সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে ১৪ রোহিঙ্গা শরণার্থীসহ ৩১ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে আজ শুক্রবার ভোর পর্যন্ত জৈন্তাপুরের লালাখাল ও মিনাটিলা সীমান্ত দিয়ে তাঁদের বাংলাদেশের দিকে ঠেলে পাঠানো হয়। পরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের টহল দল তাঁদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, বিজিবির সদস্যরা গতকাল রাতে টহল দেওয়ার সময় ভারতের জালিয়াখোলা বিএসএফ ক্যাম্প-সংলগ্ন সীমান্ত এলাকা থেকে ১৪ জনকে আটক করেন। পরে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক বলে জানতে পারে বিজিবি। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে চারজন পুরুষ, চারজন নারী ও ছয়টি শিশু।

বিজিবির ১৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জুবায়ের আনোয়ার বলেন, সীমান্ত দিয়ে পুশ ইন ঠেকাতে বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।

এদিকে আজ ভোরে জৈন্তাপুরের মিনাটিলা সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে ঠেলে পাঠানো ১৭ জনকে আটক করেছে বিজিবি। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ, পাঁচজন নারী ও সাতটি শিশু।

জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান বলেন, বিজিবি আটক ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে থানায় হস্তান্তর করেছে। পরে পুলিশ ১৭ জন বাংলাদেশিকে আদালতে এবং ১৪ জন রোহিঙ্গা নাগরিককে কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্পে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে। তিনি বলেন, আটক রোহিঙ্গারা প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন, তাঁরা বিভিন্ন সময় বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত থেকে বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বেনীপুর সীমান্ত থেকে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা এক বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছেন বলে তার পরিবার অভিযোগ করেছে।

ওই ব্যক্তির নাম বদরউদ্দীন (৩০)। তিনি জেলার জীবননগর উপজেলার বেনীপুর গ্রামের স্কুল পাড়ার আব্দুল করিমের ছেলে।

আরো পড়ুন:

পাহাড় থেকে পা পিছলে পড়ল শিশুটি, বিজিবির সহায়তায় জীবনরক্ষা 

দুর্গাপূজা বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্য ও মিলনমেলার প্রতীক: বিজিবির মহাপরিচালক

বুধবার (১ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে ভারতের নোনাগঞ্জ ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাকে ধরে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বদরউদ্দীন মানব পাচারে জড়িত। বুধবার সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পাঁচ থেকে ছয় জনকে ভারতে পাচার করছিলেন। এ সময় বিএসএফ সদস্যরা ধাওয়া করলে বদরউদ্দীনের সঙ্গে থাকা লোকজন পালিয়ে যায়। তবে, ধরা পড়েন তিনি। পরে বিএসএফ সদস্যরা তাকে নোনাগঞ্জ ক্যাম্পে ধরে নিয়ে যায়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘‘বিএসএফ সদস্যরা এক বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বলে জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে বিজিবি পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’’

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন, ‘‘বিএসএফ এক জনকে ধরে নিয়ে গেছে বলে লোকমুখে শুনেছি।’’

মহেশপুর ব্যাটালিয়নের (৫৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিকুল আলম বলেন, ‘‘অসমর্থিত সূত্রে জানতে পেরেছি, বিএসএফ এক বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে। এ বিষয়ে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।’’

ঢাকা/মামুন/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর, সবাই কয়রার বাসিন্দা
  • সীমান্তের শূন্যরেখায় শেষবারের মতো মৃত বাবার মুখ দেখলেন মেয়ে
  • জীবননগর সীমান্ত থেকে এক বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
  • চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত থেকে বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ