বিনিয়োগকারীদের জন্য নতুন ওয়েবসাইট চালু করল বিডা
Published: 28th, June 2025 GMT
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নতুন নকশা করা ওয়েবসাইট আজ শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়েছে। এই প্ল্যাটফর্মটি বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিকাঠামোকে আরও সুগম করতে এবং বিনিয়োগকারীদের সার্বিক অভিজ্ঞতা উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিডা।
নতুন প্ল্যাটফর্মে বিডার এফডিআই হিটম্যাপে চিহ্নিত বিনিয়োগের সম্ভাবনাময় খাতগুলোকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নতুন ওয়েবসাইটে বিনিয়োগকারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সেবা, নীতিগত দিকনির্দেশনা এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিনিয়োগ সংশ্লিষ্ট সংস্থার নির্ধারিত ফোকাল পয়েন্টদের হালনাগাদ তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ওয়েবসাইট পুনর্বিন্যাসের পাশাপাশি বিডার লোগোটিও নতুনভাবে রূপায়ণ করা হয়েছে।
নতুন ওয়েবসাইট প্রসঙ্গে বিডার ব্যবসা উন্নয়ন বিভাগের প্রধান নাহিয়ান রহমান রচি বলেন, আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীরা সাধারণত কোনো দেশে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সেই দেশের বিনিয়োগ সংস্থার ওয়েবসাইটে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিনিয়োগের সম্ভাব্য খাত মূল্যায়ন ও শর্টলিস্ট করে থাকেন। তাই এই ধরনের প্ল্যাটফর্মগুলো বিনিয়োগসংক্রান্ত তথ্য প্রদান, বিনিয়োগকারীদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া এবং দেশের প্রতিযোগিতামূলক সুবিধাগুলো তুলে ধরার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। একটি সুসংগঠিত ওয়েবসাইটই প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করতে পারে, কোনো বিনিয়োগকারী একটি দেশ নিয়ে আগ্রহ দেখাবেন কিনা, নাকি অন্য কোনো বিকল্প বিবেচনা করবেন। এ কারণেই বিডার নতুন ওয়েবসাইটটি ডিজাইন করা হয়েছে বিনিয়োগকারীদের যাত্রার বিভিন্ন স্তরকে বিবেচনায় রেখে। যেখানে একজন বিনিয়োগকারী সুযোগ খুঁজে দেখা থেকে শুরু করে, বাজার সম্ভাবনা মূল্যায়ন করা এবং সর্বশেষে সফল বাস্তবায়নের জন্য উপযুক্ত ইকোসিস্টেমের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পারেন।
এ প্রসঙ্গে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, বিডার পুরোনো ওয়েবসাইটটি একটি সাধারণ সরকারি পোর্টালের মতো ছিল। এটি সক্রিয়ভাবে বিনিয়োগ সহায়তা দেওয়ার জন্য উপযুক্তভাবে প্রস্তুত ছিল না। নতুন প্ল্যাটফর্মটি স্পষ্টতা এবং কৌশলগত সম্পৃক্ততার ভিত্তিতে নির্মিত একটি বিনিয়োগকারী-কেন্দ্রিক সেবা মডেলের প্রতি আমাদের অঙ্গীকারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই রূপান্তর এবং নতুন ওয়েবসাইট সম্পর্কে কৌশলগত বিনিয়োগকারী ও অংশীদারদের অবহিত করা হচ্ছে, যাতে তারা বাংলাদেশের বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ গঠনের অঙ্গীকার সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা পান। ওয়েবসাইটের ঠিকানা: https://www.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প ল য টফর ম র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
দোকানিদের ভবনে ফেরাতে পদক্ষেপ নিন
চট্টগ্রাম নগরীতে কাঁচাবাজারের জন্য খ্যাত চকবাজারের ধনির পুল এলাকায় সাড়ে পাঁচ বছর আগে ছয় কোটি টাকায় একটি তিনতলা ভবন নির্মাণ করেছিল সিটি করপোরেশন। কয়েক দফা পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও বিক্রেতা বা দোকানদারেরা ভবনটিতে দোকান নিয়ে বসছেন না। ফুটপাতে বাজার বসার কারণে ওই এলাকায় যানজট লেগেই আছে, ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে পাশের খালেও জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে। অথচ ভবন নির্মাণে পরিকল্পনায় ভুল থাকায় এ সংকট তৈরি হয়েছে। কৌশলগত পদক্ষেপ নিয়ে ভবনটিকে কাজে লাগাতে হবে।
চকবাজারের এই কাঁচাবাজার নিয়ে প্রথম আলো আগেও প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। সম্ভাব্যতা যাচাই করা ছাড়া বা পরিকল্পনাহীন অবকাঠামো নির্মাণ করার মধ্য দিয়ে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের বাস্তব উদাহরণ এটি। জনগণের অর্থে নির্মিত ভবনটি জনগণের কোনো উপকারেই আসছে না। দোকানদার বা বিক্রেতারা এখানে সুফল পাওয়ার কথা থাকলেও তা থেকে পুরোপুরিই বঞ্চিত তাঁরা। অন্যদিকে ফুটপাতে দোকান বসার কারণে নানাভাবে নাগরিক দুর্ভোগ বেড়ে গেছে, ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশেরও।
অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে নতুন মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করা শাহাদাত হোসেন ভবনটিকে চালু করার প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ফুটপাতে দোকানদারদের ভবনের দোতলায় পুনর্বাসন করেন তিনি। এ জন্য তাঁদের কোনো দোকানভাড়া দিতে হচ্ছিল না। শুধু বাজারের ইজারাদারের টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছিল। ফুটপাতে থাকার সময়ও এই অর্থ দিতে হতো। এরপরও দোকানিরা ভবনে থাকেননি। দু-তিন মাস না যেতেই আবার ফুটপাত ও সড়ক দখল করে ব্যবসা শুরু করেন সবজি বিক্রেতারা। গত শুক্রবার ফুটপাত ও সড়কে দোকান দেখে ক্ষুব্ধ হন মেয়র শাহাদাত হোসেন।
তার মানে, শুধু দোকানিদের পুনর্বাসনই যথেষ্ট নয়। কাঁচাবাজারটি যখন পুরোনো ভবনে ছিল, তখন দোকানের বিন্যাস যেমন ছিল নতুন ভবনে সেটি হয়নি। আগের ভবনে সবজি, পেঁয়াজ, রসুনের বাজার ছিল নিচতলায়। দোতলায় ছিল মাছ-মাংসের বাজার। নতুন ভবনে হয়েছে উল্টো। মানুষ নিচতলা থেকে মাছ-মাংস কিনে সবজির জন্য আর দোতলায় উঠতে চান না। ফলে দোতলায় থাকা দোকানিরা বলছেন, ক্রেতারা না আসায় তাঁদের পণ্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে বাধ্য হয়ে তাঁরা ফুটপাতে বসছেন। ফুটপাতে যেখানে তাঁদের দৈনিক বিক্রি ৪০-৫০ হাজার টাকা ছিল, নতুন ভবনে তা কমে ৮-১০ হাজার টাকায় নেমে এসেছে।
ভবনটিকে যেভাবেই হোক কাজে লাগাতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন কৌশলগত পদক্ষেপ নেওয়া। পুরোনো ভবনে যেভাবে বাজারের দোকানগুলো বরাদ্দ করা ছিল, নতুন ভবনেও সে অনুসারে করা যায় কি না, বিবেচনা করা হোক। তা ছাড়া ক্রেতাদের মানসিকতায়ও পরিবর্তন আনতে হবে। ফুটপাতে দোকান বসানো ও খালে ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে।