বাংলাদেশ বিমানের সিঙ্গাপুরগামী একটি ফ্লাইট উড্ডয়নের পর পর পাখির সঙ্গে ধাক্কার (বার্ড হিট) ঘটনায় মাঝ আকাশ থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমাবন্দরে ফেরত এসেছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার এ ঘটনায় ফ্লাইটটির ইঞ্জিনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ কর্মকর্তা এবিএম রওশন কবীর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রওশন কবীর জানান, আজ শুক্রবার সকাল ৮টা ২৬ মিনিটে ফ্লাইট বিজি ৫৮৪ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১৫৪ জন যাত্রী ও ৭ জন ক্রু নিয়ে উড্ডয়ন করে। উড্ডয়নের পরপরই ৮টা ৩৭ মিনিটে ফ্লাইটটি পাখির সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে ফ্লাইটটির ইঞ্জিন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মাঝ আকাশ থেকে পাইলট ফ্লাইটটিকে আবার শাহজালাল বিমানবন্দরেই নিরাপদে অবতরণ করান।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ১৪ নম্বর বে-তে বাংলাদেশ বিমানের প্রকৌশলীদের তত্ত্বাবধানে সেটির মেরামতের চেষ্টা চলছে। যাত্রীরা বিমানবন্দরেই রয়েছে। দুপুরের দিকে অন্য একটি ফ্লাইটে করে তাদের সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ ল ইটট ফ ল ইট

এছাড়াও পড়ুন:

দক্ষিণ আফ্রিকায় ১৫৩ ফিলিস্তিনি ১২ ঘণ্টা বিমানে আটকা

ভ্রমণ সংক্রান্ত জটিলতার কারণে নয় মাসের গর্ভবতী এক নারীসহ ১৫০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে প্রায় ১২ ঘন্টা ধরে বিমানে আটকে রেখেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা। শুক্রবার এ  ঘটনায় দক্ষিণ আফ্রিকার কর্তৃপক্ষ তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে।

বিমানে আটকে থাকা যাত্রীদের সাথে দেখা করার অনুমতি দেওয়া এক ইমাম জানিয়েছেন, বিমানের ভেতরে প্রচণ্ড গরম ছিল এবং শিশুরা চিৎকার করে কাঁদছিল।

দক্ষিণ আফ্রিকার সীমান্ত ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কেনিয়ার নাইরোবিতে যাত্রাবিরতির পর বৃহস্পতিবার সকালে জোহানেসবার্গের ও.আর. টাম্বো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিলিস্তিনিদের একটি চার্টার বিমানে অবতরণ করে।

ফিলিস্তিনি যাত্রীদের কাছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কোনো বহির্গমন স্ট্যাম্প ছিল না, তারা দক্ষিণ আফ্রিকায় কতদিন থাকবেন তাও উল্লেখ ছিল না এবং স্থানীয় ঠিকানাও ছিল না। এর ফলে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ তাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে।

বৃহস্পতিবার রাতে দক্ষিণ আফ্রিকার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে এবং গিফট অফ দ্য গিভার্স নামে একটি স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা ফিলিস্তিনিদের থাকার ব্যবস্থা করার প্রস্তাব দেওয়ার পর পরিবার ও শিশুসহ ১৫৩ জন যাত্রীকে বিমান থেকে নামতে দেওয়া হয়। 

সীমান্ত ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২৩ জন যাত্রী অন্য দেশে চলে গেছেন, ১৩০ জন দক্ষিণ আফ্রিকায় রয়ে গেছেন।

গিফট অফ দ্য গিভার্সের প্রতিষ্ঠাতা ইমতিয়াজ সুলিমান জানিয়েছেন, গত দুই সপ্তাহে এটি ফিলিস্তিনিদের বহনকারী দ্বিতীয় বিমান যা দক্ষিণ আফ্রিকায় অবতরণ করেছে এবং যাত্রীরা নিজেরাই জানেন না যে তারা কোথায় যাচ্ছেন। দুটি বিমানই যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা থেকে লোকদের বহন করছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।

চার্টার বিমানটি কে পরিচালনা করেছিল তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রওশন জাহান: বোন, শিক্ষক ও সহযোদ্ধা
  • দক্ষিণ কোরিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা: ৩৫ মিনিট বন্ধ সব ফ্লাইট
  • দক্ষিণ আফ্রিকায় ১৫৩ ফিলিস্তিনি ১২ ঘণ্টা বিমানে আটকা