পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ  সমতলের চেয়ে জীবন-জীবিকার ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। আমরা তাদের জীবন-জীবিকার মানোন্নয়ন ঘটাতে চাই। এখানকার হর্টিকালচার ও কানাই হ্রদের মৎস্য সম্পদকে কাজে লাগিয়ে এটা করতে হবে। 

শুক্রবার তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক কনফারেন্স অ্যান্ড বায়োসায়েন্স কার্নিভালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্স হল রুমে এ কার্নিভালের আয়োজন করে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। 

সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি-বাঙালি একসঙ্গে থাকবে। এ অঞ্চলের মানুষ বিচ্ছিন্ন নয়। তারা একসঙ্গে রয়েছে, একসঙ্গেই থাকবে। 

কার্নিভালের উদ্বোধন করেন রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড.

আতিকুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউজিসির সদস্য ড. সাইদুর রহমান, বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ডা. শাইনুল আলম এবং ময়মনসিংহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশবিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. আনোয়ারুল আজিম আখন্দ। বক্তব্য দেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার, কৃষান ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. আবেদ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসি বিভাগের প্রধান ড. মনিরা আহসান প্রমুখ। 

এ ছাড়া বক্তব্য দেন রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. নিখিল চাকমা ও রাকিবুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে ৩৫০ জনের বেশি নবীন-প্রবীণ বিজ্ঞানী, গবেষক ও শিক্ষক অংশ নিয়েছেন। 

বায়োসায়েন্স কার্নিভালের মূল উদ্দেশ্য এমন একটি প্রজন্ম তৈরি করা, যারা বিজ্ঞান নিয়ে চিন্তা করবেন। দেশের সমস্যা নিজ চিন্তাধারা ও উদ্ভাবিত শক্তি দিয়ে সমাধান করবেন। একই সঙ্গে তারা এসব উদ্ভাবন আন্তর্জাতিক ও দেশীয়ভাবে পরিচিত করবেন। এ কনফারেন্সের মাধ্যমে সায়েন্স পলিসি ডায়ালগে বিজ্ঞান গবেষণায় রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা, দেশের বহুমাত্রিক উন্নয়ন এবং সমস্যা সমাধানে প্রায়োগিক গবেষণার প্রসার ও গবেষণায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরাসরি সম্পৃক্তকরণ বিষয়ে মতামত ও সুপারিশ প্রদান করা হবে। নবীন বিজ্ঞানীরা তাদের নতুন গবেষণাপত্র উপস্থাপন করবেন। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: করব ন

এছাড়াও পড়ুন:

একসঙ্গে চার রায়ান, এমন খেলোয়াড় বদল আগে দেখেছে কি ফুটবল

ঘটনাটি গত শনিবারের। ইংলিশ ফুটবলের দ্বিতীয় স্তর চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে লড়াই করছিল সাউদাম্পটন ও রেক্সহাম। প্রিমিয়ার লিগ থেকে নেমে যাওয়া সাউদাম্পটন ও লিগ ওয়ান থেকে উঠে আসা রেক্সহামের ম্যাচটির বয়স যখন ৭২ মিনিট, দুই দলই দুজন করে খেলোয়াড় বদলি করার সিদ্ধান্ত নিল। একসঙ্গে এত খেলোয়াড় বদল করাটা নতুন কিছু নয়। তবে সাউদাম্পটন ও রেক্সহাম যাঁদের অদলবদল করল, তাঁদের নামগুলোই ওই সময়কে একটু আলাদা করেছে। অদলবদল হওয়া আট খেলোয়াড়ের চারজনের নামের প্রথম অংশই যে ছিল ‘রায়ান’! চতুর্থ রেফারির কাছের সাইডলাইন তখন পুরোপুরিই রায়ানময়।

সবার আগে আসে রায়ান ম্যানিংয়ের নাম। মিডফিল্ডার ওয়েলিংটনকে উঠিয়ে এই ডিফেন্ডারকে মাঠে নামায় সাউদাম্পটন। রায়ান নামের কারও নাম আসেনি ওই সাউদাম্পটনের দ্বিতীয় বদলিতে। মিডফিল্ডার ফ্লিন ডাউনসের বদলে নামেন স্ট্রাইকার ক্যামেরন আর্চার।

তৃতীয় বদলটি করে রেক্সহাম। স্ট্রাইকার জশ উইন্ডাসকে উঠিয়ে আরেক স্ট্রাইকার রায়ান হার্ডিকে নামায় তারা। সর্বশেষ অদলবদলের দুই খেলোয়াড়ের নামই ছিল রায়ান, দুজনই রেক্সহামের মিডফিল্ডার। রায়ান বারনেটের বদলে নামেন রায়ান লংম্যান।

রায়ানদের ম্যাচটি ২-১ গোলে জিতেছে সাউদাম্পন।

আরও পড়ুনরোবটদের গেমসে রোবটের মার্চপাস্ট, রোবটের ফুটবল, রোবটের দৌড়...৮ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন একসঙ্গে এগিয়ে নিতে হবে: সাকি
  • দেশে সবার অধিকার সমান, এই দেশ সবার: সেনাপ্রধান
  • পাকিস্তানকে মোদি: রক্ত আর জল একসঙ্গে বইতে পারে না
  • একসঙ্গে চার রায়ান, এমন খেলোয়াড় বদল আগে দেখেছে কি ফুটবল