মব জাস্টিস নিয়ে ডিএমপি কমিশনারের কঠোর হুঁশিয়ারি
Published: 24th, June 2025 GMT
কোনো ধরনের মবকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না এবং নিয়ন্ত্রণে পুলিশের গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) ডিএমপি সদর দপ্তরে জাইকার অর্থায়নে সড়ক নিরাপত্তা সংক্রান্ত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “যে কোনো ধরনের গণপিটুনি বরদাশত করা হবে না। যদি গণপিটুনির ঘটনায় পুলিশের কোনো গাফিলতি প্রমাণিত হয়, তবে জড়িতদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
দাবি আদায়ে সড়ক অবরোধ করা যাবে না উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, “মহানগরীতে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনের নামে জনভোগান্তি যাতে কেউ সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।”
এ সময় চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানান তিনি।
ঢাকা/এমআর/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বাইক আরোহীদের ধাক্কা দেন কনস্টেবল, পরিচয় মেলেনি আরেকজনের
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার চুনতি হাজি রাস্তার মাথায় মোটরসাইকেল আরোহীকে ধাক্কা দেন কনস্টেবল মো. মনসুর। তিনি লোহাগাড়া থানায় কর্মরত। তার ধাক্কায় মোটরসাইকেলের আরোহীরা আহত না হলেও পা হারিয়েছেন মো. আলাউদ্দিন নামের আরেক কনস্টেবল।
তবে, ভিডিওতে কনস্টেবল মনসুরের সঙ্গে আরেকজনকেও ধাক্কা দিতে দেখা গেছে। তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি। পুলিশও এ ব্যাপারে মুখ খুলছে না। ঘটনার সময় অস্থায়ী চেকপোস্টটিতে আরও তিনজনকে দেখা গেছে। তারা পুলিশের কেউ নন। স্থানীয়রা বলছেন, তারা পুলিশের সোর্স।
এ বিষয়ে লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান বলেন, ‘তারা (অজ্ঞাত তিনজন) কারা, আমার জানা নেই।’
মোটরসাইকেল আরোহীকে মনসুরের ধাক্কা দেওয়ার কারণ জানতে তদন্ত কমিটি করেছে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) শেখ মো. সেলিমকে প্রধান করে তিন সদস্যের এ কমিটি করা হয়েছে।
সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তফিকুল আলম বলেন, ধাক্কা দেওয়ার বিষয়টি তাদের নজরে এসেছে। বিষয়টি তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। তদন্ত কমিটি ওই পুলিশ সদস্যের আচরণ অপেশাদার ছিল কিনা, তার সাক্ষ্যপ্রমাণ নেবেন। তাদের প্রতিবেদন সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত রোববার ভোরে মোটরসাইকেল আরোহীকে ধাক্কা দেন লোহাগাড়া থানা পুলিশের কনস্টেবল মনসুর। এতে বাইক আরোহীসহ পুলিশ সদস্য আলাউদ্দিন চলন্ত ট্রাকের পেছনের চাকায় গিয়ে পড়েন। আলাউদ্দিনের ডান পায়ের গোড়ালি থেকে কেটে ফেলতে হয়েছে।
এসব বিষয়ে কথা বলতে মামলার বাদী এসআই মো. শরিফুল ইসলামকে বারবার কল দিলেও তিনি ফোন ধরেননি। তিনি ঘটনার সময়ে অস্থায়ী চেকপোস্টে দায়িত্বে ছিলেন।