অনলাইন: শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধিতে শীর্ষ পাঁচ কোম্পানি
Published: 26th, June 2025 GMT
আজ বৃহস্পতিবার সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস। শেয়ারবাজারের লেনদেন শেষ হয়েছে। গতকাল বুধবারের মতো আজও ৪০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে শেয়ারবাজারে। আজ মোট ৪৭৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দেখে নেওয়া যাক, কোন কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে।
১. ড্রাগন সোয়েটার
মূল্যবৃদ্ধির দিক থেকে আজ প্রথম স্থানে আছে ড্রাগন সোয়েটার অ্যান্ড স্পিনিং লিমিটেড। এ কোম্পানির শেয়ারের দাম আজ বেড়েছে ১০ শতাংশ। গতকাল দিন শেষে এই কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল ৯ টাকা। আজ লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম হয়েছে ৯ দশমিক ৯ টাকা। কোম্পানিটি ২০২৪ ও ২০২৩ সালে ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।
২.
লিগ্যাসি ফুটওয়্যার
ডিএসইর ওয়েবসাইটের তথ্যানুসারে, আজ মূল্যবৃদ্ধির দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে আছে লিগ্যাসি ফুটওয়্যার। কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। আজ দিন শেষে শেয়ারটির দাম হয়েছে ৫৮ দশমিক ৬ টাকা। গতকাল দিন শেষে দাম ছিল ৫৩ দশমিক ৩ টাকা। কোম্পানিটি ২০২৪ সালে ১ শতাংশ ও ২০২৩ সালে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।
৩. দেশ গার্মেন্টস
আজ মূল্যবৃদ্ধির দিক থেকে তৃতীয় স্থানে আছে দেশ গার্মেন্টস। এই কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। গতকাল দিন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ছিল ৯৮ দশমিক ৬ টাকা। আজ দিন শেষে দাম বেড়ে হয়েছে ১০৮ দশমিক ৪ টাকা। কোম্পানিটি ২০২৪ ও ২০২৩ সালে ৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।
৪. ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচুয়াল
চতুর্থ স্থানে আছে ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। আজ এই কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ৩০ শতাংশ। গতকাল দিন শেষে এর দাম ছিল ৪ দশমিক ৩ টাকা। আজ দিন শেষে দাম হয়েছে ৪ দশমিক ৭ টাকা। কোম্পানিটি ২০২৩ সালে ৩ শতাংশ ও ২০২২ সালে ৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।
৫. এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল
পঞ্চম স্থানে থাকা এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়ালের শেয়ারের দাম বেড়েছে ৮ দশমিক ১০ শতাংশ। গতকাল দিন শেষে এই কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল ৩ দশমিক ৭ টাকা। আজ দিন শেষে এর দাম হয়েছে ৪ টাকা। এই কোম্পানি ২০২৩ সালে ৩ শতাংশ ও ২০২২ সালে ৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এই ক ম প ন র শ য় র র দ ম গতক ল দ ন শ ষ আজ দ ন শ ষ ২০২৩ স ল দ ম হয় ছ ৯ দশম ক ল নদ ন
এছাড়াও পড়ুন:
চুক্তিভিত্তিক আমদানিতে আর্থিক দায়মুক্তি পেল ব্যাংক
চুক্তিভিত্তিক পণ্য আমদানিতে আর্থিক দায়মুক্তি পেল ব্যাংকগুলো। আগে এ ধরনের লেনদেনের বিপরীতে দায় পরিশোধে ব্যাংকগুলোর বাধ্যবাধকতা ছিল। এক সার্কুলারের মাধ্যমে বিষয়টি স্পষ্ট করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে চুক্তিভিত্তিক পণ্য আমদানিতে আগ্রহী হবে ব্যাংকগুলো।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, চুক্তির আওতায় পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো আমদানিকারকের ওপর কোনো আর্থিক ঝুঁকি বা দায় থাকবে না। আমদানিকারকদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তহবিল ব্যবহার করেই আমদানি মূল্য পরিশোধের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। শুধু প্রক্রিয়াগত আনুষ্ঠানিকতা অনুসরণ করতে ব্যাংকগুলোকে বলা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
পণ্য আমদানি করতে বিদেশে পাঠানো যাবে ১ লাখ ডলার
ব্যাংকিং খাত সংস্কারে এডিবির ৬১৫০ কোটি টাকা ঋণ অনুমোদন
এর আগে, ২০২২ সালের একটি সার্কুলারে ব্যাংকগুলোকে চুক্তিভিত্তিক আমদানির বিপরীতে মূল্য পরিশোধ নিশ্চিত করতে বলা হয়েছিল। এর ফলে অনেক ব্যাংক এমন লেনদেনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। নতুন এই সার্কুলারের ফলে ব্যাংকগুলো আগের চেয়ে বেশি সক্রিয়ভাবে এই ধরনের আমদানি কার্যক্রমে অংশ নেবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
তারা বলছেন, ২০২২ সালে জারি করা একটি সার্কুলারে ব্যাংকগুলোকে চুক্তির আওতায় আমদানির বিপরীতে মূল্য পরিশোধ নিশ্চিত করতে বলা হয়েছিল। এর ফলে তারা এ ধরনের লেনদেন করতে অনাগ্রহী ছিল। নতুন এই ব্যাখা ব্যাংকগুলোকে চুক্তির ভিত্তিতে আমদানি কার্যক্রমে সহায়তা করতে উৎসাহিত করবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এই পদক্ষেপ পণ্য আমদানিতে সহযোগিতা করবে, খরচও কমাবে। এতে বৈদেশিক বাণিজ্যে গতি আসবে।
ঢাকা/এনএফ/রফিক