ভারতের সঙ্গে খেললে কোহলিকে মিস করবেন লিটন
Published: 12th, May 2025 GMT
ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণ টেস্টকে বিদায় জানিয়েছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ১০ হাজার রান থেকে একটু দূরে থাকা এই তারকা ক্রিকেটারের অবসর বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক লিটন দাসের কাছে আশ্চর্যের ছিল না।
“শকিং নিউজ না। এই অধিকার আছে যে কোন সময়টা তারা ক্রিকেট খেলবে, কোন সময়টা খেলবে না। সে যথেষ্ট ম্যাচিউরড। আমার বলার থেকে তার সিদ্ধান্তকে আমার প্রাধান্য দেওয়া উচিত। তার সিদ্ধান্তকে আমি সম্মান জানাই।”
সোমবার (১২ মে) মিরপুর শের-ই-বাংলায় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন লিটন। কোহলির টেস্ট ক্রিকেট ছাড়া নিয়ে বেশ কয়েকটি প্রশ্নের মুখোমুখি হন তিনি।
আরো পড়ুন:
শুধু সিরিজ নয়, লিটনের লক্ষ্য অনেক বড়
২৪ ইনিংসে মাত্র ১ ফিফটি, তবুও বিশ্বকাপ পর্যন্ত লিটন অধিনায়ক?
ভারতের সঙ্গে খেলা হলে কোহলিকে মিস করবেন বলেও জানিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, “একটা সময় তো প্রতিটা খেলোয়াড়ের অবসরে যেতে হয়, কিন্তু যদি আমি কখনো ভারতের সঙ্গে খেলি, আমি অবশ্যই মিস করবো আমি যেহেতু অনেকদিন খেলেছি।’’
কোহলির সঙ্গে লিটনের অনেক কথাই হয়। তার মতে মাঠে কোহলি যেমন ক্ষ্যাপাটে মাঠের বাইরে ততটা শান্ত, “মেমরি বলতে প্লেয়ারদের সঙ্গে কথোপকথন হয়। সে অনেক জেন্টাল। মাঠের মধ্যে অনেক সময় দেখা যায় অনেক এগ্রেশন দেখায়। শুধু ক্রিকেটের জন্যই করে। মাঠের বাইরে অনেক ভালো একজন মানুষ। মাঠের বাইরে অনেক কথোপকথনই হয়েছে।’’
শুধু তাই নয় লিটন মনে করেন কোহলি টেস্ট ক্রিকেটের অ্যাগ্রেশন পরিবর্তন করে দিয়েছেন, “সে যা করছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটে, শুধু ভারতের জন্য না। ওভারঅল টেস্ট ফরম্যাটের এগ্রেশন চেঞ্জ করছে কিন্তু অনেকখানি। তার এটিচিউড বলেন, তার ক্রিকেটের নলেজ বলেন। এরকম একটা খেলোয়াড় টেস্ট ক্রিকেট খেলবে না।’’
ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আওয়ামী লীগ আমলে ওসি থাকা ৯ পুলিশ পরিদর্শককে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার
পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) পদমর্যাদার ৯ জন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। বিগত সরকারের সময় তাঁরা বিভিন্ন থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আজ রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নাসিমুল গনি এসব প্রজ্ঞাপনে সই করেছেন।
অবসরে পাঠানো কর্মকর্তারা হলেন বগুড়ার এপিবিএন ৪–এর পুলিশ পরিদর্শক শিকদার মো. শামীম হোসেন, সিআইডি কন্ট্রোল রুমের পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল লতিফ, নারায়ণগঞ্জ জেলার রিজার্ভ অফিসের পুলিশ পরিদর্শক এস এম কামরুজ্জামান, সিআইডি নরসিংদীর পুলিশ পরিদর্শক আ. কুদ্দুছ ফকির, ট্যুরিস্ট পুলিশের মুন্সিগঞ্জ ও পদ্মা সেতু জোনের পরিদর্শক মামুন অর রশিদ, সিআইডির মৌলভীবাজারের পুলিশ পরিদর্শক নুরুল ইসলাম, নৌ পুলিশে কর্মরত যমুনা সেতু-পূর্ব নৌ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. কামাল হোসেন, কুলাউড়া রেলওয়ে থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. সেলিমুজ্জামান এবং টাঙ্গাইলের মধুপুর সার্কেল অফিসের পুলিশ পরিদর্শক আবু বকর সিদ্দিক।
৯ জনকেই সরকারি চাকরি আইনের ৪৫ ধারার বিধান অনুযায়ী অবসরে পাঠানো হয়। আইনের ওই ধারায় বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মচারীর চাকরির মেয়াদ ২৫ বছর পূর্ণ হওয়ার পর যেকোনো সময় সরকার জনস্বার্থে প্রয়োজন মনে করলে কোনো কারণ না দর্শিয়ে তাঁকে চাকরি থেকে অবসর দিতে পারবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি চাকরি আইনের বিধান অনুযায়ী জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে অবসর প্রদান করা হলো। বিধি অনুযায়ী তাঁরা অবসরজনিত সুবিধা পাবেন। জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
ডিএমপির সাবেক উপকমিশনার কাজী মনিরুজ্জামান সাময়িক বরখাস্ত
অসদাচরণ ও পলায়নের মতো শাস্তিযোগ্য অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক উপকমিশনার কাজী মনিরুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। শিগগিরই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে যাচ্ছে।
সূত্র জানিয়েছে, ডিএমপির সাবেক উপকমিশনার কাজী মনিরুজ্জামান বর্তমানে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত রয়েছেন। তিনি বিনা অনুমতিতে গত বছরের ২৫ নভেম্বর থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। যার ফলে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী অসদাচরণ ও পলায়নের শাস্তিযোগ্য অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ায় তাঁকে ওই তারিখ থেকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হচ্ছে। তবে সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি খোরপোশ ভাতা পাবেন।