আজমিরীগঞ্জে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫০
Published: 13th, May 2025 GMT
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) সকালে আজমিরীগঞ্জ উপজেলার জলসুখা গ্রামে সংঘর্ষ হয়। পুলিশ জানায়, ওই গ্রামের ডা.
আহতদের মধ্যে সাইকুল বেগম (৫০), জিয়াউর রহমান (৩৫), তকদির মিয়া (৪২), ইমন (২২), নাইম মিয়া (২৪), শামীম মিয়া (১৯), মছদ উল্লা (৬০), জয় (২০), মুসকুদ উল্লা (৫০), আলী নুর (১৪), ফয়সলকে (১৪) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে ডিপ্লোমা-বিএসসি নার্সিং শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, আহত ১০
মাদারীপুরে বিএনপির দু’পক্ষে সংঘর্ষ, বোমা বিস্ফোরণ
ডা. রেজাউল করিম বলেন, ‘‘কিছুদিন আগে প্রতিপক্ষরা আমার উপর হামলা করে। এ ঘটনায় আমি একটি মামলা দায়ের করি। সোমবার ওই মামলায় পুলিশ আসামি ধরতে গ্রামে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন আমাদের লোকজনকে মারধর করে। মঙ্গলবারও তারা আমাদের লোকজনের উপর হামলা করলে এলাকার অধিকাংশ লোকজন একত্রিত হয়ে তা প্রতিহত করে।’’
ফয়েজ আহমেদ খেলুর পক্ষের সাবেক ইউপি সদস্য লিবাছ মিয়া অভিযোগ করেন, ‘‘ডা. রেজাউলের লোকজন আমাদের পক্ষের এক নারীকে রাস্তায় একা পেয়ে মারপিট করে। এরই জের ধরে সংঘর্ষ হয়েছে। প্রতিপক্ষরা আমাদের বেশ কয়েকটি বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর করেছে।’’
আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। ফের সংঘর্ষ এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
ঢাকা/মামুন/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ র ল কজন র আম দ র স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে জুলাই শহীদ স্মৃতি সম্মাননা ও আহতদের সংবর্ধনা
চট্টগ্রামে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি সম্মাননা ও আহতদের সংবর্ধনা’ দিয়েছে সন্তান ও অভিভাবক ফোরাম। আজ রোববার বিকেল ৩টার দিকে থিয়েটার ইন্সটিটিউটে জুলাই আন্দোলনে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ২৮ জুলাই শহীদ পরিবারের হাতে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি সম্মাননা স্মারক’ এবং আহত ১০০ জনকে ‘জুলাই যোদ্ধা সম্মাননা স্মারক’ প্রদান করা হয়।
অধ্যাপক ডা. মো. আব্বাস উদ্দিন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহদাত হোসেন। অনুষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-জনতা, শহীদদের পরিবার, আন্দোলনকারী ও নাগরিক সমাজের বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি ডা. শাহাদাত হোসেন সন্তান ও অভিভাবক ফোরামকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে স্বৈরাচারী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করতে হবে। নিজেদের মধ্যে বিভক্তি এড়িয়ে সুন্দর বাংলাদেশে গড়ার অনুরোধ জানান তিনি।
জুলাই শহীদ পরিবার সোসাইটির চেয়ারম্যান গোলাম রহমান আন্দোলনে শহীদ ছেলে নাফিজকে স্মরণ করেন। তিনি ছেলে হত্যার বিচারে অগ্রগতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন। এর জন্য সরকারকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্য আন্দোলন গড়ে তোলাও আহ্বান জানান তিনি।
জুলাই যোদ্ধা সাইফুদ্দিন এমদাদ গণহত্যাকারী সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার ও নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি তাদের সহায়তাকারীদেরও বিচারের দাবি জানান।
হাসান আলী ১০ মাসেও ছেলে শহীদ আলভীর বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতি না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন। বিচার নিয়ে প্রহসন না করার আহবান জানান তিনি।
শহীদ ইমামের ভাই রবিউল আউয়াল ভুঁইয়া সুবিচার না পাওয়া পর্যন্ত জোর আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
শহীদ সৈকতের বোন শারমিন আফরোজ সেবন্তি জুলাই’২৪ এর আন্দোলনে এলোপাতাড়ি গুলি, হাত-পা হারানো অসংখ্য যোদ্ধা, বাবা-মায়ের অসহায়ত্ব তুলে ধরেন।গণহত্যাকারী দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে সরকারের গড়িমসি ও চালাকি করছে বলেও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
জুলাই যোদ্ধা ডা. জুনায়েদ রায়হান বলেন, আওয়ামী লীগের বিচার এখনও না হওয়ায় হতাশা হয়েছি।
জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ফারহান ফাইয়াজের বাবা শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘প্রতি মাসের ১৮ তারিখ আমাদের জন্য বেদনাদায়ক। এ তারিখে হৃদয়ের রক্তক্ষরণ বেড়ে যায়।’
শহীদ আহনাফের মা জারতাজ পারভীন বলেন, ‘আমার সন্তানের হত্যাকারীরা এখনও বাইরে। তারা কার মদদে এখনও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে? তারা কীভাবে এখনও দেশের বাইরে যাচ্ছে?’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন শহীদ ওয়াসিমের বাবা শফি আলম, শহীদ শ্রাবণের বাবা নেসার আহমেদ, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল করিম কচি, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শাহ নেওয়াজ, চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ভিসি অধ্যাপক এস এম নসরুল কদির, সন্তান ও অভিভাবক ফোরামের সমন্বয়ক ডা. শাকিল আরিফ চৌধুরী, ডা. দলিলুর রহমান, আহত যোদ্ধা আরিফুল ইসলাম ফরহাদ, জিসান প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডা. ইশরাত জাহান।