কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৪) কক্ষে ডেকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

শুক্রবার (২৭ জুন) সকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। অভিযুক্ত শিক্ষক নাম মো. আব্দুল করিম (৩০) সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানার পাতাখালি গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে। তিনি উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের দড়ি কোমরপুর দারুস সুন্নাহ সালাফিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দুপুর আড়াইটার দিকে কুমারখালী আলাউদ্দিন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী ও তার ছোট ভাই (৭) মাদ্রাসার সামনের সড়কে বৃষ্টির পানিতে গোসল করছিল।

এসময় মাদ্রাসার এক ছাত্রের (১১) মাধ্যমে স্কুল ছাত্রীকে মাদ্রাসার দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত শিক্ষকের কক্ষে ডেকে নেন ওই শিক্ষক। এরপর ওই শিক্ষক কক্ষের দরজা বন্ধ করে ছাত্রীকে জোরপূর্বক জড়িয়ে ধরে শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন এবং পরনের পায়জামা খোলার চেষ্টা করেন।

এসময় অভিযুক্ত শিক্ষককে ধাক্কা দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায় ওই ছাত্রী। পরে স্বজন ও স্থানীয়রা ওই শিক্ষককে আটকে রেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে ওই শিক্ষককে আটক করে। 

এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই ওই ছাত্রী বাদী হয়ে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা করে। মামলায় শিক্ষককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে শুক্রবার সকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

ভুক্তভোগী বলেন, “মাদ্রাসার সামনের সড়কে বৃষ্টির পানিতে গোসল করছিলাম। এসময় হুজুর এক ছাত্রের মাধ্যমে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করেন। আমি আসামির উপযুক্ত শাস্তির প্রত্যাশায় থানায় মামলা করেছি।”

কুমারখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, “কক্ষে ডেকে এক স্কুলছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুল করিমকে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”

ঢাকা/কাঞ্চন/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র এক ছ ত র শ ক ষকক

এছাড়াও পড়ুন:

শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে রাজনীতি নিষিদ্ধের কথা বললেন ঢাবি ভিসি

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে আবারো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার বিষয়টি জানালেন উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাত ২টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি এই ঘোষণা দেন।

গতকাল ঢাবির ১৮টি হলে কমিটি ঘোষণা করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। এরপর থেকেই ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। এদিন রাত ১২টার দিকে বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাস্তায় নেমে আসেন। রাত ১টার পর আন্দোলনকারীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন।

এসময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ঢাবি উপচার্য বলেন, “২০২৪ সালের ১৭ জুলাই হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, সেটিই বহাল থাকবে এবং প্রত্যেক হল প্রশাসন এই নীতিমালার আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।”

ছাত্রদলের সদ্য ঘোষিত হল কমিটি নিয়ে সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনার আশ্বাস দেন তিনি। তবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের এই ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে হল পলিটিক্সের সম্পূর্ণ অবসান দাবি করেন।

এসময় তারা ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হচ্ছে—

ছাত্রদল কেন কমিটি দিলো উপাচার্যকে জবাব দিতে হবে; ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছাত্রদল, শিবির, বাগছাস, বামসহ হলে এক্সিসটিং গুপ্ত কমিটি বিলুপ্ত করতে হবে; বিশ্ববিদ্যালয়ের হল একাডেমিক এরিয়ায় রাজনীতির সকল কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করে ছাত্ররাজনীতির পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা দিতে হবে; ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব হল কমিটি বিলুপ্ত করতে হবে; হল প্রভোস্টদের ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে ক্ষমা চাইতে হবে এবং দ্রুত ডাকসু বাস্তবায়ন করতে হবে।

ঢাকা/সৌরভ/ইভা  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাংবাদিক তুহিনের মোবাইল ফোন খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ 
  • সাংবাদিক তুহিন হত্যা: আরো একজন গ্রেপ্তার
  •  রূপগঞ্জে সড়কে ডাকাতির চেষ্টাকালে গ্রেপ্তার ২
  • শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে রাজনীতি নিষিদ্ধের কথা বললেন ঢাবি ভিসি