আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসির বিরুদ্ধে জাতিসংঘের মহাসচিব ও নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেছে ইরান। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির বিষয়ে গ্রোসির দৃষ্টিভঙ্গি এবং ইসরায়েলের সামরিক পদক্ষেপের নিন্দা জানাতে ‘ব্যর্থতার’ অভিযোগ এনেছে তেহরান।

শনিবার (২১ জুন) ইরানের সংবাদমাধ্যম ফার্স নিউজের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিতক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার লাইভ খবরে এ তথ্য জানানো হয়। 

এর আগে ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান মোহাম্মদ ইসলামি গত বৃহস্পতিবার গ্রোসির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের হুমকি দিয়েছিলেন। তার অভিযোগ, ইরানি পরমাণু স্থাপনাগুলোতে ইসরায়েলি হামলার সময় গ্রোসি ‘নিষ্ক্রিয়’ ছিলেন।

আরো পড়ুন:

ইসরায়েলের ওপর নতুন হামলার বিস্তারিত জানাল ইরান

এক্সপ্লেইনার: ইরানে হামলার ‘ইসরায়েলি বাহানা’ আন্তর্জাতিক আইনে ‘অবৈধ’

জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত আমির-সাঈদ ইরাভানি গ্রোসির ‘ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কার্যক্রমের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি’ এবং ইসরায়েলের সামরিক পদক্ষেপের নিন্দা জানাতে ‘ব্যর্থতার’ তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

জুনের শুরুতে গ্রোসি বলেছিলেন, ইরান তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার বাধ্যবাধকতা ক্রমাগত এড়িয়ে যাচ্ছে। এর ফলে, আইএইএ ‘নিশ্চিতভাবে বলতে পারবে না যে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণরূপে শান্তিপূর্ণ।’

গতকাল শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বক্তব্য রাখার সময় গ্রোসি সতর্ক করে বলেছিলেন, ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে হামলা ‘পারমাণবিক সুরক্ষা এবং নিরাপত্তায় মারাত্মক অবনতি’ ঘটাচ্ছে।
 

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র ইসর য় ল ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

মায়ের দোয়া, বাবার কবর জিয়ারত ও কোহলির প্রেরণা—এই তিনে মিলেই সিরাজ

মোহাম্মদ সিরাজের বাবা মির্জা মোহাম্মদ গাউস ছিলেন অটোরিকশাচালক। ছেলের গায়ে ভারত জাতীয় ক্রিকেট দলের জার্সি তিনি দেখে যেতে পেরেছিলেন। ২০১৭ সালে টি–টোয়েন্টি সংস্করণে ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সিরাজের অভিষেক। চার বছর পর ২০২১ সালে সিরাজ অস্ট্রেলিয়া সফরে থাকতে ৫৩ বছর বয়সে মারা যান গাউস। বিশ্বে তখন করোনা মহামারি চলছিল, অস্ট্রেলিয়ায় কড়া কোয়ারেন্টিন নিয়মের কারণে বাবার শেষকৃত্যে থাকতে পারেননি সিরাজ।

আরও পড়ুনমোহাম্মদ সিরাজ: ওয়ালপেপারে রোনালদো, গুগলের মজা এবং ভাইয়ের গর্ব৬ ঘণ্টা আগে

বাবার মৃত্যুর পর থেকে একটি বিষয় সিরাজ মেনে চলেন। ভারতের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, যেকোনো সফরের আগে ও পরে সিরাজ তাঁর বাবার কবরে যান। সফরে যাওয়ার আগে বাবার কবরে গিয়ে দোয়া করার পাশাপাশি আশীর্বাদ প্রার্থনা করেন। সফর শেষে বিমানবন্দরে নেমে ঘরে ফেরার আগেও একবার বাবার কবরটা দেখে যান।

সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, গত জুনে ইংল্যান্ড সফরে যাওয়ার আগে সিরাজ ব্যাগ গুছিয়ে তাঁর মাকে বলেছেন, ‘আম্মা, আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি ভালো করতে চাই। ভারতকে জেতাতে চাই।’ এরপর সিরাজ বাবার কবরে গিয়ে দোয়া করে তারপর বিমানবন্দরের পথ ধরেন। টাইমস অব ইন্ডিয়াকে সিরাজের মা শাবানা বেগম আরও বলেছেন, ‘বাবাকে সে খুব ভালোবাসে। বাবাও তাকে খুব ভালোবাসতেন—তার (সিরাজ) জন্য তিনি যেকোনো কিছুই করতেন। সিরাজের জন্য সব সময় দোয়া করি। সৃষ্টিকর্তা আমার সন্তানের ওপর রহম করুন এবং সবকিছুতে সাফল্য দিন।’

ভারত–ইংল্যান্ড সিরিজে প্রায়ই দেখা গেছে সিরাজের উদ্‌যাপনের দৃশ্য। সর্বোচ্চ উইকেটও তাঁর

সম্পর্কিত নিবন্ধ