খুলনায় পুলিশের এসআই সুকান্ত দাশকে মারধর করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। পরে তারা তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে নগরীর ইস্টার্ন গেট এলাকায় হামলার শিকার হন তিনি।

ভুক্তভোগী বর্তমানে খানজাহান আলী থানা পুলিশের হেফাজতে আছেন।

এলাকাবাসী জানান, এসআই সুকান্তের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে সাধারণ মানুষ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্যাতন করার অভিযোগ রয়েছে। গত বছরের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর এসআই সুকান্তের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করেন ভুক্তভোগীরা।

আরো পড়ুন:

চাঁদা না দেওয়ায় দাড়ি ধরে টান, মারধরের অভিযোগ

খাতা জমা দিতে দেরি করায় ১৬ শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাত, হাসপাতালে ২

স্থানীয়রা জানান, আজ বিকেলে সিএনজিচালিত থ্রি-হুইলারে করে যাচ্ছিলেন এসআই সুকান্ত। থ্রি-হুইলারটি ইস্টার্ন গেটের সামনে দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানোর সময় ক্ষুদ্ধ বিএনপির নেতাকর্মীরা এসআই সুকান্তকে গাড়ি থেকে বের করে মারধর করেন। এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত বিএনপির সিনিয়র নেতারা তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে পুলিশের কাছে তুলে দেন।

খুলনা মহানগর বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিল্টন ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ফুলবাড়ি গেট এলাকায় দলীয় কর্মসূচি শেষে নেতাকর্মীরা ইস্টার্ন গেট এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় তারা এসআই সুকান্তকে দেখতে পেয়ে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করেন। এসআই সুকান্তের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় ৪-৫টি মামলা রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

খুলনার খানজাহান আলী থানার ওসি কবির হোসেন বলেন, “নিরাপত্তা জন্য এসআই সুকান্তকে হেফাজতে রাখা হয়েছে। তার শরীরে তেমন আঘাত লাগেনি, শুধু গায়ের টি-শার্ট ছিড়ে গেছে।”

ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম রধর ব এনপ এসআই স ক ন ত ন ত কর ম ব এনপ র ম রধর

এছাড়াও পড়ুন:

চাটমোহরে ২ পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫, মোটরসাইকেল ভাঙচুর

পাবনার চাটমোহরে দুই পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এসময় চারটি মোটরসাইকেল ও দুটি দোকান ভাঙচুর হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (২৩ জুন) সকালে এবং দুপুরে উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামে সংঘর্ষে জড়ায় পক্ষ দুইটি। চাটমোহর থানার ওসি মনজুরুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আহতরা হলেন- রতনপুর গ্রামের মৃত আজিজল বিশ্বাসের ছেলে আনিছুর রহমান, নুর ইসলামের ছেলে রনজু প্রামাণিক, তার ভাই মোসলেম প্রামাণিক, শহিদ হোসেনের ছেলে পলক হোসেন, বাবলু হোসেনের ছেলে মারুফ হোসেন, মৃত আমজাদ বিশ্বাসের ছেলে ফরিদ বিশ্বাস, তালেব বিশ্বাসের ছেলে আফসার বিশ্বাস, আফসার বিশ্বাসের ছেলে সুমন হোসেন, সাত্তার হোসেনের ছেলে রফিকুল ইসলাম, শাহজাহান আলীর ছেলে জনি হোসেন ও মৃত নিজাম উদ্দিনের ছেলে রেজাউল করিমসহ অন্তত ১৫ জন।

আরো পড়ুন:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২ পক্ষের সংঘর্ষ, কব্জি বিচ্ছিন্নসহ আহত ৬

যশোরে সংঘর্ষে আহত যুবদল কর্মীর মৃত্যু, গ্রেপ্তার ৩ 

এলাকাবাসী জানান, রতনপুর গ্রামের গরু ব্যবসায়ী জনি হোসেনের সঙ্গে একই গ্রামের ব্যবসায়ী আইনুল বিশ্বাসের পিকআপ ট্রাকের শেয়ারে ব্যবসা ছিল। আজ সকালে ট্রাকের শেয়ার নিয়ে আইনুল ও জনির মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার জেরে আইনুলের লোকজন মথুরাপুর গ্রামে গরুর খামার এলাকায় গিয়ে জনিকে মারধর করে। জনিকে মারধরের খবর তার সমর্থকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে তারা রতনপুর গ্রামে আইনুলের বাড়িতে যান।

সেখানে তারা আইনুলের আত্মীয় ও গ্রামবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এসময় উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন। সংঘর্ষ চলকালে ওই গ্রামের সাবেক মেম্বার মোজাম্মেল হোসেনের দুইটি দোকান এবং চারটি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

চাটমোহর থানার ওসি মনজুরুল আলম বলেন, ‍“পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। বর্তমানে সেখানকার পরিবেশ শান্ত আছে। থানায় কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/শাহীন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জেলা প্রশাসকের সাথে ইসলামী আন্দোলন’র দায়িত্বশীলদের মতবিনিময়
  • খুলনায় এসআইকে মারধর করে পুলিশে দিলেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা
  • এসআইকে মারধর করে পুলিশে হস্তান্তর
  • বদলে গেল জবির ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের’ নাম
  • চাটমোহরে ২ পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫, মোটরসাইকেল ভাঙচুর
  • সোনারগাঁয়ে চাদাঁ না পেয়ে হত্যার হুমকি, অস্ত্রধারী বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার 
  •  সোনারগাঁয়ে চাদাঁ না পেয়ে হত্যার হুমকি, অস্ত্রধারী বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার 
  • তানোরে ট্রাক-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১
  • গোপালগঞ্জে আলাদা তিন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩