কাতারে বাংলাদেশি ফল মেলা অনিশ্চিত, ফিরে এলেন শতাধিক ফল ব্যবসায়ী
Published: 24th, June 2025 GMT
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে মধ্যপ্রাচ্যে উদ্ভূত উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির জেরে কাতারে বাংলাদেশি ফল মেলা আয়োজন অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। কাতার সরকার সাময়িকভাবে তাদের আকাশসীমায় বিমান চলাচল বন্ধ রেখেছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশ থেকে কাতারগামী দু’টি ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় দোহায় অনুষ্ঠেয় ফল মেলায় অংশ নিতে যাওয়া শতাধিক ব্যবসায়ী দেশে ফিরে এসেছেন।
সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়া কাতারগামী একটি ফ্লাইট মাসকাট পর্যন্ত গেলেও কাতারে ঢুকতে না পেরে সেখান থেকে ঢাকায় ফিরে আসে। একইভাবে, মঙ্গলবার রাত ২টার ফ্লাইটটিও আগেভাগেই বাতিল করা হয়েছে। বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এসব ফ্লাইটে যাত্রী ছাড়াও প্রায় ৯৫ হাজার কেজি ফল ও সবজি রপ্তানি পণ্য হিসেবে পাঠানোর কথা ছিল।
বুধবার দোহায় বাংলাদেশি ফল মেলা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এই মেলায় অংশ নিতে শতাধিক ব্যবসায়ী এই দু’টি ফ্লাইটে যাত্রা করেছিলেন। এখন তাঁদের অনেকেই অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন। বাকি ফ্লাইটগুলো চালু থাকবে কিনা, মঙ্গলবার সে সিদ্ধান্ত নেবে বিমান কর্তৃপক্ষ।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সূত্রে জানা গেছে, কাতার সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, তাদের আকাশসীমা আপাতত বন্ধ রয়েছে। নিরাপত্তার ঝুঁকি থাকায় কাতারগামী সব ফ্লাইট স্থগিত রাখা হয়েছে।
ফল ব্যবসায়ীরা জানান, এই মেলায় তাঁদের পণ্য প্রদর্শন ও চুক্তির মাধ্যমে বিদেশি বাজার সম্প্রসারণের বড় সুযোগ ছিল। ফ্লাইট বাতিল ও পণ্য আটকে যাওয়ায় আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন অনেকে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফল ব যবস য় ফ ল ইট ফল ম ল
এছাড়াও পড়ুন:
শেষ জীবনে সন্তানেরাও ছেড়ে চলে যান আলোচিত এই নায়িকার
রাজ কাপুর আর যশ চোপড়ার ছবিতে ছিলেন তিনি; অভিনয় করেছেন রাজেশ খান্না, দেব আনন্দদের মতো তারকাদের সঙ্গে। অথচ ব্যক্তিজীবনে তিনি হয়ে পড়েছিলেন অবহেলিত—সন্তানদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পর একাই কাটিয়েছেন জীবনের শেষ ১২ বছর।
অভিনেত্রী অচলা সচদেবের চলচ্চিত্রজীবন যেন সিনেমার মতোই। দেব আনন্দ, রাজ কাপুর, যশ চোপড়া, রাজেশ খান্না—বলিউডের সেরা–সেরাদের সঙ্গে একের পর এক হিট ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’-তে কাজলের দাদির চরিত্রে তাঁকেই দেখা গিয়েছিল। আবার ১৯৬৫ সালের ‘ওয়াক্ত’ ছবির অমর গান ‘আয়ে মেরি জোহরা জবীন’-এর নায়িকাও ছিলেন অচলা। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে অন্য অনেক অভিনেত্রীর মতোই তাঁকেও মা-দাদির চরিত্রে সীমাবদ্ধ হতে হয়েছিল, তবু ২০০০-এর দশকের শুরু পর্যন্ত কাজ চালিয়ে গেছেন—করণ জোহরের ‘কাভি খুশি কাভি গম’ ছিল তাঁর শেষ দিকের আলোচিত কাজগুলোর একটি।
পঞ্চাশের দশকে শুরু হওয়া অচলার ছিল দীর্ঘ ক্যারিয়ার; কিন্তু শেষ জীবনটা ভীষণ কষ্টে কাটাতে হয় তাঁকে। পুনের নিজস্ব দুই কামরার ফ্ল্যাটে একাই থেকেছেন এক দশকেরও বেশি সময়, পাশে ছিলেন কেবল এক সেবিকা। দুই সন্তানের কেউই তাঁর খোঁজ নিতেন না। মৃত্যুর আগে নিজের বাড়িটি দান করে দেন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে। বলিউডের জন্য জীবনের বহু বছর দেওয়া অনেক শিল্পীর মতো তিনিও ছিলেন অবহেলার শিকার।
অচলা সচদেব। আইএমডিবি