চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপি নেতা রিয়াদ আটক, দল থেকে বহিষ্কার
Published: 15th, May 2025 GMT
চাঁদাবাজির অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরআগে একই অভিযোগে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ফতুল্লার এক ডাইং মালিককে চাঁদার দাবিতে ফ্যাক্টরি পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী। ওই হুমকির অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার। তিনি বলেন, চাঁদাবাজির মামলায় ঢাকা বিমানবন্দর থেকে বিমানবন্দর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। রিয়াদকে নারায়ণগঞ্জে আনার প্রক্রিয়া চলছে। তাকে আনতে জেলা পুলিশের একটি দলকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজি মামলা প্রক্রিয়াধীন। এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।
অন্যদিকে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ এবং দলের নীতি, আদর্শ ও সংহতি পরিপন্থী অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগে রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীকে বহিষ্কার করা হয় বলে জানান রিজভী।
এর আগে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ‘আজাদ ডাইং’ এর মালিক আজাদ হোসেনের কাছে চাঁদার দাবিতে ফোন দেয় রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী। একপর্যায়ে রিয়াদ ডাইং পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেন। ওই ফোনকল রেকর্ডটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোচনা তৈরি হয়।
রিয়াদকে গ্রেপ্তার ও বহিষ্কারের ব্যাপারে কথা বলতে আজাদ ডাইংয়ের মালিক আজাদ হোসেনকে ফোন করলে তিনি ‘ব্যস্ত আছেন’ বলে জানান।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ র য় দ ম হ ম মদ চ ধ র ক ন র য়ণগঞ জ ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের হেনস্তার ঘটনায় মামলা
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আতাউর রহমান মুকুলের উপর হামলা চালিয়ে হেনস্তা করার ঘটনায় বন্দর থানায় মামলা হয়েছে।
হামলার সময় মুকুলের সঙ্গে থাকা মোস্তাকুর রহমান বাদী হয়ে রবিবার (২৯ জুন) রাতে ডন বজলুকে প্রধান আসামি করে ১৮ জনের নাম উল্লেখ ও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, মৃত আলী মিয়ার ছেলে রাসেল (৪৪), আলী আক্কাস মিয়ার ছেলে কামাল ওরফে কেরা কামাল (৪৪), ফজলুর রহমানের ছেলে গোলজার (৪৮), কাশেম মিয়ার ছেলে নাদিম (৩৮), মৃত আবুল বাশারের ছেলে আব্দুল করিম নোমান (৩৫), মৃত আক্তার হোসেনের ছেলে আকাশ (২৫), মৃত সিরাজ উদ্দিন মিয়ার দুই ছেলে সেলিম (৪৫) ও শামীম (৪২), মৃত মগবুল হোসেনের ছেলে শাহাজালাল (৪০), মৃত ছালিম উদ্দিন মিয়ার ছেলে হযরত আলী (৫৬), রফিক মিয়ার ছেলে রাজ মিয়া (৫৫), সাদেক আলী ছেলে সাইদুর ওরফে সাইফুল (৪৪), মৃত লতিফ মিয়ার ছেলে হানিফ (৪২), ফজলুর রহমানের ছেলে আক্তার (৪৫), মিছির আলী ছেলে ইসমাঈল (৫৮), বশির উদ্দিন মিয়ার ছেলে খালেক (৫৮) ও একই এলাকার আলী আক্কাস (৩৬)।
আরো পড়ুন:
লক্ষ্মীপুরে বাবাকে হত্যার অভিযোগে ছেলে গ্রেপ্তার
আবু সাঈদ হত্যা: ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ
মামলার এজাহারের সূত্রে জানা যায়, আসামিরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মোস্তাকুর রহমান ও আতাউর রহমান মুকুলের কাছে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাদের গাড়ি থেকে টেনে নামিয়ে আনেন। তারা মুকুলকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম করেন। মারতে মারতে এক সময় তার পাঞ্জাবি ও পায়জামা ছিড়ে ফেলেন। পরে পুলিশের সহায়তায় লোকজন তাকে উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলী জানান, মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ঢাকা/অনিক/বকুল