সোনারগাঁয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ কালভার্ট সংরক্ষণ ও সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন
Published: 25th, June 2025 GMT
সোনারগাঁয়ে সাদিপুর ইউনিয়নের নয়াপুর বাজারে ৫ গ্রামের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র কালভার্টটি সংরক্ষণ ও সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ৫ গ্রামের অত্যন্ত কয়েকশত মানুষ।
বুধবার (২৫ জুন ২০২৫) দুপুর ২ টায় প্রখর সূর্যের তাপ ও রাস্তার ধুলোবালি উপেক্ষা করে মদনপুর টু গাউছিয়া হাইওয়েতে নয়াপুর বাজারের পাশে উক্ত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সোনারগা উপজেলা উত্তরের আমীর মাওলানা ইসহাক মিয়া, গ্রাম বাংলা টিউব লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আবু বক্কর,নয়াপুর উত্তর পাড়া মসজিদের সেক্রেটারি মোঃ ঈসমাইল ও কোষাদক্ষ মোঃ আরিফ,বিশিষ্ট সমাজ সেবক মোঃ রুহুল আমিনসহ ৫ গ্রামের অত্যন্ত কয়েকশত বাসিন্দা।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে সোনারগাঁও উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা ইসহাক মিয়া বলেন, আমরা যেখানে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করছি এটি একটি জনগুরুত্বপূর্ণ কালভার্ট ও খাল।
যেই কালবার্টের নিচ দিয়ে আমাদের পূর্বপুরুষেরা নৌকা নিয়ে চলাফেরা করতেন এবং আমাদের সাদীপুর, হাতুরাপাড়া, আন্দারমানিকসহ পাঁচ গ্রামের পানি নিষ্কাশিত হয় কিন্তু গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি মদনপুর টু গাউছিয়া হাইওয়ে সংস্কার কাজ করার সময় এই জনগুরুত্বপূর্ণ খালটি ভরাট করার পাঁয়তারা চলছে।
যদি খালটি ভরাট করা হয় তাহলে সাদীপুর ইউনিয়ন ও জামপুর ইউনিয়নের কমপক্ষে পাঁচ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়বে। মানুষের বসতভিটা, ঘরবাড়ি, ফসলি জমি সব কিছু পানির নিচে তলিয়ে যাবে।
আমরা গ্রামবাসী কালবার্ট ও খাল বহাল রাখার জন্য নারায়ণগঞ্জ ডিসি মহোদয়, প্রকল্প পরিচালক, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, সোনারগাঁ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর আবেদন করেছি। আমরা আশা করছি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এলাকাবাসীর কল্যাণে এই খাল ও কালবার্টটি বহাল রেখে রাস্তা সংস্কার করবে।
এই সময় খাল ও কালবার্ট এর গুরুত্ব উল্লেখ করে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে অনেকেই বক্তব্য রাখেন। পরে হাইওয়েতে বিক্ষোভ মিছিলের মধ্যে দিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি শেষ হয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ স ন রগ
এছাড়াও পড়ুন:
সোনারগাঁয়ে বিদ্যালয়ের মালামাল বিক্রির ঘটনায় ঝাড়ু-জুতা মিছিল
সোনারগাঁয়ে পঞ্চমীঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের মালামাল রাতের আধাঁরে গোপনে বিক্রির ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবীতে ঝাড়ু ও জুতা মিছিল করেছেন বিদ্যালয়ের বর্তমান–সাবেক শিক্ষার্থী ও স্থানীয় এলাকাবাসী।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে সাদিপুর ইউনিয়নের পঞ্চমীঘাট স্কুলের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। অভিযুক্ত বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মনিরুজ্জামান ভূইয়া, সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান ভূইয়া মাসুম এবং একাধিক অভিযোগের মুখে থাকা প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে সাদিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি তাজুল ইসলাম বলেন, “এ ইউনিয়নকে যেন ব্যক্তিগত সম্পত্তি মনে করে মাসুম ও মনিরুজ্জামান নিজেদের ইচ্ছেমতো সব কিছু সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।
তাদের নেতৃত্বে বিদ্যালয়ের মালামাল রাতের আধাঁরে নিয়মবহির্ভূতভাবে বিক্রি করা হয়। পরে এলাকাবাসী মালামাল ভর্তি গাড়ি আটক করে। কিন্তু এখন উল্টো ভালো মানুষদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ ছড়ানো হচ্ছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।”
সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান মাসুদ মোল্লা বলেন, “একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মালামাল চুরি করে বিক্রি করার মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা আমাদের ইউনিয়নের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে।
স্কুলের মতো পবিত্র জায়গায় দুর্নীতি ও অনিয়ম কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “এলাকাবাসী রাতেই মালামাল আটকে দিয়ে প্রমাণ করেছে—এ এলাকার মানুষ অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবসময় ঐক্যবদ্ধ। আমরা চাই প্রশাসন যেন বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে।”
এলাকাবাসীরা জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মালামাল বিক্রির মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে প্রয়োজন কঠোর নজরদারি ও পরিচালনা কমিটিতে সৎ-নিষ্ঠাবান ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তি।
মানববন্ধন শেষে এলাকাবাসী ঝাড়ু ও জুতা প্রদর্শন করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতীকী প্রতিবাদ জানান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান ভূইয়া মাসুম জানান, একটি কুচক্রী মহল উদ্দেশ্যপ্রণীত ভাবে আমাদের বিতর্কিত করতে বিক্রি করা মালামাল চুরির ঘটনা সাজিয়েছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে গতকাল মিটিং করেছি৷
অভিযুক্ত বর্তমান কমিটির সভাপতি মনিরুজ্জামান ভূইয়া জানান, আমরা স্কুলের একটি কমিটি করে বিক্রি করেছি। তবেমাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে কোনো অনুমতি নেই নি। বিক্রি করার পর গাড়িতে উঠাতে রাত হয়ে যায়। এখানে কোনো চুরির ঘটনা ঘটে নি।
উল্লেখ্য, গত (৯ সেপ্টেম্বর) শনিবার স্কুল বন্ধ থাকা সত্ত্বেও সভাপতি ও প্রধান শিক্ষককের নির্দেশে রাতের আধাঁরে নিয়মবহির্ভূতভাবে পঞ্চমীঘাট স্কুলের মালামাল বিক্রি করা হয়। যা স্থানীয় এক ভাঙ্গারীর পিক-আপ ভ্যানে নেয়ার সময় স্থানীয়রা আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।