একজন ব্যক্তি তাঁর জীবদ্দশায় সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন, এর বেশি নয়। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে এই মত দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

আজ রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্বের বৈঠকের পঞ্চম দিনের আলোচনার বিরতিতে জামায়াতের এই অবস্থানের কথা সাংবাদিকদের জানান দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, যেকোনো ব্যক্তি জীবনে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সর্বোচ্চ ১০ বছর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন, এ বিষয়ে রাজি জামায়াত। এর বেশি মেয়াদের ব্যাপারে জামায়াত রাজি নয়।

জামায়াতের এই নায়েবে আমির বলেন, ‘আমাদের পাঁচ বছরের টার্ম। সে হিসাবে দুবার কেউ যদি পরিপূর্ণ টার্ম পূর্ণ করেন, তিনি আর প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। দুনিয়ার বহু দেশে এমন নজির আছে। বাংলাদেশের জন্য এটা আমরা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করি এবং এটির ব্যাপারে প্রায় আমরা ঐকমত্যে পৌঁছেছি।’

আজকের আলোচনায় অংশ নিয়েছে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন, গণ অধিকার পরিষদ, গণসংহতিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল।

আরও পড়ুনরাজনৈতিক দলগুলোকে আরেকটু ছাড়ের জায়গায় আসার আহ্বান আলী রীয়াজের৩ ঘণ্টা আগে

এর আগে গত বৃহস্পতিবারের আলোচনায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ, সংবিধান ও রাষ্ট্রের মূলনীতি এবং নির্বাচনী এলাকা নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হয়। তবে সেদিন এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো যায়নি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন ত ক ঐকমত য

এছাড়াও পড়ুন:

জামায়াতসহ সাতটি দলের আন্দোলনে এনসিপি কেন নেই, জানালেন নাহিদ

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ বিভিন্ন দাবিতে জামায়াতে ইসলামীসহ সাতটি দলের আন্দোলনের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টি নেই বলে জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, ‘আমরা নিম্নকক্ষে পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) চাই না, আমরা শুধু উচ্চকক্ষে পিআর চাই। এ ছাড়া আমরা মনে করি, এখনো সম্পূর্ণভাবে ঐকমত্য কমিশনকে প্রত্যাখ্যান করে রাজপথে যাওয়ার সময় আসেনি।’

রাজধানীর শাহবাগের শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে আজ শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জাতীয় সমন্বয় সভা করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এই সভা শেষে সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করেন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। সেখানে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তেই কোনো বড় দলের সঙ্গে জোটভিত্তিক চিন্তাভাবনা আমরা করছি না; বরং এনসিপি তার স্বতন্ত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে এগোবে।’

নাহিদ ইসলাম বলেন, যেসব ইস্যুতে আন্দোলনগুলো হচ্ছে, সেই ইস্যুগুলো সামগ্রিকভাবে সমস্যার সমাধান করতে পারবে না। সমাধান করতে পারত গণপরিষদ নির্বাচন ও নতুন সংবিধানের দাবি। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির জন্য গণপরিষদ ছাড়া আর কোনো বিকল্প পাওয়া যাচ্ছে না, যেটা সবাই গ্রহণ করছে। ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাব নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করছে এনসিপি।

এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা ধরে নিচ্ছি, গণপরিষদ ও আইনসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি আমাদের একসঙ্গে নিতে হবে।’

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও আগামী নির্বাচনে সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা; ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবিতে ৭টি দল বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে। দলগুলো হলো জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) ও খেলাফত আন্দোলন।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জাতীয় সমন্বয় সভায় উপস্থিত দলটির নেতারা। আজ শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগের শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কয়েকটি রাজনৈতিক দলের জেদ ও ভুলের কারণে নির্বাচন হুমকির মুখে পড়তে পারে: এবি পার্টি
  • জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সম্ভাব্য উপায় নিয়ে আরও পর্যালোচনা হচ্ছে
  • জামায়াতসহ সাতটি দলের আন্দোলনে এনসিপি কেন নেই, জানালেন নাহিদ