ইরানে ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধে মার্কিন-ইসরায়েল শক্তির বিরুদ্ধে বিশ্বের সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোসহ সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সব শক্তির ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা। তাঁরা বলেছেন, সাম্রাজ্যবাদকে পরাজিত করতে না পারলে বিশ্বমানবতার মুক্তি সম্ভব নয়। সে জন্য সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে।

ইরানে মার্কিন হামলার প্রতিবাদে আজ সোমবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাম গণতান্ত্রিক জোটের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বাম জোটের নেতারা বলেন, ইরানে মার্কিন-ইসরায়েলের আগ্রাসন সাম্রাজ্যবাদের যুদ্ধ যুদ্ধ খেলার অংশ। তারা অতীতেও আরব বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হামলা চালিয়ে শুধু মানুষ হত্যা করেনি, দেশগুলোকেও ধ্বংস করেছে। অস্ত্র বিক্রি, বাজার দখল, আধিপত্যবাদ কায়েমের জন্য সাম্রাজ্যবাদ দেশে দেশে এ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সরকার ইরানে মার্কিন-ইসরায়েলের এ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এখনো কোনো জোরালো অবস্থান ব্যক্ত করতে পারেনি উল্লেখ করে জোটের নেতারা বলেন, এটি জাতি হিসেবে অত্যন্ত গ্লানির। অবিলম্বে সরকারকে এ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তার অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে এবং শক্ত অবস্থান জানাতে হবে।

বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদের (মার্ক্সবাদী) কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাসুদ রানা, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আবদুল আলী প্রমুখ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব ম গণত ন ত র ক জ ট ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

সিচুয়েশন রুমে ট্রাম্প, যুক্তরাষ্ট্র এখন কী করে সবার নজর সেদিকে

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে হোয়াইট হাউসের ‘সিচুয়েশন রুম’-এ অবস্থান করেন পূর্বনির্ধারিত জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, সেখান থেকেই তাঁরা কাতারের আল-উদেইদ বিমানঘাঁটিতে ইরানের হামলার ঘটনা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। এই হামলা পুরোপুরি অপ্রত্যাশিত ছিল না।

গত সপ্তাহান্তে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর যে হামলা করে, তারপর থেকেই এমন পাল্টা প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা ছিল। মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থানরত সব মার্কিন বাহিনী উচ্চ সতর্কতায় ছিল, প্রস্তুত ছিল এমন একটি হামলার জন্য।

তবে ইরানের এই হামলার প্রকৃত মাত্রা ও পরিসর সম্পর্কে এখনই নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়। যখন সেই তথ্য পাওয়া যাবে, তখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তাঁর নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সামনে দাঁড়াবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন- এখন কীভাবে জবাব দেওয়া হবে?

এই মুহূর্তটি এক জটিল সন্ধিক্ষণ। এখানেই নির্ধারিত হবে—এই সংঘাত কি আরও বিস্তৃত, জটিল ও অনাকাঙ্ক্ষিত এক যুদ্ধের দিকে গড়াবে, নাকি এখনো তা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা সম্ভব?

যুক্তরাষ্ট্রের কৌশল ছিল—একটি নিখুঁত, লক্ষ্যভিত্তিক হামলা চালিয়ে ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা দুর্বল করা এবং সেখানেই থেমে যাওয়া। কিন্তু ইরানের পাল্টা জবাব ছিল অবশ্যম্ভাবী।

এখন গোটা বিশ্ব অপেক্ষা করছে—এই প্রতিক্রিয়া শেষ পর্যন্ত কী পরিণতি ডেকে আনবে, সেটা দেখার জন্য।

সম্পর্কিত নিবন্ধ