আইপিএলে মোস্তাফিজের সেরা ৫ পারফরম্যান্স
Published: 18th, May 2025 GMT
২০১৫ সালে জাতীয় দলে অভিষেকেই চমক। পরের বছরই আইপিএল থেকে ডাক। মোস্তাফিজুর রহমানের আইপিএল অভিষেকও হয়েছিল স্বপ্নের মতো। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে প্রথম মৌসুমেই ১৬ ম্যাচে ১৭ উইকেট, ইকোনমি মাত্র ৬.৯০! সেবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে টুর্নামেন্ট জেতাতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখেন মোস্তাফিজ।
এরপর দল বদলেছেন কয়েকবার। সাকিব আল হাসানের মতো মোস্তাফিজও হয়ে ওঠেন আইপিএলে বাংলাদেশের মুখ। তবে এবার মনে হচ্ছিল আর বুঝি আইপিএল খেলা হবে না মোস্তাফিজের। কিন্তু শেষদিকে এসে ভারত-পাকিস্তান সংঘাত পরিস্থিতি, অনেক বিদেশি ক্রিকেটারের ভারত ছেড়ে যাওয়া, সব মিলিয়ে হঠাৎ করেই সুযোগ চলে আসে মোস্তাফিজের সামনে। ডাক পান দিল্লি ক্যাপিটালসে।
এরই মধ্যে মোস্তাফিজকে ছাড়পত্রও দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি), ১৮ থেকে ২৪ মে পর্যন্ত আইপিএল খেলবেন তিনি। বিসিবি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সংযুক্ত আরব-আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের শুধু প্রথমটিতেই মোস্তাফিজকে পাওয়া যাবে।
আইপিএলে দিল্লির ম্যাচ বাকি এখনো তিনটি। ১১ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার ৫ নম্বরে থাকা দিল্লির প্লে-অফে খেলার সম্ভাবনা বেশ ভালোভাবেই আছে। এই তিন ম্যাচে মোস্তাফিজ খেলেন কি না, খেললে কেমন করেন, সেটা দেখার অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। সেই অপেক্ষায় থাকতে থাকতে ফিরে দেখা যাক, আইপিএলে মোস্তাফিজের স্মরণীয় পাঁচটি ম্যাচ:
৪/২৯: চেন্নাই সুপার কিংস-রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, ২০২৪১৭তম আইপিএল মৌসুমের প্রথম ম্যাচ, মঞ্চ চেন্নাইয়ের চিপক স্টেডিয়াম। একদিকে চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই, অন্যদিকে ফাফ ডু প্লেসির বেঙ্গালুরু। মোস্তাফিজ বল হাতে পেলেন পঞ্চম ওভারে। প্রথম বলেই কাভারের ওপর দিয়ে মেরে দেন ফাফ, কিন্তু পরের বলেই কাটারে ধরা খেলেন। ধীরে আসা বল বুঝতে না পেরে শট মিস করে ফেলেন—ডিপ পয়েন্টে ক্যাচ।
পরের উইকেট রজত পাতিদারের—ব্যাটের কানায় বল লেগে যায় ধোনির গ্লাভসে। এরপর ১২তম ওভারে বিরাট কোহলিকে ফেরানোর পরের বলেই ক্যামেরন গ্রিনকে বোল্ড! শেষ দুই ওভারে কিছু রান দিলেও আসল কাজটা করে ফেলেছিলেন আগেই। ম্যাচসেরার পুরস্কার ওঠে বাঁহাতি পেসারের হাতেই।
বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ৪ উইকেটের ম্যাচে স্বীকৃতি।.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মেসি-সুয়ারেজদের হারিয়ে প্লে’অফে শিকাগো ফায়ার
দীর্ঘ আট বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে প্লে-অফে জায়গা করে নিল শিকাগো ফায়ার এফসি। বাংলাদেশ সময় বুধবার (০১ অক্টোবর) সকালে দারুণ গোল উৎসবের ম্যাচে ইন্টার মায়ামিকে ৫-৩ গোলে হারিয়ে নিশ্চিত করল তারা ২০১৭ সালের পর প্রথম প্লে-অফ।
শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে শিকাগো। ম্যাচের ১১তম মিনিটেই জ্বলে ওঠেন জে দ’আভিলা। তিনি চমৎকার এক হেডারে এগিয়ে দেন দলকে। এরপর ৩১ মিনিটে দ্রুতগতির পাল্টা আক্রমণ থেকে গোল করেন জনাথন ডিন। ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে একসময় চাপে পড়ে যায় মায়ামি।
আরো পড়ুন:
এমবাপ্পের হ্যাটট্রিকে রিয়ালের বড় জয়
বুসকেটসের অবসর ঘোষণা: এক নিঃশব্দ শিল্পীর শেষ অধ্যায়
তবে ৩৯ মিনিটে টমাস আভিলেস গোল করে ব্যবধান কমান। কিন্তু বিরতিতে যাওয়ার আগেই রোমিং কুওমে গোল করে আবারও দুই গোলে এগিয়ে দেন শিকাগোকে।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে মায়ামি পুরোপুরি ভরসা রাখে লুইস সুয়ারেজের অভিজ্ঞতায়। ৫৭ মিনিটে তার গোলেই ব্যবধান দাঁড়ায় ৩-২। এরপর জর্ডি আলবার দুর্দান্ত পাস থেকে ৭৪ মিনিটে সমতায় ফেরান উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার। ম্যাচ তখন দাঁড়িয়ে যায় ৩-৩ এ, আর মনে হচ্ছিল খেলা একেবারেই মায়ামির দিকে হেলে পড়ছে।
কিন্তু শেষ মুহূর্তে নতুন নাটক লিখে শিকাগো। ৮০ মিনিটে জাস্টিন রেইনল্ডস গোল করে আবারও এগিয়ে দেন দলকে। মাত্র তিন মিনিট পর দূরপাল্লার ঝড়ো শটে ব্রায়ান গুতিয়েরেজ নিশ্চিত করেন শিকাগোর স্মরণীয় জয়।
এই জয়ে এমএলএস টেবিলে অষ্টম স্থানে উঠে এসেছে শিকাগো (১৫ জয়, ৬ ড্র, ১১ হার)। অন্যদিকে লিওনেল মেসির মায়ামি (১৬ জয়, ৮ ড্র, ৭ হার) যদিও আগেই প্লে-অফ নিশ্চিত করে রেখেছে। তবে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে গোলশূন্য থাকলেন আর্জেন্টাইন তারকা। আর এই হারের ফলে সাপোর্টার্স শিল্ড জয়ের লড়াইয়ে বড় ধাক্কা খেল মায়ামি। এখন শুধু জয় পেলেই শিরোপা নিশ্চিত করতে পারবে ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়ন।
উল্লেখ্য, ম্যাচটি মূলত হওয়ার কথা ছিল ৩০ আগস্টে, কিন্তু লিগস কাপ ফাইনাল খেলতে গিয়ে মায়ামির কারণে তা পিছিয়ে যায়। সেই ম্যাচে সিয়াটলের কাছে ৩-০ গোলে হেরেছিল তারা।
ঢাকা/আমিনুল