টেস্ট ক্রিকেটের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে নানা আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তারই অংশ হিসেবে খুলনা হয়ে রাজশাহীতেও চলছে বিভিন্ন কার্যক্রম।

রোববার (২২ জুন) পদ্মাপাড়ের এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান এবং সদ্য বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়া মাহবুব আনাম।

এ সময় মাহবুব আনাম রাজশাহীতে দ্রুত আন্তর্জাতিক বা বিপিএল ম্যাচ আয়োজনের ইঙ্গিত দেন। তিনি বলেন, “আগামী বছরের কোনো সময় থেকে এর চেয়েও বড় আন্তর্জাতিক খেলা কিংবা বিপিএলের ম্যাচ আমরা দেখতে পারব।”

আরো পড়ুন:

বিশ্বকাপের টিকিট পেলো কানাডা

ড্রয়ের সঙ্গে প্রাপ্তি শান্তর সেঞ্চুরি

রাজশাহীতে লিগ পর্যায়ের বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট, বয়সভিত্তিক ও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ অনুষ্ঠিত হলেও এখনো বিপিএল বা আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজিত হয়নি। এবার বিসিবি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে (এনএসসি) প্রস্তাব দিয়েছে মাঠটি সংস্কার করে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের উপযোগী করে তুলতে।

“দর্শকদের উৎসাহ, খেলোয়াড়দের উৎসাহ—এসব তখনই বর্ধিত করা সম্ভব, যখন আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করা যায়। এই লক্ষ্যে আমরা এনএসসিকে কিছু প্রস্তাবনা দিয়েছি। আশা করছি, তারা সেগুলো হাতে নেবে,” বলেন মাহবুব আনাম।

রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে ১৯৮৯ সালে বেক্সিমকো ইয়ুথ এশিয়া কাপে প্রথম মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা। সর্বশেষ ২০২৫ সালে এখানে হয়েছিল বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা যুব দলের ম্যাচ।

মাহবুব আনাম আরও বলেন, “রাজশাহীতে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ হয়েছে, তারপর তেমন বড় কোনো খেলা এখানে হয়নি। এ বছর ইমার্জিং দলের খেলা আয়োজন করেছি। আমরা খেলাটিকে ঢাকার বাইরেও ছড়িয়ে দিতে চাই।”

ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম য চ আয় জ ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রাম চেম্বার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, ১ নভেম্বর ভোট

প্রশাসক দায়িত্ব গ্রহণের ১১ মাস পর অবশেষে চট্টগ্রাম চেম্বারের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে চেম্বারে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করেন নির্বাচন বোর্ডের প্রধান ও চট্টগ্রামের স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক মনোয়ারা বেগম। আগামী ১ নভেম্বর চট্টগ্রাম ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে চেম্বারের নির্বাচন।

তফসিল অনুযায়ী, ৩০ আগস্ট গ্রুপ ও টাউন অ্যাসোসিয়েশন সদস্যের সঙ্গে বৈঠকে তাঁদের প্রতিনিধি ঠিক করা হবে। ৭ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচনী বোর্ড। ১৪ সেপ্টেম্বর প্রকাশ হবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা। ফরম বিক্রি হবে ১৪ থেকে ২০ সেপ্টেম্বর। জমাদানের শেষ তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর। ২৫ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক ও ৫ অক্টোবর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে।

নির্বাচন বোর্ডের সদস্য হিসেবে আছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামরুজ্জামান এবং বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার (সাধারণ শাখা) আহমেদ হাছান। গত এপ্রিলে প্রাথমিকভাবে এ নির্বাচন বোর্ড গঠন করা হয়েছিল। প্রথমে মে মাসের শেষে এবং পরে আগস্টের শুরুতে নির্বাচনের পরিকল্পনা ছিল।

নির্বাচন বোর্ডের সদস্য ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, তফসিল অনুযায়ী চট্টগ্রাম চেম্বারে আগামী ১ নভেম্বর ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

চট্টগ্রাম চেম্বারে শেষ ভোট হয়েছিল ২০১৩ সালে। এরপর নির্বাচন হলেও ভোট হয়নি। এ সময় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ লতিফ নির্বাচনের নামে প্রভাব খাটিয়ে ও কারসাজি করে কিছু ব্যক্তিকে নেতা বানিয়ে চেম্বারে একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ করেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর চেম্বারের সভাপতি ও দুই সহসভাপতিসহ ২১ পরিচালক ব্যবসায়ীদের ক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করেন।

গত বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চট্টগ্রাম চেম্বার নিয়ে ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের ক্ষোভ প্রতিবাদে রূপ নেয়। ফলে চেম্বারের পুরো পর্ষদ পদত্যাগে বাধ্য হয়। এটি ১৯০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত শতবর্ষী এই চেম্বারের পুরো পর্ষদের পদত্যাগের প্রথম ঘটনা বলে জানা গেছে। লতিফপন্থী নেতাদের পদত্যাগের পর থেকে চেম্বারের নতুন ভোটার তালিকা করার দাবি জোরদার হয়।

রাষ্ট্রক্ষমতার পালাবদলের পর গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম চেম্বারের প্রশাসকের দায়িত্ব নেন তৎকালীন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা। শুরুতে তাঁর মেয়াদ ছিল ১২০ দিন। পরে আরও দুই দফা মেয়াদ বাড়ানো হয়। সবশেষ গত ৩ জুলাই এর প্রজ্ঞাপনে তাঁর মেয়াদ আরও ৬০ দিনের জন্য বাড়ানো হয়। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর শেষ হচ্ছে তাঁর মেয়াদ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ