মিষ্টির কারখানার পাশেই গোবরের স্তূপ, জরিমানা ৭০ হাজার
Published: 24th, June 2025 GMT
বিশাল গরুর খামারে গোবরের স্তূপ। খামার ঘেঁষেই মিষ্টিজাত পণ্য তৈরির কারখানা। নেই কোনো বেড়া বা ঢাকনার ব্যবস্থা। মশা, মাছি ও পোকা-মাকড় ভনভন করছে। উড়ে বেড়াচ্ছে পাখি।
লাইসেন্স ও বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই প্রায় দুই বছর ধরে চলছে কারখানাটি। অবশেষে সেখানে অভিযান চালিয়ে কারখানার মালিককে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুরে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার দয়রামপুর ঘোষপাড়া এলাকার বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভাণ্ডার অ্যান্ড বেকারিতে এ অভিযান চালানো হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কুষ্টিয়া কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো.
কারখানার ব্যবস্থাপক সুশান্ত রায় বলেছেন, “আমাদের ভুল হয়েছে। খুব শিগগির সংশোধন করা হবে।”
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মাসুম আলী বলেছেন, “যেন গরুর খামারেই তৈরি হচ্ছে মিষ্টিজাত পণ্য। এখানে পশু-পাখির অভয়ারণ্য ও অবাধ বিচরণ। কোনো বৈধতা নেই। অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশ এবং কাগজপত্রাদি না থাকায় ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।”
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে খুব শিগগির কারখানাটি বন্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মিকাইল ইসলাম।
ঢাকা/কাঞ্চন/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ব্যাংক গ্যারান্টি জমার সময় বাড়ল
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ফ্রাঞ্চাইজিদের পেশাদারিত্ব নিয়ে বারবারই প্রশ্ন তোলা হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। নতুন করে পাঁচ বছরের জন্য দল নেওয়া পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে নিয়েও বিপাকে আয়োজকরা।
নতুন করে দল পেতে ফ্রাঞ্চাইজিগুলোকে ১০ কোটি টাকার ব্যাংক গ্যারান্টি দেওয়ার কথা ছিল। গতকাল ছিল জমা দেওয়ার শেষ দিন। অথচ পাঁচ দলের তিনটিই জমা দেয়নি ব্যাংক গ্যারান্টি। যে দুইটি দল জমা দিয়েছে তাদের সব কাগজপত্রও এখন পর্যন্ত সব ঠিকঠাক পেয়েছে কিনা নিশ্চিত করতে পারেননি বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল।
ফ্রাঞ্চাইজিগুলোর আবেদনের প্রেক্ষিতে ব্যাংক গ্যারান্টি জমা দেওয়ার সময়ও বাড়ানো হয়েছে। এ খবর নিশ্চিত করেছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য ও বিসিবির সহসভাপতি শাখাওয়াত হোসেন। রাইজিংবিডিকে তিনি নিশ্চিত করেছেন, “মাত্র দুইটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংক গ্যারান্টি দিয়েছে। এজন্য সময় বাড়ানো হয়েছে। যেহেতু নিলাম ২৩ তারিখ। হাতে কিছুটা সময় আছে। আমরা সেই সুযোগটি দলগুলোকে দিচ্ছি।”
দ্রুত বিপিএল আয়োজন করতে গিয়ে দলগুলোকে কিছু ছাড়ও দিচ্ছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল, ‘আমরা অতি দ্রুত সব আয়োজন করছি। ফ্রাঞ্চাইজি বাছাই, দল গোছানো, ভেন্যু নির্বাচন, ফিক্সচার, বিদেশি খেলোয়াড় সংগ্রহ…সব কিছু তড়িৎ গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এবারের আয়োজন সফল করার চ্যালেঞ্জ আমাদের। আমরা সেই চেষ্টাই করছি। এগুলো আগামী আসর থেকে সব ঠিক হয়ে যাবে।”
জানা গেছে, ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক গ্যারান্টি জমা দেওয়ার শেষ সময় নির্ধারণ করেছে বিপিএল কর্তৃপক্ষ। এ সময়ে বাকিদের কাগজ পর্যালোচনা করবেন তারা, ‘যারা ব্যাংক গ্যারান্টি দিয়েছে তাদের কাগজপত্রও পর্যালোচনা করতে হবে। ব্যাংক গ্যারান্টি দিলেই হলো না। ভুয়া ব্যাংক গ্যারান্টিও আসে। তাই আমরা সতর্ক আছি। যাচাই-বাছাই করে আমরা দেখব, তারপর সব চূড়ান্ত হবে।”
যদি কোনো ফ্রাঞ্চাইজি নিলামের আগে ব্যাংক গ্যারান্টি দিতে না পারে তাহলে কী হবে? সেই প্রশ্নও করা হয়। অনুমিত উত্তরটাই আসলো, “নিলামে বসতে দেওয়া হবে না। তাদের যে ফ্রাঞ্চাইজি ফি ২ কোটি টাকা আছে সেটা ফেরত দেওয়া হবে না। স্বচ্ছতা না থাকলে বিপিএলে অংশগ্রহণ করার সুযোগ নেই।”
ঢাকা/ইয়াসিন