স্বর্ণালংকার ও গরু বিক্রির টাকা লুট, ফেরার পথে গৃহকর্তাকে গুলি
Published: 24th, June 2025 GMT
কক্সবাজারের উখিয়ায় স্বর্ণালংকার এবং কোরবানির গরু বিক্রির টাকা লুটের ঘটনা ঘটেছে। লুট শেষে ফিরে যাওয়ার সময় গৃহকর্তাকে গুলি করে। এতে তার মৃত্যু হয়। একইসঙ্গে নিহত গৃহকর্তার ভাইকে কুপিয়ে আহত করে ডাকাত দল।
গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উখিয়া উপজেলার পূর্ব নূরারডেইল পাহাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তি হলেন নুরুল আমিন বাবুল (৪০)। তিনি ওই এলাকার মৃত ইসহাক আহমদের ছেলে। আহত হয়েছেন বাবুলের ছোট ভাই মোহাম্মদ হাসান (৩৫)।
নিহতের স্ত্রী আছিনা খাতুন বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় নুরুল আমিন বাবুল বাজারে মাছ কিনতে যান। সঙ্গে ছোট ভাই মোহাম্মদ হাসানও ছিলেন। তারা মাছ কিনতে বের হওয়ার কয়েক মিনিট পর মুখোশ পরা ১০-১২ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দল বাড়িতে হানা দেয়। ডাকাত দল বন্দুক, কিরিচ ও ছোরায় বাড়ির সবাইকে জিম্মি করে। এ সময় স্বর্ণালংকার এবং কোরবানির গরু বিক্রির ২ লাখ টাকা লুট করা হয়। লুট শেষে ডাকাত দল চলে যায়। পথে ডাকাত দলের সঙ্গে বাবুল ও হাসানের দেখা হয়। তখন ডাকাতরা গুলি ও কুপিয়ে তাদের আহত করে।
জালিয়াপালং ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবুল কালাম বলেন, স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নুরুল আমিনকে মৃত ঘোষণা করেন।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আরিফ হোছাইন বলেন, ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এটি ডাকাতি নাকি পূর্বশত্রুতার জেরে হয়েছে তা তদন্ত করছে পুলিশ। একইসঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ওসি আরও জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যায় দুই কারণ সামনে রেখে তদন্ত করছে পুলিশ
গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামানকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দুই কারণ সামনে রেখে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এর একটি হচ্ছে গাজীপুরে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারী দলের ধাওয়া দেওয়ার ভিডিও ধারণ করা এবং আরেকটি হচ্ছে পূর্বশত্রুতার বিষয়। পুলিশের দাবি, ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে হত্যাকারীদের চিহ্নিত করেছে তারা। তাঁদের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. মিজান ওরফে কেটু মিজান, তাঁর স্ত্রী গোলাপি, মো. স্বাধীন ও আল আমিন। পুলিশ জানিয়েছে, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে এই চারজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁরা ছিনতাইকারী দলের সদস্য। এর আগে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ গত বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুর নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করে।
পুলিশ জানায়, আসাদুজ্জামান হত্যাকাণ্ডের কিছুক্ষণ পরই স্থানীয় একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। সেই ফুটেজ দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হয়। এরপর তাঁদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের তিনটি দল ভিন্ন ভিন্ন এলাকায় অভিযানে নামে। গতকাল রাত আনুমানিক ১০টার দিকে গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর থেকে মো. মিজান ওরফে কেটু মিজান ও তাঁর স্ত্রী গোলাপিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের অপর একটি দল গাজীপুর শহরের পাশ থেকে স্বাধীনকে গ্রেপ্তার করে। এ ছাড়া রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে আল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, আসাদুজ্জামান হত্যাকাণ্ডের কিছুক্ষণ পরই স্থানীয় একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। সেই ফুটেজ দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হয়।নিহত সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন