উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর
Published: 26th, June 2025 GMT
মাইক্রোসফট আগেই জানিয়েছে, আগামী ১৪ অক্টোবরের পর উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেমের জন্য আর কোনো সফটওয়্যার হালনাগাদ, নিরাপত্তা সংশোধনী বা কারিগরি সহায়তা দেওয়া হবে না। শুধু তা–ই নয়, ব্যবহারকারীদের দ্রুত উইন্ডোজ ১১–তে হালনাগাদ করার পরামর্শও দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এর ফলে উইন্ডোজ ১০-এর সমর্থন শেষ হওয়ার সময় যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই দুশ্চিন্তা বাড়ছে ব্যবহারকারীদের মধ্যে। তবে নতুন এক ঘোষণায় মাইক্রোসফট জানিয়েছে, আগামী ১৪ অক্টোবর উইন্ডোজ ১০–এর জন্য মাইক্রোসফটের আনুষ্ঠানিক সহায়তা (সাপোর্ট) শেষ হচ্ছে। এরপর সাধারণ নিরাপত্তা আপডেট আর পাওয়া যাবে না। তবে যাঁরা আরও কিছুদিন উইন্ডোজ ১০ ব্যবহার করতে চান, তাঁদের জন্য চালু হচ্ছে ইএক্সটেন্ডেড সিকিউরিটি আপডেটস (ইএসইউ) সুবিধা। আপডেটটি ২০২৬ সালের ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত পাওয়া যাবে। ব্যবহারকারীরা চাইলে অর্থের বিনিময়ে বা নির্দিষ্ট শর্ত মেনে বিনা মূল্যে ইএসইউ সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন।
মাইক্রোসফটের তথ্যমতে, উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেমে তিনটি পদ্ধতিতে ইএসইউ সুবিধা পাওয়া যাবে। এর মধ্যে একমাত্র বিনা মূল্যের পদ্ধতিটি হলো উইন্ডোজ ব্যাকআপ ফিচার চালু করে যন্ত্রের সেটিংস ও ফোল্ডার ক্লাউডে সংরক্ষণ করা। তবে এই ব্যাকআপের জন্য মাইক্রোসফটের ক্লাউড সেবা ওয়ানড্রাইভ ব্যবহার করতে হবে। ওয়ানড্রাইভে বিনা মূল্যে ৫ গিগাবাইট পর্যন্ত ডেটা সংরক্ষণের সুযোগ রয়েছে। তাই তথ্যের পরিমাণ বেশি হলে অতিরিক্ত জায়গা কিনতে হতে পারে।
বছরে ৩০ ডলার পরিশোধ করে বা মাইক্রোসফট রিওয়ার্ডস পয়েন্টের মাধ্যমেও ইএসইউ সুবিধা পাওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্টে কমপক্ষে ১ হাজার পয়েন্ট থাকতে হবে। আগামী মাসে উইন্ডোজ ১০–এ যুক্ত করা হবে একটি নতুন ইএসইউ এনরোলমেন্ট উইজার্ড। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তিনটি পদ্ধতির যেকোনো একটি বেছে নিতে পারবেন। পর্দায় নির্দেশনা অনুসরণ করলেই কম্পিউটার স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইএসইউতে যুক্ত হয়ে যাবে।
সূত্র: দ্য ভার্জ
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
৬ বছর পর পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়
টি-টোয়েন্টির পর ওয়ানডেতেও পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়খরা কাটাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কাল রাতে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সালমান আগাদের ডিএল মেথডে ৫ উইকেটে হারিয়েছে শাই হোপের দল। ২০১৯ সালের পর এই প্রথম পাকিস্তানের বিপক্ষে জিতল ক্যারিবীয়রা। এর আগে দুই দলের টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ৮ বছরের জয়খরা কাটিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেটি ছিল বৃষ্টিবিঘ্নিত। প্রথমে ব্যাট করে ৩৫ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭১ রান করে পাকিস্তান। বৃষ্টি-বিলম্বের কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৫ ওভারে ১৮১। রোস্টন চেজ ও শারফেন রাদারফোর্ডের সৌজন্যে ১০ বল আগেই জয় নিশ্চিত করে স্বাগতিকেরা।
রান তাড়ায় নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১২ রানের মধ্যেই হারিয়ে ফেলেছিল দুই ওপেনার ব্রান্ডন কিং ও এভিন লুইসকে। দুজনকেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান হাসান আলী। তিনে নামা কিসি কার্টিও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি, আবরার আহমেদের বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন দলীয় ৪৮ রানে।
এরপর রাদারফোর্ডকে নিয়ে ৫৪ রানের জুটি গড়ে তোলেন অধিনায়ক হোপ। মোহাম্মদ নওয়াজের বলে হোপ স্টাম্পড হন তিনি ((৩৫ বলে ৩২)। নওয়াজ পরের ওভারে ফেরান রাদারফোর্ডকেও (৩৩ বলে ৪৫)। ১০৭ রানে পঞ্চম উইকেট হারানোর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বাকি পথে আর বিপদে পড়তে দেননি চেজ ও গ্রিভস। ষষ্ঠ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন থেকে ৭২ বলে ৭৭ রান যোগ করে ম্যাচের সমাপ্তি টানেন তাঁরা। চেজ ৪৭ বলে ৪৯ এবং গ্রিভস ৩১ বলে ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তানের হয়ে কেউই নিজেদের ইনিংস বড় করতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৩০ বলে ৩৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন হাসান নওয়াজ। হুসাইন তালাত করেন ৩১ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে জেইডেন সিলস ২৩ রানে নেন ৩ উইকেট। দিন শেষে ম্যাচসেরা অবশ্য চেজই, যিনি ৪৯ রানের অপরাজিত ইনিংসের আগে একটি উইকেটও নিয়েছেন।
২০১৯ বিশ্বকাপে নটিংহামে ৭ উইকেটে জয়ের পর গতকালের আগপর্যন্ত ৪ বার ওয়ানডেতে পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিততে পারেনি কোনেটিতেই। এই সিরিজের প্রথম ম্যাচেও পাকিস্তান জিতেছিল ৫ উইকেট। তিন ম্যাচ সিরিজে এই মুহূর্তে ১-১ সমতা চলছে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ৩৫ ওভারে ১৭১/৭ (নওয়াজ ৩৬*, তালাত ৩১, শফিক ২৬; সিলস ৩/২৩)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৩৩.২ ওভারে ১৮৪/৫ (চেজ ৪৯*, রাদারফোর্ড ৪৫, হোপ ৩২; নওয়াজ ২/১৭)।
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫ উইকেটে জয়ী (ডিএল মেথড)।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: রোস্টন চেজ।