বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদকে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের ‘পুনর্বাসনকারী’ অভিযোগ করে ছাত্রদলের সভাপতির মন্তব্যের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে সংগঠনটি। শুক্রবার বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা জানায়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ২৬ জুন গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদকে জড়িয়ে অসত্য ‘বক্তব্য’ দেন।  গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদকে তিনি ছাত্রলীগের ‘পুনর্বাসনকারী’ বলেছেন, যা ‘রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত, অসত্য, কল্পিত ও বালখিল্য’ মন্তব্য।

সংগঠনটির মুখপাত্র আশরেফা খাতুনের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ এ ধরনের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। এতে উল্লেখ করা হয়, ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ জুলাই গণ-অভ্যুত্থান থেকে জন্ম নেওয়া ছাত্রসংগঠন, যা নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের ব্যাপারে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে প্রথম থেকেই অটল। তাই এ ধরনের বক্তব্যকে আমরা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মনে করি।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ বিশ্বাস করে ছাত্রদলসহ ফ্যাসিবাদবিরোধী সব ছাত্রসংগঠন, যারা এই দেশ থেকে ফ্যাসিবাদকে উৎখাত করতে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছে, তাদের মধ্যে ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসন প্রশ্নে কোনো প্রকার বিভাজন কাম্য নয়, বরং এ ধরনের কল্পিত বক্তব্য ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে।

ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্রসংগঠনগুলোকে প্রতিহিংসা ও মিথ্যার রাজনীতি থেকে সরে গিয়ে গঠনমূলক রাজনীতিতে নিজেদের শ্রম ও বাক্য ব্যয় করার আহ্বান জানিয়েছে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন ত

এছাড়াও পড়ুন:

উপদেষ্টাদের দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিক্রিয়া

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার দাবি করেছিলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের আট জন উপদেষ্টার ‘সীমাহীন দুর্নীতি’র প্রমাণ তার কাছে আছে। ঢাকার বিয়াম মিলনায়তনে ওই সেমিনারের আয়োজন করেছিলো বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। এবার বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সংগঠনটি। 

সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং সেমিনারের মূল বক্তব্যের বাইরে প্রকাশিত হয়েছে।

শনিবার (৯ আগস্ট) বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, ৮ আগস্ট ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রত্যাশা ও আগামী দিনের জনপ্রশাসন’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেমিনারে উপদেষ্টাদের নিয়ে দু-একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত নেতিবাচক সংবাদটি বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে।

সেমিনারের বিষয়বস্তু–সম্পর্কিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছিল। ওই বিজ্ঞপ্তির আলোকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ করলেও দু-একটি গণমাধ্যমে সেমিনারের মূল প্রবন্ধ ও বিষয়বস্তুর বাইরে উপদেষ্টাদের নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যা অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্য নয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, সেমিনার একটি একাডেমিক বিষয়। এতে বিভিন্ন পর্যায়ের বিজ্ঞজনেরা দেশের জনপ্রশাসনের গতিপ্রকৃতি ও প্রত্যাশা নিয়ে তাদের ‍নিজস্ব বক্তব্য দেন। অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। সেমিনারে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার আলোকে আগামী দিনের জনপ্রত্যাশা ও জনপ্রশাসন নিয়ে অনেক ইতিবাচক-নেতিবাচক, আত্মসমালোচনা ও গঠনমূলক বক্তব্য, পরামর্শ ও প্রত্যাশা ‍উঠে আসে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবারের চারজন সদস্যও সেমিনারে তাদের প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছেন। (শুক্রবার) অ্যাসোসিয়েশনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সেসব বিষয় উল্লেখ করা হয়েছিল, সেটাই অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্য।

অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন মনে করে, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। দৃশ্যমান সংস্কার কার্যক্রমসহ অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান গ্রহণ করে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ডাকসু নির্বাচনে শিবিরের প্যানেলে ভিপি-জিএস প্রার্থী চূড়ান্ত 
  • রংপুরে দুজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: আসক
  • উপদেষ্টাদের দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিক্রিয়া