খুলনায় এসআইকে মারধরের পর পুলিশে সোপর্দ
Published: 24th, June 2025 GMT
খুলনায় পুলিশের এসআই সুকান্ত দাশকে মারধর করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। পরে তারা তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে নগরীর ইস্টার্ন গেট এলাকায় হামলার শিকার হন তিনি।
ভুক্তভোগী বর্তমানে খানজাহান আলী থানা পুলিশের হেফাজতে আছেন।
এলাকাবাসী জানান, এসআই সুকান্তের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে সাধারণ মানুষ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্যাতন করার অভিযোগ রয়েছে। গত বছরের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর এসআই সুকান্তের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করেন ভুক্তভোগীরা।
আরো পড়ুন:
চাঁদা না দেওয়ায় দাড়ি ধরে টান, মারধরের অভিযোগ
খাতা জমা দিতে দেরি করায় ১৬ শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাত, হাসপাতালে ২
স্থানীয়রা জানান, আজ বিকেলে সিএনজিচালিত থ্রি-হুইলারে করে যাচ্ছিলেন এসআই সুকান্ত। থ্রি-হুইলারটি ইস্টার্ন গেটের সামনে দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানোর সময় ক্ষুদ্ধ বিএনপির নেতাকর্মীরা এসআই সুকান্তকে গাড়ি থেকে বের করে মারধর করেন। এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত বিএনপির সিনিয়র নেতারা তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে পুলিশের কাছে তুলে দেন।
খুলনা মহানগর বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিল্টন ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ফুলবাড়ি গেট এলাকায় দলীয় কর্মসূচি শেষে নেতাকর্মীরা ইস্টার্ন গেট এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় তারা এসআই সুকান্তকে দেখতে পেয়ে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করেন। এসআই সুকান্তের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় ৪-৫টি মামলা রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
খুলনার খানজাহান আলী থানার ওসি কবির হোসেন বলেন, “নিরাপত্তা জন্য এসআই সুকান্তকে হেফাজতে রাখা হয়েছে। তার শরীরে তেমন আঘাত লাগেনি, শুধু গায়ের টি-শার্ট ছিড়ে গেছে।”
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম রধর ব এনপ এসআই স ক ন ত ন ত কর ম ব এনপ র ম রধর
এছাড়াও পড়ুন:
পোশাককর্মীর এক মোবাইল ফোন উদ্ধারে গিয়ে ১৪৮টি জব্দ
চট্টগ্রাম মহানগরীতে এক পোশাককর্মীর চুরি যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করতে গিয়ে ১৪৮টি মোবাইল ফোন জব্দ করেছে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (পশ্চিম জোন)। এ সময় দুটি ডিএসএলআর ক্যামেরাও জব্দ করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে মোবাইল চুরি ও বিক্রয় সিন্ডিকেটের তিন সদস্যকে।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামের দামপাড়ায় মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন সিএমপি ডিবি বন্দর জোনের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিক। চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালী থানার পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন ও চৈতন্য গলি এলাকা থেকে এই বিপুল সংখ্যক মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গত ২৪ আগস্ট ভোরে চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানাধীন জাহাঙ্গীর কলোনির টিনশেড বাসা থেকে পোশাক শ্রমিক আকবর হোসেনের ভিভো ব্র্যান্ডের একটি মোবাইল ফোন কে বা কারা চুরি করে নিয়ে যায়। অসহায় এই শ্রমিক প্রায় ২০ দিন পর তার মোবাইল ফোন উদ্ধারে গোয়েন্দা পুলিশ পশ্চিম জোনের শরণাপন্ন হন।
অভিযোগ পেয়ে মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করতে ডিবি পশ্চিম জোনের এসআই মো. ইমাম হোসেনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে উপ-কমিশনার মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিকের দিকনির্দেশনায় পুলিশ পরিদর্শক ধীমান মজুমদারের তত্ত্বাবধানে এসআই মো. ইমাম হোসেনের নেতৃত্বে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে নগরের কোতোয়ালী থানার পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় পোশাককর্মী আকবরের চুরি যাওয়া মোবাইল ফোনসহ ৪৮টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় সোহেল মিয়া (৩৩) নামের মোবাইল চোর চক্রের এক সদস্যকে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কোতোয়ালী থানাধীন স্টেশন রোড ও চৈতন্য গলি এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোর চক্রের দুই সদস্য আবদুল হাকিম (২৭) ও মো. ইয়াছিনকে (২০) গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় দুটি আইফোন ও দুটি ডিএসএলআর ক্যামেরা।
আটক ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে মোবাইল ফোন চুরি, ছিনতাই ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
জব্দ করা মোবাইল ফোনগুলো আইনি প্রক্রিয়ায় প্রকৃত মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার আবু বক্কর সিদ্দিক।
ঢাকা/রেজাউল/রফিক