সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে: বাম গণতান্ত্রিক জোট
Published: 23rd, June 2025 GMT
ইরানে ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধে মার্কিন-ইসরায়েল শক্তির বিরুদ্ধে বিশ্বের সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোসহ সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সব শক্তির ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা। তাঁরা বলেছেন, সাম্রাজ্যবাদকে পরাজিত করতে না পারলে বিশ্বমানবতার মুক্তি সম্ভব নয়। সে জন্য সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে।
ইরানে মার্কিন হামলার প্রতিবাদে আজ সোমবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাম গণতান্ত্রিক জোটের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বাম জোটের নেতারা বলেন, ইরানে মার্কিন-ইসরায়েলের আগ্রাসন সাম্রাজ্যবাদের যুদ্ধ যুদ্ধ খেলার অংশ। তারা অতীতেও আরব বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হামলা চালিয়ে শুধু মানুষ হত্যা করেনি, দেশগুলোকেও ধ্বংস করেছে। অস্ত্র বিক্রি, বাজার দখল, আধিপত্যবাদ কায়েমের জন্য সাম্রাজ্যবাদ দেশে দেশে এ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সরকার ইরানে মার্কিন-ইসরায়েলের এ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এখনো কোনো জোরালো অবস্থান ব্যক্ত করতে পারেনি উল্লেখ করে জোটের নেতারা বলেন, এটি জাতি হিসেবে অত্যন্ত গ্লানির। অবিলম্বে সরকারকে এ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তার অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে এবং শক্ত অবস্থান জানাতে হবে।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদের (মার্ক্সবাদী) কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাসুদ রানা, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আবদুল আলী প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব ম গণত ন ত র ক জ ট ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
নতুন ফর্মুলা-ই রেসিং কার আরও শক্তিশালী হচ্ছে
দ্রুতগতির বৈদ্যুতিক গাড়ির আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার নাম ফর্মুলা–ই। আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রতিযোগিতাকে ফর্মুলা-ই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ বলা হয়। ২০১৪ সালে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় বৈদ্যুতিক গাড়ির রেস দেখা যায়। ফর্মুলা–ই এখন পর্যন্ত দ্রুততম ও সবচেয়ে টেকসই রেসিং কার উন্মোচন করেছে। আগামী ২০২৬-২৭ মৌসুমে জেন–৪ নামের এই গাড়িটির অভিষেক ঘটবে। এটি বর্তমানে ফর্মুলা ওয়ানে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী যেকোনো গাড়ির চেয়ে দ্রুততর অ্যাক্সিলারেশন বা ত্বরণে চলতে পারে। এই নতুন গাড়িতে বিদ্যমান জেন–৩ ইভো মডেলের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেশি শক্তি থাকবে। ৩৫০ কিলোওয়াট থেকে ৬০০ কিলোওয়াট শক্তিতে পরিণত হবে গাড়িটি।
নতুন মডেলের গাড়িতে স্থায়ীভাবে সক্রিয় অল-হুইল ড্রাইভ থাকবে। এটি হবে শতভাগ পুনর্ব্যবহারযোগ্য গাড়ি। নির্মাণের সময় এর মধ্যে কমপক্ষে ২০ ভাগ পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপাদান ব্যবহার করা হবে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ফর্মুলা–ইর প্রধান নির্বাহী জেফ ডডস বলেন, বৈদ্যুতিক রেসিংয়ে এক দশকের বেশি সময়ের অগ্রগতি, উদ্ভাবন ও উচ্চাকাঙ্ক্ষার মেলবন্ধন এই গাড়ি। পরিচালক সংস্থা এফআইএর সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি এই গাড়িটি আমাদের তৈরি করা সবচেয়ে উন্নত, চাহিদাপূর্ণ ও টেকসই মেশিন। কর্মক্ষমতা ও পরিবেশগত বিষয়ে নতুন মান তৈরি করবে। বিদ্যমান গাড়িটিই ইতিমধ্যে প্রায় ১.৮ সেকেন্ডে ১০০ কিমি/ঘণ্টা গতিতে পৌঁছাতে পারে। যেকোনো ফর্মুলা ওয়ান গাড়ির চেয়ে প্রায় ৩০ ভাগ দ্রুত ছুটতে পারে এই গাড়ি।
নতুন গাড়িটি চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য একটি গেম-চেঞ্জার হবে বলে মনে করছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। ১২ বছর আগে যখন এই সিরিজ শুরু হয়, তখন সর্বোচ্চ গতি ছিল প্রায় ১৪০ মাইল প্রতি ঘণ্টায়। ব্যাটারির স্বল্পতার কারণে চালকদের রেসের মাঝখানে গাড়ি পরিবর্তন করতে হতো। ডডস বলেন, ‘আমি আপনাদের বলতে পারি নতুন গাড়ির গতি সোজা রাস্তায় ও টেস্ট ট্র্যাকে প্রতি ঘণ্টায় ২০০ মাইল দেখা যায়। এর সর্বোচ্চ গতি প্রতি ঘণ্টার ২০০ মাইলের চেয়ে বেশি হবে। তিনি আরও বলেন, আগামী বছরে এই গাড়ি ফর্মুলা ওয়ান গাড়ির সমতুল্য গতিতে ল্যাপ করার বা তার চেয়েও দ্রুতগতিতে চলার সম্ভাবনা থাকবে।
এফআইএর সিনিয়র সার্কিট স্পোর্ট ডিরেক্টর মারেক নাওয়ারেকি জানান, উচ্চগতির জন্য নিরাপত্তা মূল্যায়ন করা হয়েছে। বড় কোনো সমস্যা নেই। এসব গাড়ির জন্য কিছু ট্র্যাকে ডিজাইন পরিবর্তন করতে হতে পারে।
সূত্র: রয়টার্স