সাত ক্যাচের চারটি ফেলেছেন জয়সোয়াল, যা বললেন গিল
Published: 25th, June 2025 GMT
দুই ইনিংস মিলিয়ে ভারত করে ৮৩৫ রান। ম্যাচে ছিল পাঁচটি ব্যক্তিগত সেঞ্চুরি। এর মধ্যে ঋষভ পন্থ দুই ইনিংসেই করেন সেঞ্চুরি। জাসপ্রিত বুমরাহ প্রথম ইনিংসে নেন ৫ উইকেট। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স আর ৮০০-এর ওপরে রান করার পরও হেডিংলিতে ইংল্যান্ডের কাছে ভারতের ৫ উইকেটের পরাজয় নিয়ে চলছে সমালোচনা। কেউ সামনে এনেছেন দুই ইনিংসের শেষের ঝড়কে, কেউ বা এনেছেন বাজে ফিল্ডিংকে।
দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৯ রান করা ইংলিশ ব্যাটার বেন ডাকেট জীবন পেয়েছেন। প্রথম ইনিংসে ৯৯ রান করা হ্যারি ব্রুককে প্রথম ইনিংসে জীবন দিয়েছেন ভারতের ফিল্ডাররা। তবে সবচেয়ে বাজে ফিল্ডিং করেছেন জয়সোয়াল। ভারতের ফিল্ডাররা যে সাতটি ক্যাচ ফেলেছেন, জয়সোয়াল একাই ফেলেছেন চারটি ক্যাচ। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে করুন নায়ারের হাত থেকে ফসকে যায় বল। পরিসংখ্যান
টেস্টে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ রান তাড়া
স্কোর প্রতিপক্ষ ভেন্যু সাল
৩৭৮/৩ ভারত বার্মিংহাম ২০২২
৩৭৩/৫ ভারত হেডিংলি ২০২৫
৩৬২/৯ অস্ট্রেলিয়া হেডিংলি ২০১৯
৩৩২/৭ অস্ট্রেলিয়া মেলবোর্ন ১৯২৮
৩১৫/৪ অস্ট্রেলিয়া হেডিংলি ২০০১
ম্যাচ শেষে ক্যাচ মিসের প্রসঙ্গটি সামনে আনেন ভারত অধিনায়ক শুভমান গিল, ‘ক্যাচ মিস নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু যখন আপনি মাঠে থাকেন, তখন সবকিছু খুব দ্রুত ঘটে যায়। আমি মনে করি, এটি এমন একটি দিক, যেটি আমাদের আগামী ম্যাচগুলোতে ঠিক করতে হবে। এমন উইকেটে সুযোগ সহজে আসে না, আর আমরা বেশ কিছু ক্যাচ ফেলেছি।’
৮০০-এর ওপরে রান করেও পরাজিত দল
দল রান প্রতিপক্ষ ভেন্যু সাল
ইংল্যান্ড ৮৬১ অস্ট্রেলিয়া হেডিংলি ১৯৪৮
পাকিস্তান ৮৪৭ ইংল্যান্ড রাওয়ালপিন্ডি ২০২২
নিউজিল্যান্ড ৮৩৭ ইংল্যান্ড নটিংহাম ২০২২
ভারত ৮৩৫ ইংল্যান্ড হেডিংলি ২০২৫
ইংল্যান্ড ৮১৭ অস্ট্রেলিয়া অ্যাডিলেড ১৯২১
শুধু ক্যাচই নয়, যেভাবে দুই ইনিংসে ব্যাটিংধস হয়েছে ভারতের, তা অবাক করেছে ক্রিকেটবোদ্ধাদের। প্রথম ইনিংসে মাত্র ৪১ রান তুলতে হারায় ৭ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে যখন বড় স্কোরের পথে হাঁটছিল, তখন টেলএন্ডারদের ব্যর্থতা। এই ইনিংসে ৩১ রানে হারায় শেষ ছয় ব্যাটারকে। প্রথম ধসে খুব একটা সমস্যা হয়নি; ভারত লিড নেয় ৬ রানে। কিন্তু দ্বিতীয় ধসের ফল তো সবাই দেখেছে। পঞ্চম দিনে প্রয়োজনীয় ৩৫০ রান করে ইংলিশরা জিতে নেয় টেস্ট। প্রথমবার টেস্টে ভারতকে নেতৃত্ব দেওয়া গিলও প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন।
গিলের ভাবনায় ছিল স্কোর ৪৩০-এর মতো করতে পারবেন তারা, ‘আমরা ভেবেছিলাম, দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৩০ রানের মতো তুলে ইনিংস ঘোষণা করব। অপ্রত্যাশিতভাবে অল্প রানের মধ্যে আমাদের ৬ উইকেট পড়ে যায়।’
কোচ গৌতম গম্ভীর শেষের ধসের কথাকে এভাবে ব্যাখ্যা করেছেন, ‘যদি আমরা প্রথম ইনিংসে ৫৭০ কিংবা ৫৮০ করতে পারতাম, তাহলে টেস্টে আধিপত্য আমাদেরই থাকত। মাঝেমধ্যে মানুষ ব্যর্থ হয় (টেলএন্ডারদের নিয়ে)। আমি জানি, এটি হতাশাজনক। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, অন্য যে কারোর চেয়ে তারা বেশি হতাশ। কারণ তারা বুঝতে পারছে, কত বড় সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে। আশা করি, তারা এখান থেকে শিখতে এবং সামনের ম্যাচে আমাদের টেলএন্ডারদের কাছ থেকে আরও সেরা পারফরম্যান্স দেখতে পাব। তবে আমি মনে করি না, হারের এটিই বড় কারণ।’
সংখ্যাতথ্য
৩৫০ : হেডিংলি টেস্টে পঞ্চম দিনে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ৩৫০ রান। সেটি তারা করেছে। রান তাড়ায় টেস্টের শেষ দিনে এর চেয়ে বেশি রান আছে একটি। ১৯৪৮ সালে এই হেডিংলিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া পঞ্চম দিনে ৪০৪ রান করে ম্যাচ জিতেছিল।
১ : পাঁচ সেঞ্চুরির পরও টেস্টে হারের নজির ভারতেরই প্রথম। ১৯২৮ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার চার ব্যাটার সেঞ্চুরির পরও অসিরা হেরেছিল।
৩ : টেস্টে তৃতীয়বারের মতো চারটি ইনিংসেই ৩৫০ প্লাস স্কোর হয়েছে। ইংল্যান্ড-ভারত হেডিংলি টেস্টের আগের দু’বারই এমনটা হয়েছিল অ্যাশেজে– ১৯২১ সালে অ্যাডিলেড ও ১৯৪৮ সালে হেডিংলিতে।
১৬৭৩ : হেডিংলিতে ইংল্যান্ড ও ভারতের ইনিংস মিলে রান হয়েছে ১৬৭৩, যা দুই দেশের মধ্যকার টেস্ট লড়াইয়ে সর্বোচ্চ। আগেরটি ছিল ১৯৯০ সালে। সে সময় ম্যানচেস্টারে রান উঠেছিল ১৬১৪।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শ ভমন গ ল প রথম ইন র ন কর আম দ র দ ই ইন উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
লোপেজ বললেন, ‘বিচ্ছেদ জীবনের সেরা ঘটনা’
তাঁদের জীবনের গল্প সিনেমার চিত্রনাট্যের মতোই। তুমুল প্রেম, বাগ্দানের পর সবাই যখন বিয়ের অপেক্ষায়; তখন হঠাৎই আসে বিচ্ছেদের ঘোষণা। এরপর দীর্ঘ সময় গড়িয়েছে, দুজনই ভিন্ন সম্পর্কে থিতু হয়েছেন। তবে নিয়তি বোধ হয় চেয়েছিল তাঁদের পুনর্মিলন, শেষ পর্যন্ত সেটাও হয়। কিন্তু দুই বছর গড়াতেই সম্পর্ক ভাঙে, সম্পর্কের দ্বিতীয় সুযোগও কাজে লাগাতে পারেননি হলিউডের তারকা দম্পতি বেন অ্যাফ্লেক ও জেনিফার লোপেজ। বিচ্ছেদের পর বছর পার হয়েছে কিন্তু এ বিষয়ে দুই তারকার কেউই তেমন কথা বলেননি। এবার সিবিএস নিউজ সানডে মর্নিং অনুষ্ঠানে এসে বিচ্ছেদ নিয়ে প্রথমবার সবিস্তার কথা বললেন লোপেজ।
একনজরে বেন-লোপেজের সম্পর্কপ্রথম পরিচয়: ১৯৯৮ সালে, ‘আর্মাগেডন’ ছবির প্রিমিয়ারে।
প্রেম: ২০০২ সালে, ‘গিগলি’ সিনেমার সেটে।
প্রথম বাগ্দান: ২০০২ সালে, ২০০৩ সালে বিয়ে করার ঘোষণা।
প্রথম বিচ্ছেদ: ২০০৪ সালে বাগ্দান ভেঙে দিয়ে বিচ্ছেদের ঘোষণা।
পুনর্মিলন: ২০২১ সালে আবার প্রেম শুরু করেন বেন ও লোপেজ।
দ্বিতীয় বাগ্দান: ২০২২ সালে এপ্রিলে দ্বিতীয়বার বাগ্দান সারেন।
অবশেষে বিয়ে: ২০২২ সালের ১৬ জুলাই বিয়ে করেন এই তারকা জুটি।
বিচ্ছেদের আবেদন: ২০২৪ সালের ২০ আগস্ট বিচ্ছেদের আবেদন করেন লোপেজ।
২৮ সেপ্টেম্বর প্রচারিত অনুষ্ঠানে লোপেজ বলেন, বেনের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর পর তাঁর উপলব্ধি ছিল, এটা তাঁর জীবনের ঘটে যাওয়া সেরা ঘটনা। বিচ্ছেদকে ‘সেরা ঘটনা’ বলার পেছনের কারণ ব্যাখ্যা করে এই গায়িকা-অভিনেত্রী বলেন, ‘এটা আমাকে বদলে দিয়েছে। এটা আমাকে এমনভাবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করেছে, যেটা আমার জন্য দরকার ছিল।’
অ্যাফ্লেকের প্রতি কৃতজ্ঞতা
২০২৪ সালের আগস্টে লোপেজ বিচ্ছেদের আবেদন করেন; চূড়ান্ত হয় ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে। ডিভোর্সের সময়ে লোপেজ শুটিং করছিলেন নতুন ছবি ‘কিস অব দ্য স্পাইডার ওমেন’-এর। এ সিনেমায় তাঁর সঙ্গে আরও অভিনয় করেছেন দিয়েগো লুনা ও টোনাটিউ। এটি ১৯৯৩ সালের ব্রডওয়ে মিউজিক্যাল থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি, যা মানুয়েল পুইগের ১৯৭৬ সালের উপন্যাসের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। এই গল্প আগেও ১৯৮৫ সালে সিনেমার পর্দায় এসেছে, যেখানে অভিনয় করেছিলেন উইলিয়াম হার্ট, রাউল জুলিয়া ও সোনিয়া ব্রাগা। নতুন সংস্করণে জেনিফার লোপেজ প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যা তাঁর প্রথম মিউজিক্যাল চলচ্চিত্রও বটে।