গাজীপুরের আদালতে সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হক, নতুন মামলায় গ্রেপ্তার
Published: 22nd, June 2025 GMT
গাজীপুরের গাছা থানায় করা তিনটি হত্যা মামলার আসামি সাবেক শিল্প উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল–মামুনকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।
আজ সকাল ১০টায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন আদালত-৩–এ ওই চারজনকে হাজির করা হয়। পরে আদালতের বিচারক ওমর হায়দার তাঁদের নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় গাজীপুরের গাছা এলাকায় ছয়জন নিহত হন। এ ঘটনায় মেট্রোপলিটন গাছা থানায় আলাদা আলাদা তিনটি হত্যা মামলা করা হয়। এসব মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক শিল্প উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনসহ আওয়ামী লীগের শতাধিক নেতা–কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এর আগে দুটি মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল। অন্য মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখাতে আনিসুল হক, কামরুল ইসলাম, সালমান এফ রহমান ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনকে আজ সকালে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন আদালতের পরিদর্শক আহসান উল্লাহ চৌধুরী বলেন, সকালে তাঁদের কারাগার থেকে গাজীপুর আদালতে নিয়ে আসা হয়। পরে সকাল ১০টায় তাঁদের এজলাসে হাজির করা হয়। এ সময় গাছা থানায় করা নতুন একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, আদালতে শুনানি শেষে আসামিদের ফের পুলিশি নিরাপত্তায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রাকসু নির্বাচনের নতুন তারিখ ১৬ অক্টোবর
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে আগামী ১৬ অক্টোবর নির্ধারণ করা হয়েছে। পোষ্য কোটা নিয়ে ক্যাম্পাসে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাকসু নির্বাচন কমিশনের একসভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পরে রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাকসু, হল সংসদ ও সিনেট-এ ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনপূর্ব উদ্ভূত পরিস্থিতি সার্বিকভাবে বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হয়। এ সভা লক্ষ্য করে যে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিরাজমান পরিস্থিতি কোনো অবস্থাতেই রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানের অনুকূলে নয়।
নির্বাচন পেছানোর দুটি কারণ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। সেগুলো হচ্ছে, ১. বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ঘোষিত ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি চলছে। ২. নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক/কর্মকর্তা/কর্মচারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যায়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপর্যুক্ত বিবেচনায় রাকসু নির্বাচন উৎসবমুখর, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার স্বার্থে কমিশন ২৫ সেপ্টেম্বরের পরিবর্তে আগামী ১৬ অক্টোম্বর (বৃহস্পতিবার) রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুনকর্মবিরতিতে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম ও অফিসার্স সমিতি, শঙ্কায় রাকসু নির্বাচন২২ ঘণ্টা আগে