পছন্দের তারকা পেশাদার জগতের বাইরে কোথায় কী করেন, কেমন জীবনযাপন করেন—এ নিয়ে ভক্ত-সমর্থকদের কৌতূহল নতুন কিছু নয়। বর্তমান সময়ে তারকাদের ব্যক্তিজীবন সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার বড় এক মাধ্যম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের দুনিয়া। যে কারণে বিরাট কোহলি, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, লিওনেল মেসিদের ইনস্টাগ্রামে লাখো–কোটি ফলোয়ার (অনুসারী)।

ইনস্টাগ্রামে বিপুলসংখ্যক অনুসারীই আবার তারকাদের জন্য আয়ের খাত তৈরি করে দিয়েছেন। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো তারকাদের মাধ্যমে জনসাধারণের কাছে পৌঁছাতে চায়, তারকারাও নিজেদের যাপিত জীবনের নানা ছবির ফাঁকে ফাঁকে বিজ্ঞাপন পোস্ট করেন। ইনস্টাগ্রামে প্রতিটি পোস্টের মাধ্যমে কোহলি, রোনালদোর আয়ের অঙ্কও বেশ বড়ই।

ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং বিষয়ক অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং হাব’ ইনস্টাগ্রামে তারকাদের আয় নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ডেনমার্কভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটির তথ্যমতে, ২০২৪ সালে প্রতিটি পোস্টের জন্য ৩২ লাখ ৩৪ হাজার মার্কিন ডলার করে আয় করেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৩৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকার বেশি। ৪০ বছর বয়সী পর্তুগিজ তারকার ইনস্টাগ্রাম অনুসারী প্রায় ৬৫ কোটি ৮৮ লাখ। ছবি ও ভিডিওভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে এর চেয়ে বেশি অনুসারী আর কারও নেই।

রোনালদোর চেয়ে কারও অনুসারী যেমন বেশি নেই, প্রতি পোস্টে রোনালদোর চেয়ে বেশি আয়ও আর কারও নেই।

আরও পড়ুনশাস্ত্রী না সিধু—ধারাভাষ্য থেকে কার আয় বেশি২৩ জুন ২০২৫

অপর দিকে ভারতের সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলির ইনস্টাগ্রাম অনুসারী ২৭ কোটি ৪১ লাখ, যা ক্রিকেটার ও এশিয়ানদের মধ্যে সর্বোচ্চ। ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিংয়ের হিসাব অনুসারে, ২০২৪ সালে ইনস্টাগ্রামে প্রতি পোস্টের জন্য ১৩ লাখ ৮৪ হাজার মার্কিন ডলার আয় করেছেন কোহলি, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৭ কোটি টাকা।

ইনস্টাগ্রাম থেকে প্রতি পোস্টে আয়ে কোহলি অবশ্য দ্বিতীয় নন। রোনালদোর পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয় তাঁরই মতো আরেক ফুটবলার—লিওনেল মেসির। ইনস্টাগ্রামে মেসির অনুসারী ৫০ কোটি ৫৭ লাখ। ইন্টার মায়ামিতে খেলা আর্জেন্টাইন তারকার প্রতি পোস্টে আয় ২৫ লাখ ৯৭ হাজার ডলার বা ৩১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা করে।

ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং হাবের তথ্য বলছে, ইনস্টাগ্রাম থেকে আয়ে ক্রীড়াবিদদের মধ্যে রোনালদো, মেসি আর কোহলির প্রথম তিনে। আর সব মাধ্যমের তারকা মিলিয়ে রোনালদো এক, মেসি দুই ও কোহলি ১৪ নম্বরে। রোনালদো, মেসির পর শীর্ষ পাঁচে থাকা বাকিরা হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের সংগীতশিল্পী ও অভিনেত্রী সেলেনা গোমেজ (প্রতি পোস্টে ২৫.

৫৮ লাখ ডলার), বিউটি ব্র্যান্ড কাইলি কসমেটিকসের মালিক কাইলি জেনার (২৩.৮৬ লাখ ডলার) এবং ‘দ্য রক’ নামে পরিচিত হলিউড অভিনেতা ডোয়াইন জনসন (২৩.২৬ লাখ ডলার)।

আরও পড়ুনভুয়া অনুসারীর মাধ্যমে বছরে ৩০ লাখ ইউরো আয় করেন এমবাপ্পে২৫ মে ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইনফ ল য় ন স র ম র ক ট ইনস ট গ র ম ত রক দ র অন স র

এছাড়াও পড়ুন:

থাইল্যান্ডে চালের দাম ১৫ বছরে সর্বনিম্ন, বিশ্ববাজারে এ বছর কমেছে ১৪%

এশিয়াসহ বিশ্বের চালের বাজারে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এশিয়ায় চালের অন্যতম বৃহৎ সরবরাহকারী থাইল্যান্ডে চালের দাম ১৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। মূলত বাজারে চালের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

থাইল্যান্ডসহ চালের অন্যান্য বড় উৎপাদনকারী দেশ ভারত ও মিয়ানমারে উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় বিশ্ববাজারেও চালের দাম কমছে। বিশ্ব খাদ্য সংস্থার খাদ্যসূচক অনুযায়ী, চলতি বছর চালের দাম কমেছে ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। এমনকি বিশ্ববাজার চালের দাম আগস্ট মাসে আট বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসে। খবর দ্য নেশনের

থাইল্যান্ডে চালের দামের এই নিম্নমুখী প্রবণতা একদম নতুন কিছু নয়, বেশ কয়েক মাস ধরেই এ প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে দেশটির কৃষিবিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দীর্ঘ সময় ধরে চালের দাম কম থাকায় দেশটির কৃষকেরা ধানের আবাদ কমিয়ে দিতে পারেন।

থাইল্যান্ডে গত বৃহস্পতিবার ৫ শতাংশ খুদযুক্ত চালের দাম দাঁড়ায় টনপ্রতি ৩৩৫ ডলার। আগের সপ্তাহে যা ছিল ৩৩৮ ডলার। থাইল্যান্ডের কৃষি খাত–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, গত ১৪ বছরে থাই সরকারের জনতুষ্টিমূলক নীতির কারণে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সরকার কৃষকদের সন্তুষ্ট করতে বিভিন্ন ধরনের নিশ্চয়তা দিয়েছে। এসব কর্মসূচিতে প্রায় ৪০ বিালিয়ন বা ৪ হাজার কোটি ডলার ব্যয় হলেও একধরনের নীতিগত ফাঁদ তৈরি হয়েছে। ফলে কৃষকেরা প্রযুক্তি উন্নয়ন, দক্ষতা বাড়ানো কিংবা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার সঙ্গে খাপ খাওয়ানো থেকে নিরুৎসাহিত হয়েছেন।

সেই সঙ্গে থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীরা জানান, বর্ষা মৌসুমের শেষ দিকে বাজারে নতুন চালের সরবরাহ এসেছে। এটাও দাম কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। অন্যদিকে ভারত ও মিয়ানমারের মতো প্রতিযোগী দেশগুলো চালের গুণগত মানের উন্নতি করেছে। আধুনিকতা এনেছে উৎপাদনব্যবস্থায়। ফলে তারা কম খরচে ভালো মানের চাল রপ্তানি করতে পারছে। কিন্তু থাইল্যান্ড এখনো ভর্তুকিনির্ভর ব্যবস্থায় আটকে আছে। এ পরিস্থিতিতে দেশটির কৃষকেরা ক্ষতির মুখে পড়ছেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

এফএওর সূচক কমেছে

প্রতি মাসেই খাদ্যমূল্যসূচক করে থাকে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। তাতে দেখা যাচ্ছে, চলতি বছর বিশ্ববাজারে চালের দাম কেমেছে ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। গত অক্টোবর মাসে চালের মূল্যসূচক নেমে এসেছে ৯৮ দশমিক ৪–এ। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তা ছিল ১১৩ দশমিক ৬। সেই সঙ্গে ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে চালের মূল্যসূচক ছিল ১২৫ দশমিক ৭। সেই হিসাবে এক বছরে চালের দাম কমেছে ২১ দশমিক ৭ শতাংশ।

চালের দামের এই পতন শুরু হয় ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে। বিশ্বের সর্ববৃহৎ চাল রপ্তানিকারক দেশ ভারত ধাপে ধাপে রপ্তানি–নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে শুরু করে তখন। এ ঘটনা চালের বাজারে বড় প্রভাব ফেলে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এ বছর সব ধরনের চালের মূল্যসূচক ১৩ শতাংশ কমেছে। খবর ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের

অথচ ২০২৪ সালের শুরুতে এর উল্টো চিত্র দেখা গেছে। তখন ভারত একের পর এক রপ্তানি সীমাবদ্ধতা জারি করলে ২০০৮ সালের পর চালের দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। বিশ্বজুড়ে ভোক্তাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। মানুষের মধ্যে মজুতের প্রবণতা তৈরি হয়। অন্যান্য উৎপাদক দেশেও সুরক্ষাবাদী পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এর পর থেকে চালের দাম কমতে শুরু করে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নীরবতা ভেঙে হঠাৎ রাজনীতিকে ‘না’ বলে দিলেন শমসের মুবিন চৌধুরী
  • পাড়ার মঞ্চ থেকে বড় পর্দায় 
  • বিকল্প শক্তির উত্থানে নভেম্বরের শেষে ‘জাতীয় কনভেনশন’ করবে বাম ঘরানার দলগুলো
  • থাইল্যান্ডে চালের দাম ১৫ বছরে সর্বনিম্ন, বিশ্ববাজারে এ বছর কমেছে ১৪%