রাজবাড়ীতে পদ্মার ৩ ইলিশ ২৪ হাজার টাকায় বিক্রি
Published: 23rd, June 2025 GMT
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়ায় ৫ কেজি ৬০০ গ্রাম ওজনের পদ্মা নদীর ৩টি ইলিশ বিক্রি হয়েছে ২৪ হাজার টাকায়। একই সঙ্গে সাড়ে ৮ কেজি ওজনের ১টি কাতলা মাছ ১২ হাজার এবং ৫ কেজি ওজনের ১টি আইড় মাছ বিক্রি হয়েছে ১২ হাজার টাকায়। আজ সোমবার সকালে দৌলতদিয়া ঘাট বাজারে এসব মাছ বিক্রি হয়।
কয়েক দিন ধরে পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীতে স্রোত বেড়েছে। স্রোতের তোড়ে উজানে ছুটতে গিয়ে জেলেদের জালে মাঝেমধ্যে ধরা পড়ছে বড় বড় মাছ। সেই সঙ্গে ধরা পড়ছে ইলিশও। আজ ভোরে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের অদূরে সালাম হালদারের জালে বড় আকারের তিনটি ইলিশ ধরা পড়ে। মাছগুলো বিক্রির জন্য ফেরিঘাটে নিয়ে গেলে স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখ সেগুলো কিনে নেন।
শাহজাহান শেখ বলেন, সালাম হালদারের নৌকা থেকে সরাসরি দরদাম করে তিনি ৪ হাজার ১০০ টাকা কেজি দরে ইলিশ ৩টি কেনেন। পরে দেখেন ১টির ওজন প্রায় ২ কেজি এবং বাকি ২টির প্রায় ৩ কেজি ৬০০ গ্রাম। সে হিসাবে ইলিশ ৩টির দাম পড়ে প্রায় ২২ হাজার ৯৬০ টাকা। পরে সকাল ১০টার দিকে ইলিশ ৩টি ঢাকার এক ব্যক্তির কাছে কেজিপ্রতি ২০০ টাকা লাভে মোট ২৪ হাজার ৮০ টাকায় বিক্রি করেছেন।
ইলিশের পাশাপাশি আজ সকালে দৌলতদিয়া ঘাট বাজারের রওশন মোল্লার আড়ত থেকে নিলামে ৮ কেজি ৫০০ গ্রাম ওজনের ১টি পদ্মা নদীর কাতলা মাছ ১ হাজার ৩৫০ টাকা কেজি দরে কেনেন শাহজাহান শেখ। এ বিষয়ে তিনি বলেন, কাতলাটি তিনি ১ হাজার ৪০০ টাকা কেজি দরে প্রায় ১২ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। একই সঙ্গে তিনি প্রায় ৫ কেজি ওজনের আইড় মাছ বাজারের সৈকা মোল্লার আড়ত থেকে নিলামে ২ হাজার ৩০০ টাকা কেজি দরে ১১ হাজার ৫০০ টাকায় কিনে পরে ঢাকার এক ব্যক্তির কাছে ২ হাজার ৪০০ টাকা কেজি দরে ১২ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।
এর আগে গতকাল রোববার সকালে সোনা হালদার নামের একজনের জালে প্রায় ২২ কেজি ওজনের আরেকটি কাতলা ধরা পড়ে। কাতলাটি ২ হাজার টাকা কেজি দরে প্রায় ৪৪ হাজার টাকায় কিনে সিলেটের শ্রীমঙ্গলের এক ব্যক্তির কাছে ৪৬ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করেন শাহজাহান শেখ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ হজ হ ন শ খ ১২ হ জ র দ লতদ য় ওজন র
এছাড়াও পড়ুন:
অবশেষে জাতীয় ক্রিকেট লিগে ময়মনসিংহ
দেশের অষ্টম বিভাগ হিসেবে ১০ বছর আগে আত্মপ্রকাশ করেছে ময়মনসিংহ। ক্রিকেট বোর্ডের ‘স্বীকৃতি’ পেতে ময়মনসিংহের লাগল ১০ বছর! বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) গতকাল বোর্ড সভায় ময়মনসিংহকে জাতীয় ক্রিকেট লিগে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
বিভাগীয় মর্যাদা পাওয়ার পর ক্রিকেটে নিজেদের দল চালানোর কথা ছিল ময়মনসিংহের। একাধিকবার আবেদন, সরকারি দপ্তরে চিঠি পাঠানো, মানববন্ধন, ক্রিকেটের বিভিন্ন আয়োজনে জোরাল দাবি সহ সবই করেছে ময়মনসিংহ জেলা ক্রীড়া সংস্থা। কিন্তু কোনো কিছুতেই কাজ হচ্ছিল না। অবশেষে আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বোর্ড ময়মনসিংহকে আপন করে নিয়েছে।
আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে হবে জাতীয় ক্রিকেট লিগের বড় ধৈর্যর প্রতিযোগিতা। প্রথমবারের মতো ময়মনসিংহ বিভাগ লিগে অংশ নেবে। এর আগে জাতীয় ক্রিকেট লিগের টি-টোয়েন্টি আসর রয়েছে। তবে আট দলের এই প্রতিযোগিতার সব আয়োজন প্রায় চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ায় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলা হবে না ময়মনসিংহের। সাদা পোশাকেই দলটিকে প্রথমবার দেখা যাবে।
আরো পড়ুন:
প্রত্যেকটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম হবে: আসিফ
অচলায়তন ভেঙে সক্রিয় হওয়ার অপেক্ষায় কোয়াব
ঢাকা থেকে দুটি দলের অংশগ্রহণ ছিল জাতীয় লিগে। ঢাকা বিভাগীয় দল থেকে যাবে আগের মতোই। তবে ময়মনসিংহকে জায়গা করে দিকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে ঢাকা মেট্রো। ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ মিঠু বলেছেন, ‘‘ময়মনসিংহ বিভাগ আগামী জাতীয় ক্রিকেট লিগের চারদিনের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ময়মনসিংহকে এগিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর।’’
ঢাকা মেট্রোকে বাদ দিয়ে ময়মনসিংহকে নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বিসিবির পরিচালক ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেছেন, “২০১১ সালে যখন রংপুর বিভাগীয় দল এলো এবং টুর্নামেন্টের দলসংখ্যা ৬টি থেকে ৭টি করা হলো, তখন ঢাকা মেট্রো দলকেও আনা হলো, যাতে আটটি দল হয়। এটা বিসিবি সভার কার্যবিবরণীতেই আছে। এবার ময়মনসিংহকে আনলে দল ৯টি হয়ে যাচ্ছে। আগের সেই একই কারণে সমানসংখ্যক দল রাখতে একটি দল কমানো হচ্ছে।”
টুর্নামেন্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়ানো এবং মান ধরে রাখার জন্য সব চেষ্টা বিসিবি করছে জানিয়ে নাজমুল আবেদীন যোগ করেন, ‘‘কোয়ালিটির ব্যাপারটিও এখানে উল্লেখযোগ্য। আমরা চাইলেই ১০-১২টি দলও করতে পারি। কিন্তু মান ধরে রাখতে চাই। আমরা অনেক সময়ই শুনেছি, অনেকে প্রস্তাব দিয়েছে, আট দল না নিয়ে ছয় দল নিয়ে টুর্নামেন্ট হোক, তাহলে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। কোনোদিন ছয় দলও হতে পারে, আপাতত আট দলই রাখছি আমরা।”
ঢাকা/ইয়াসিন