জেলা প্রশাসকের সাথে ইসলামী আন্দোলন’র দায়িত্বশীলদের মতবিনিময়
Published: 24th, June 2025 GMT
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরের দায়িত্বশীলবৃন্দ জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিয়ার সাথে বিশেষ মতিবিনিময় করেন। মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরের সভাপতি যথাক্রমে মাও. দ্বীন ইসলাম ও মুফতি মাসুম বিল্লাহ।
মহানগর সহ-সভাপতি মুহা.
বিষয়গুলো হলো-
১. মাদক এবং কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনকে শূন্য নীতি গ্রহণ করা এবং এগুলোর সাথে সংশ্লিষ্টদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা।
২. সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি-দখলের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে রাজনৈতিক পক্ষপাতহীন পদক্ষেপ নেওয়া।
৩. করোনা মোকাবিলায় আইসিইউ সেবা চালু। হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত করোনা টেষ্টের কীট সরবরাহ করা।
৪. ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও প্রতিকারে জনসচেতনার উদ্যোগ গ্রহণ । ডেঙ্গু শনাক্তে পর্যাপ্ত কীট ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।
৫. যানজট নিরোসনে থ্রি হুইলার নিয়ন্ত্রণ এবং ফুটপাতকে পথচারীদের চলাচলের উপযুক্ত করার ব্যবস্থা করা।
৬. দ্রুত রাস্তাঘাট মেরামত কাজ সম্পন্ন করে জনভোগান্তি দুর করা
৭. আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসন আমলে সংগঠিত গুম-খুন হত্যাসহ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র জনতার হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার ব্যাপারে আলোচনা হয়।
এছাড়াও এ সময় আগামী ২৮ জুলাই ইসলামী আন্দোলনের ঢাকায় মহাসমাবেশ এর প্রচারপত্র জেলা প্রশাসকের হাতে তুলে দেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
সোনারগাঁয়ে মহাষ্টমীতে মণ্ডপ পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার
শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে মহাষ্টমীর দিন সোনারগাঁ উপজেলার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা ও জেলা পুলিশ সুপার জসিম উদদীন।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় তারা সোনারগাঁ উপজেলার বারদী ও পঞ্চমীঘাটের পূজা মণ্ডপ ঘুরে দেখেন। এসময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, “জেলার ২২৪টি মণ্ডপে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দায়িত্ব পালন করছে। আমরা বিভিন্ন মণ্ডপে গিয়ে দেখছি, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ রয়েছে। এটি আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিরই প্রতিফলন।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। অতীতের মতো এখনো আমরা সেই ঐতিহ্য রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছি। ভবিষ্যতেও এই ধারা বজায় থাকবে। বিশ্ববাসীর কাছে আমরা জানাতে চাই, আমাদের সমাজ ও সংস্কৃতির মূল শক্তি হলো সম্প্রীতি।”
জেলা পুলিশ সুপার জসিম উদদীন বলেন, “জেলার সাতটি থানায় উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা উদযাপিত হচ্ছে। পুলিশ বাহিনীর পাশাপাশি অন্য বাহিনীগুলোও নিরাপত্তায় অংশ নিয়েছে। প্রতিটি মণ্ডপে পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দারা সার্বক্ষণিক নজরদারি করছে। কোনো ধরনের আশঙ্কার খবর পেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
তিনি যোগ করেন, “বিসর্জন পর্যন্ত নিরাপত্তার এ ব্যবস্থা চলমান থাকবে। আমরা বিশ্বাস করি, এর ফলে আনন্দমুখর পরিবেশে পূজা উদযাপন সফলভাবে সম্পন্ন হবে।”
এসময় নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার জসিম উদদীন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর আয়াজ আব্দুল্লাহ,জেলা প্রশাসকের সহধর্মিণী মিসেস হেমা জেরিন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট নিলুফা ইয়াসমিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নায়মা ইসলাম,সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার 'খ' আসিফ ইমাম, জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা, বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বারদী শ্রীশ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রম কমিটির ব্যবস্থাপক নয়ন চন্দ্র গোলদার, সভাপতি অশোক কুমার রায়, সেক্রেটারি শংকর কুমার দে, পঞ্চমীঘাট সার্বজনীন পূজা উদযাপন মণ্ডপ ও পানাম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাবু অমল পোদ্দার (সিআইপি) এবং মণ্ডপ কমিটির সভাপতি প্রদীপ পোদ্দার,বারদী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য আব্দুল হালিম, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল করিম,বারদী ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব দেলেয়ার হোসেন দুলু উপস্থিত ছিলেন।