গাজীপুরের শ্রীপুরের সাতখামাইর স্টেশনের কার্যক্রম পুনরায় চালু এবং নিয়মিত ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে ট্রেন থামিয়ে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন এলাকাবাসী। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় ও সকাল ১০টা ২৬ মিনিটে দুই দফা ট্রেন থামিয়ে তাঁরা এ কর্মসূচি পালন করেন।

‘সুবিধাবঞ্চিত এলাকার সর্বস্তরের জনগণ’–এর ব্যানারে সাতখামাইর স্টেশন এলাকায় এই কর্মসূচিতে অংশ নেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ সমাজের সব স্তরের লোকজন। তাঁরা লাল রঙের পতাকা দেখিয়ে সকাল ১০টা ২৬ মিনিট থেকে ১০টা ৩৭ মিনিট পর্যন্ত ১১ মিনিট নেত্রকোনার মোহনগঞ্জগামী মহুয়া কমিউটার ট্রেন আটকে রাখেন। এর আগে ঢাকাগামী জামালপুর কমিউটার ট্রেন সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে ৯টা ৪২ মিনিট পর্যন্ত ১২ মিনিট আটকে রাখা হয়। প্রত্যেকবার ট্রেন থামিয়ে সেখানে দাবির পক্ষে মিছিল করেন আন্দোলনকারীরা। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়।

মানববন্ধন শেষে সমাবেশে স্টেশনটি পুনরায় চালু করা, পর্যাপ্ত লোকবল নিয়োগ, আন্তনগর ট্রেন মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ও দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ট্রেনের যাত্রাবিরতির ব্যবস্থাসহ স্টেশনের অবকাঠামোগত উন্নয়নের দাবি তুলে ধরা হয়। একই দিন রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) বরাবর একটি স্মারকলিপিও পাঠিয়েছেন এলাকাবাসী।

মানববন্ধনে জহিরুল আকন্দ নামের একজন বলেন, ট্রেনের বিরতির জন্য স্টেশনের অবকাঠামো উন্নয়ন করতে হবে। অবিলম্বে তাঁদের দাবি পূরণ করতে হবে। দাবি পূরণ না হলে রেলপথ অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হবে। নূরুল ইসলাম নামের একজন বলেন, তাঁরা গত শুক্রবার ও শনিবার বিকেলেও ট্রেন আটকে একই দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন। ১০ থেকে ১২টি গ্রামের মানুষের এই দাবি পূরণে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা না নিলে তাঁরা আরও বড় কর্মসূচি দেবেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকা-ময়মনসিংহ রেল সড়কের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি স্টেশনের মধ্যে সাতখামাইর ছিল একটি। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে স্থানীয় লোকজনের ব্যবসা ছিল রেলপথ ঘিরে। জমজমাট ছিল স্টেশন ও আশপাশের বাজার। কিন্তু ১৫ বছর আগে স্টেশনের কার্যক্রম প্রায় বন্ধ করে দেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এরপর সাত বছর আগে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দেশের ৫৯টি বন্ধ রেলস্টেশনের সঙ্গে এটিও চালু করা হয়। কিন্তু এক বছরের মাথায় এর কার্যক্রম আবারও বন্ধ করে দেওয়া হয়।

শ্রীপুর রেলস্টেশন মাস্টার শামীমা জাহান বলেন, ‘সাতখামাইর রেলস্টেশনে ট্রেন থামানো ও অন্যান্য দাবিতে এলাকার লোকজন মানববন্ধন করছেন বলে জেনেছি। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন এল ক ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় নৃশংসভাবে বিড়াল হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় মাছ খাওয়ায় একটি বিড়ালকে গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে এবং পথপ্রাণী, পোষা প্রাণী ও বন্য প্রাণীর ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন হয়েছে।

আজ শনিবার দুপুরে বগুড়ার সাতমাথা মোড়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধনের আয়োজন করে সরকারি আজিজুল হক কলেজের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘টিম ফর এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ—তীর’। এ সময় সংগঠনটির সদস্যরা প্ল্যাকার্ড, পোস্টার হাতে প্রাণী সুরক্ষার দাবি জানান। এ ছাড়া প্রাণী আইন লঙ্ঘন না করার বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে প্রচারপত্র বিলি করেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে আদমদীঘি উপজেলার দত্তবাড়িয়া গুচ্ছগ্রামে বিড়াল হত্যার অভিযোগ ওঠে বুলবুলি বেগম (২৬) নামের এক নারীর বিরুদ্ধে। পরদিন বুধবার তাঁর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন বাংলাদেশ অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য এমরান হোসেন। পরে পুলিশ সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পায়। শুক্রবার বুলবুলি বেগমকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।

কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন তীর–এর সভাপতি আশা মনি, সহসভাপতি হৈমন্তী সরকার, সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান।

পুলিশ সূত্র জানায়, কয়েক দিন আগে বুলবুলির বাড়িতে একটি বিড়াল ঢোকে। একপর্যায়ে প্রাণীটি রান্না করা মাছ খেয়ে ফেলে। গত মঙ্গলবার রাতে বিড়ালটি দ্বিতীয় দফায় বুলবুলির ঘরে ঢোকে। এ সময় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বিড়ালটিকে ধরে বঁটি দিয়ে গলা কেটে ফেলেন। এভাবে হত্যার পর একটি ধানখেতে ফেলে দেন। বিষয়টি জানার পর প্রতিবেশী ইসাহাক আলীর স্ত্রী শামছুন্নাহার বুধবার সকালে বিড়ালটির ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নেন। মৃত বিড়ালটি বরফ দিয়ে সংরক্ষণের পর তিনি পুলিশে খবর দেন। বিষয়টি জানাজানির পর বাংলাদেশ অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়।

আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিড়াল হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে অভিযুক্ত বুলবুলি বেগম উত্তেজিত হয়ে বঁটি হাতে স্থানীয় লোকজনকে লক্ষ্য করে তেড়ে আসেন এবং কুপিয়ে হত্যার হুমকি দেন। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯–এ ফোন পেয়ে পুলিশ ওই নারীকে আটক করে ১৫১ ধারায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। বিড়াল হত্যার ঘটনায় থানায় জিডি হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে পাঠানো হবে। আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নারায়ণগঞ্জে বিডিএস জরিপে ব্যক্তিগত সম্পত্তি রাস্তা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী পুনর্বিবেচনার দাবিতে ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ মানববন্ধন
  • মোহনগঞ্জে নাশকতা মামলায় সাবেক কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
  • ববি শিক্ষকের বিরুদ্ধে ‘ভিত্তিহীন’ সংবাদ প্রচারের অভিযোগ শিক্ষার্থীদের
  • এখনো কালো মেঘের ছায়া কাটেনি: বাবর
  • বগুড়ায় নৃশংসভাবে বিড়াল হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন
  • প্রাথমিকে শারীরিক ও সংগীত শিক্ষক পদ পুনর্বহালের দাবি
  • সড়ক দুর্ঘটনায় আরিফুল, সৌভিকের মৃত্যু হত্যাকাণ্ড কি না, প্রশ্ন জোনায়েদ সাকির
  • নিজস্ব পরিবহন নিশ্চিতের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন