তিন উপদেষ্টার নিয়োগ নিয়ে আমিনুলের ব্যাখ্যা
Published: 20th, June 2025 GMT
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সবশেষ বোর্ড সভায় তিনজন উপদেষ্টাকে নিয়োগ দিয়েছে। কিন্তু উপদেষ্টা নিয়োগের প্রক্রিয়া মানা হয়নি বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুসারে। বিসিবি জানিয়েছে, সাখাওয়াত হোসেনকে ক্রিকেট টুরিজম উপদেষ্টা, ব্যারিস্টার শেখ মাহাদি হাসানকে আইনি উপদেষ্টা ও সৈয়দ আবিদ হোসেন সামিকে ক্রিকেট উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুসারে সভাপতি সর্বোচ্চ পাঁচ সদস্যের একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠন করতে পারেন। কিন্তু উপদেষ্টা হতে হবে ‘দেশের খ্যাতনামা ক্রিকেটার/প্রখ্যাত ক্রিকেট সংগঠকদের’ কেউ। যে তিন উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তারা কেউই ক্রিকেটার বা সংগঠক নন।
কোন প্রক্রিয়ায় তারা নিয়োগ পেয়েছে সেটা নিয়েই উঠেছে বিরাট প্রশ্ন। কোনো পারিশ্রমিক কিংবা নির্দিষ্ট টাইম ফ্রেমে তারা কাজ করবেন না। তারপরও তাদের নিয়োগ যথাযথ প্রক্রিয়ায় হয়নি। বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ধারনা দিলেন, তাদের নিয়োগ গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ‘অ্যাডজাস্ট’ করবেন তিনি। এজন্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সঙ্গেও কথা বলবেন।
আরো পড়ুন:
হান্নান এবার বিসিবির কোচিংয়ে
এইচপি স্কোয়াডে মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের ছেলে সানদিদ
গণমাধ্যমে আমিনুল ইসলাম বলেছেন, ‘‘চলার পথে যত আইনি সহায়তার প্রয়োজন, সেজন্য ব্যারিস্টার মাহাদিকে আইন উপদেষ্টা হিসেবে নেওয়া হয়েছে। ক্রিকেটের মানুষ হওয়াতে আইনগত অনেক কিছু জানা নেই। উনার পরামর্শে আইনি বিষয়গুলো সামলাবে বিসিবি।’’
ক্রিকেট উপদেষ্টা হিসেবে সামির নিয়োগ দিয়ে আমিনুলের দাবি, ‘‘ক্রিকেটে এখন অনেক ব্যাপার চলে এসেছে। ডিজিটালাইজেশন বলুন, স্ট্রিমিং বলুন, সামাজিক মাধ্যম সামলানো, এরপর আমরা যেহেতু তৃণমূলে যাচ্ছি, তাদেকে আমরা কীভাবে সম্পৃক্ত করব, করার পর তাদেরকে কীভাবে গড়ে তুলব, এজন্য আমাদের সাপোর্ট দরকার। তাকে আমরা ওই কাজগুলিতে ব্যবহার করব।’’
ট্যুরিজম উপদেষ্টা ক্রিকেটের মাধ্যমে দেশের পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরবে বলে আশাবাদী আমিনুল, ‘‘বাংলাদেশের ট্যুরিজম ও হোটেল ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি এখন নাম্বার ওয়ান। আমাদের কক্সবাজার ভেন্যু, সিলেট ভেন্যু, এছাড়াও ঢাকায় যখন খেলা হয়, দ্বিপাক্ষিক সিরিজের পাশাপাশি ২০২৭ সালে মেয়েদের অনূধর্ব-১৯ বিশ্বকাপ আছে এখানে, সে বছর এশিয়া কাপ আছে, ২০৩১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ আছে, এই ধরনের সব ইভেন্ট ধরে যেন তাকে আমরা কাজে লাগাতে পারি।’’
সাবেক বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদও তিনজন উপদেষ্টাকে নিয়োগ দিয়েছিলেন বলে দাবি করলেন আমিনুল। তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি বলে সমালোচনাও হয়নি। আমিনুলের দাবি, আইন উপদেষ্টা বাদে বাকি দুজনের পরামর্শ বোর্ড চাইলে গ্রহণ করবে। নয়তো তারা কেউই নিজের ইচ্ছাতে বোর্ডকে কোনো পরামর্শ দেবেন না।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন উপদ ষ ট আম ন ল
এছাড়াও পড়ুন:
রোববার নিবন্ধনের আবেদন জমা দেবে এনসিপি
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন গ্রহণের শেষ দিন ২২ জুন (রোববার)। শেষ দিনেই ইসিতে নিবন্ধনের আবেদন জমা দেবে দলটি। এখন চলছে দলটির শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
ইসিতে নিবন্ধনের জন্য কোনো দলের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সক্রিয় কেন্দ্রীয় অফিস থাকা, অনূর্ধ্ব এক-তৃতীয়াংশ প্রশাসনিক জেলায় জেলা অফিস এবং অন্যূন ১০০টি উপজেলা বা ক্ষেত্রমতে মেট্রোপলিটন থানায় অফিস (যার প্রতিটিতে সদস্য হিসেবে ন্যূনতম ২০০ ভোটার তালিকাভুক্ত হতে হবে) থাকার শর্ত পূরণ করতে হয়। পাশাপাশি দলের গঠনতন্ত্রে কিছু বিষয় উল্লেখ থাকতে হয়।
১ জুন ঢাকা মহানগর উত্তরে সমন্বয় কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে জেলা–উপজেলা পর্যায়ে এনসিপির কমিটি গঠন শুরু হয়। গতকাল বুধবার পর্যন্ত দেশের ৩৩টি জেলা ও ১২৭টি উপজেলায় সমন্বয় কমিটি করেছে এনসিপি। এই কমিটিগুলোর মাধ্যমে পরে জেলা–উপজেলা পর্যায়ে দলটির আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হবে। অবশ্য দলের গঠনতন্ত্র এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
খসড়া গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, দলের শীর্ষ নেতা হিসেবে কেউ তিন মেয়াদের বেশি থাকতে পারবেন না। দলীয় প্রধানকে তিন বছর পরপর কাউন্সিলের মাধ্যমে নির্বাচিত হতে হবে।কমিটি গঠনের পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দলীয় কার্যালয়ও স্থাপন করছে এনসিপি। এ ছাড়া জেলা–উপজেলা পর্যায়ে সদস্য ফরমও পাঠানো হয়েছে। এখন জেলা–উপজেলা পর্যায় থেকে দলীয় কার্যালয়ের চুক্তিপত্র, কমিটির সদস্যদের জাতীয় পরিচয়পত্র, পূরণকৃত সদস্য ফরমসহ বিভিন্ন তথ্য কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠাচ্ছেন নেতা–কর্মীরা। ইসিতে জমা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে এগুলো যাচাই–বাছাই করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে খসড়া গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করেছে এনসিপি। ১৯৪৭, ১৯৭১ ও ২০২৪—এই তিন ঐতিহাসিক ঘটনার সমন্বয়ে একটি গণতান্ত্রিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও স্বনির্ভর রাষ্ট্র গঠন করতে চায় এনসিপি। তাদের লক্ষ্য দেশে আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা। পাশাপাশি তারুণ্যনির্ভর বিকেন্দ্রীভূত গভর্ন্যান্সের (শাসন) মাধ্যমে তারা একটি ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়তে চায়।
খসড়া গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, দলের শীর্ষ নেতা হিসেবে কেউ তিন মেয়াদের বেশি থাকতে পারবেন না। দলীয় প্রধানকে তিন বছর পরপর কাউন্সিলের মাধ্যমে নির্বাচিত হতে হবে।
১৯৪৭, ১৯৭১ ও ২০২৪—এই তিন ঐতিহাসিক ঘটনার সমন্বয়ে একটি গণতান্ত্রিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও স্বনির্ভর রাষ্ট্র গঠন করতে চায় এনসিপি। তাদের লক্ষ্য দেশে আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা। পাশাপাশি তারুণ্যনির্ভর বিকেন্দ্রীভূত গভর্ন্যান্সের (শাসন) মাধ্যমে তারা একটি ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়তে চায়।আগামী রোববার নিবন্ধনের আবেদনের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই দলীয় গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত করবে এনসিপি। সেই লক্ষ্যে আগামীকাল শুক্রবার রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সাধারণ সভা হতে যাচ্ছে।
ওই সভায় এনসিপির গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত করা হবে বলে গতকাল বুধবার প্রথম আলোকে জানিয়েছেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব। মাঝে দুই দিন (শুক্র ও শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় শেষ দিনে (রোববার) ইসিতে এনসিপির পক্ষ থেকে ইসিতে নিবন্ধনের আবেদন জমা দেওয়া হতে পারে বলেও জানান তিনি।