বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সেই মারযুকের নামে ডাকাতি প্রস্ততির মামলা
Published: 21st, June 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বরিশাল জেলা কমিটিতে পদ স্থগিত থাকা যুগ্ম সদস্য সচিব মো. মারযুক আব্দুল্লাহসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতির ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। পটুয়াখালীর দুমকি থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক নুরুজ্জামান বাদী হয়ে ৬ জুন মামলাটি করেন। সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হয়েছে। জুলাই আন্দোলনের ঘটনা উল্লেখ করে মামলা বাণিজ্যের অভিযোগে ২২ মে মারজুকের পদ স্থগিত হয়।
দুমকি থানায় মামলা সূত্রে জানা যায়, বরিশাল-পটুয়াখালী সড়কের পায়রা সেতুর টোল প্লাজায় ৬ জুন তল্লাশি চালায় পুলিশ। এ সময় দুটি মোটরসাইকেল কিছু দূরত্ব বজায় রেখে চলছিল। চেকপোস্টের কাছাকাছি পৌঁছালে সামনের মোটরসাইকেল চেকপোস্টে রেখে আরোহী তিনজন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় শিপন ও মামুন নামে দু’জনকে আটক করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে একটি খেলনা পিস্তল, একটি ওয়াকিটকি, একটি ইলেকট্রিক শক ডিভাইস, একটি মোটরসাইকেল ও দুটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটক ওই দু’জন জানায়, ‘পালানো তরুণের নামক মারযুক আবদুল্লাহ। তারা পেশাদার ডাকাত চক্রের সদস্য। তারা বিভিন্ন স্থানে গিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ভয় দেখিয়ে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয়।’
এ বিষয়ে দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
এ বিষযে জানতে চাইলে মারযুক আবদুল্লাহ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাংবাদিকরা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। আমি এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। দুমকি পুলিশের সঙ্গে আমার মীমাংসা হয়ে গেছে।’
উল্লেখ, জুলাই আন্দোলনের সময়ে হামলার শিকার দাবি করে ৯ মে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন মারযুক। ১৪ দলের সমম্বয়ক আমির হোসেন আমুসহ বরিশাল ও ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা ও জনপ্রনিধিসহ ২৪৭ জনকে আসামি করা হয়। ৯ মাস আগের ঘটনা দেখিযে প্রশ্নবিদ্ধ মামলা এবং এ নিয়ে বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠায় তার পদ স্থগিত করেছে জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রাজধানীতে ৩ হাজার অটোরিকশা চলাচলের অনুমতি চান মালিক-শ্রমিকরা
রাজধানী ঢাকায় দুই থেকে তিন হাজার সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচলের অনুমতি চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ঢাকাস্থ সিএনজিচালিত অটোরিকশা মালিক-শ্রমিক ঐক্য জোট।
আজ শনিবার পুরানা পল্টনে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। সেখানে বক্তারা বলেন, ঢাকা জেলা এরিয়ায় ভাড়ায় চলাচলের জন্য দুই ধরনের সিএনজিচালিত অটোরিকশার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। মহানগর এরিয়ায় ‘ঢাকা মেট্রো সিএনজি অটোরিকশা’ এবং জেলার মধ্যে ‘সিএনজিচালিত অটোরিকশা’।
তারা আরও বলেন, ২০০০ সালের আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন এরিয়ায় ৩৫ হাজার অটোরিকশা ছিল। পরে তা উচ্ছেদ করে মাত্র ১৫ হাজার ঢাকা মেট্রো সিএনজিচালিত অটোরিকশার অনুমোদন দেওয়া হয়। সেই সময় ২০ হাজার চালক গাড়ি না পেয়ে বেকার হয়ে পড়েন। এছাড়া ২০০০ সালের পর প্রতিদিন বিআরটিএ থেকে বৈধ থ্রি-হুইলার ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে ২৫ বছরে অসংখ্য চালক এই সেক্টরে যোগ হয়েছে। কিন্তু নতুন কোনো গাড়ির রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয়নি। ফলে কোনো কর্মসংস্থানও বাড়েনি।