প্রথমবারের মতো নিয়মিত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও জীবনবিমা–সুবিধার আওতায় এনেছে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট)। এ নিয়ে আজ রোববার বিকেলে রুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের সেমিনারকক্ষে বিমা কোম্পানি জেনিথ ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্সের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

রাতে রুয়েটের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, এই বিমার আওতায় বছরে ১ লাখ ১০ হাজার টাকার স্বাস্থ্যসেবা এবং মৃত্যুতে ২ লাখ টাকার জীবনবিমা–সুবিধা পাবেন শিক্ষার্থীরা।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক এস এম আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, রুয়েট প্রকৌশল শিক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সার্বিক কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। আজকের এই স্বাস্থ্য ও জীবনবিমা–সুবিধা সে রকমই একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। শিক্ষার্থীদের সুস্থতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে এই চুক্তি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। ভবিষ্যতেও শিক্ষার্থীবান্ধব এমন আরও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণে রুয়েট প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আরিফ আহম্মদ চৌধুরী এবং জেনিথ ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্সের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট (প্রশাসন) ও কোম্পানির সচিব আবদুর রহমান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রুয়েট ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক মো.

রবিউল ইসলাম সরকার। এতে বক্তব্য দেন অর্থ ও হিসাব দপ্তরের কম্পট্রোলার নাজিমউদ্দীন আহম্মদ।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আরিফ আহম্মদ চৌধুরী, ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের উপপরিচালক অধ্যাপক মো. আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, অর্থ ও হিসাব দপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক শেখ মো. ফয়ছাল আরেফিন, একই দপ্তরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. মুক্তার হোসেন এবং জেনিথ ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্সের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট (প্রশাসন) আবদুর রহমান, হেড অব গ্রুপ ইনস্যুরেন্স মো. আনোয়ার হোসেন সরকারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ক্লাস প্রতিনিধি, বিভিন্ন ক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরা উপস্থিত ছিলেন।

রুয়েটের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, স্বাস্থ্যবিমার আওতায় থাকা কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা বিমাসুবিধা পাবেন। আবার হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী চিকিৎসা নেওয়ার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা বিমাসুবিধা মিলবে। একজন শিক্ষার্থী বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার ক্ষেত্রে বছরে এক লাখ টাকা পর্যন্ত বিমাসুবিধা পাবেন। এ ছাড়া জীবনবিমার আওতায় থাকা রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী মারা গেলে তাঁর পরিবার এককালীন সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা পাবে। প্রিমিয়াম জমা দেওয়া থেকে শুরু করে বিমা দাবি পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়া শিক্ষার্থীরা অনলাইনে সম্পন্ন করতে পারবেন। ফলে শিক্ষার্থীদের বিমাসুবিধা পেতে জটিলতা কমবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব ম র আওত য় ইনস য র ন স জ বনব ম র চ লক ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

নতুন ফর্মুলা-ই রেসিং কার আরও শক্তিশালী হচ্ছে

দ্রুতগতির বৈদ্যুতিক গাড়ির আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার নাম ফর্মুলা–ই। আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রতিযোগিতাকে ফর্মুলা-ই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ বলা হয়। ২০১৪ সালে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় বৈদ্যুতিক গাড়ির রেস দেখা যায়। ফর্মুলা–ই এখন পর্যন্ত দ্রুততম ও সবচেয়ে টেকসই রেসিং কার উন্মোচন করেছে। আগামী ২০২৬-২৭ মৌসুমে জেন–৪ নামের এই গাড়িটির অভিষেক ঘটবে। এটি বর্তমানে ফর্মুলা ওয়ানে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী যেকোনো গাড়ির চেয়ে দ্রুততর অ্যাক্সিলারেশন বা ত্বরণে চলতে পারে। এই নতুন গাড়িতে বিদ্যমান জেন–৩ ইভো মডেলের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেশি শক্তি থাকবে। ৩৫০ কিলোওয়াট থেকে ৬০০ কিলোওয়াট শক্তিতে পরিণত হবে গাড়িটি।

নতুন মডেলের গাড়িতে স্থায়ীভাবে সক্রিয় অল-হুইল ড্রাইভ থাকবে। এটি হবে শতভাগ পুনর্ব্যবহারযোগ্য গাড়ি। নির্মাণের সময় এর মধ্যে কমপক্ষে ২০ ভাগ পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপাদান ব্যবহার করা হবে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ফর্মুলা–ইর প্রধান নির্বাহী জেফ ডডস বলেন, বৈদ্যুতিক রেসিংয়ে এক দশকের বেশি সময়ের অগ্রগতি, উদ্ভাবন ও উচ্চাকাঙ্ক্ষার মেলবন্ধন এই গাড়ি। পরিচালক সংস্থা এফআইএর সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি এই গাড়িটি আমাদের তৈরি করা সবচেয়ে উন্নত, চাহিদাপূর্ণ ও টেকসই মেশিন। কর্মক্ষমতা ও পরিবেশগত বিষয়ে নতুন মান তৈরি করবে। বিদ্যমান গাড়িটিই ইতিমধ্যে প্রায় ১.৮ সেকেন্ডে ১০০ কিমি/ঘণ্টা গতিতে পৌঁছাতে পারে। যেকোনো ফর্মুলা ওয়ান গাড়ির চেয়ে প্রায় ৩০ ভাগ দ্রুত ছুটতে পারে এই গাড়ি।

নতুন গাড়িটি চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য একটি গেম-চেঞ্জার হবে বলে মনে করছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। ১২ বছর আগে যখন এই সিরিজ শুরু হয়, তখন সর্বোচ্চ গতি ছিল প্রায় ১৪০ মাইল প্রতি ঘণ্টায়। ব্যাটারির স্বল্পতার কারণে চালকদের রেসের মাঝখানে গাড়ি পরিবর্তন করতে হতো। ডডস বলেন, ‘আমি আপনাদের বলতে পারি নতুন গাড়ির গতি সোজা রাস্তায় ও টেস্ট ট্র্যাকে প্রতি ঘণ্টায় ২০০ মাইল দেখা যায়। এর সর্বোচ্চ গতি প্রতি ঘণ্টার ২০০ মাইলের  চেয়ে বেশি হবে। তিনি আরও বলেন, আগামী বছরে এই গাড়ি ফর্মুলা ওয়ান গাড়ির সমতুল্য গতিতে ল্যাপ করার বা তার চেয়েও দ্রুতগতিতে চলার সম্ভাবনা থাকবে।

এফআইএর সিনিয়র সার্কিট স্পোর্ট ডিরেক্টর মারেক নাওয়ারেকি জানান, উচ্চগতির জন্য নিরাপত্তা মূল্যায়ন করা হয়েছে। বড় কোনো সমস্যা নেই। এসব গাড়ির জন্য কিছু ট্র্যাকে ডিজাইন পরিবর্তন করতে হতে পারে।

সূত্র:  রয়টার্স

সম্পর্কিত নিবন্ধ