বুঝুক আর না বুঝুক বাংলাদেশ জাতিসংঘের বিভিন্ন কনভেনশনকে তড়িঘড়ি করে সমর্থন করে। কিন্তু এই কনভেনশনকে সমর্থন করেনি। সরকার বুঝেশুনেই সমর্থন করেনি। আগের সরকার বলেছে, বাংলাদেশে আদিবাসী নেই, এই সরকারও আদিবাসীদের স্বীকৃতি দিচ্ছে না।
একটাই ধর্ম ও জাতিসত্তা থাকবে, এমন মনোভাব কাম্য নয় উল্লেখ করে এই মানবাধিকারকর্মী বলেন, ‘কিসের ভয়ে আমরা দেশে ভিন্ন ধর্ম, চিন্তা ও জাতিসত্তার মানুষকে থাকতে দেব না? কে অধিকার দিয়েছে যে একটি মাত্র মতবাদ, চিন্তা, ভাষা জাতি ও ধর্ম থাকবে? রাষ্ট্রের জন্য এটা কাম্য হতে পারে না।’
চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানে সমতল ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নারীদের উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখ করে খুশী কবির বলেন, অভ্যুত্থানের পরে আর নারীদের কোনো অংশগ্রহণ নেই। নারী কমিশন গঠন করা হয়। কিন্তু কমিশনের কোনো কিছু গ্রহণ করা হয়নি। এর অর্থ সরকার নারীদের ভয় পায়। এই অবস্থা টিকে থাকার জন্য অভ্যুত্থান হয়নি। তাই অধিকার আদায়ে নারীদের শক্ত ভূমিকা রাখতে হবে। এখনই উত্তম সময়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মানবাধিকারকর্মী খুশী কবির ছবি: প্রথম আলো হেডিং: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করছে