শৃঙ্খলা ভাঙার অভিযোগে পাংশা উপজেলা বিএনপির সভাপতিকে অব্যাহতি
Published: 28th, June 2025 GMT
দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা বিএনপির সভাপতি চাঁদ আলী খানকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে জেলা বিএনপির দলীয় প্যাডে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক লিয়াকত আলী ও সদস্যসচিব কামরুল আলম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় চাঁদ আলী খানকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাঁর স্থলে সিনিয়র সহসভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমদকে পাংশা উপজেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।
আজ শনিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাজবাড়ী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক লিয়াকত আলী। তিনি বলেন, দলীয় প্রধান গ্রেপ্তার বা আটক হলে সাময়িক অব্যাহতি দিয়ে পরবর্তীজনকে দায়িত্ব দিতে হয়। এটি দলীয় নিয়ম।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রাজবাড়ী জেলা কার্যালয়ে গণশুনানিকালে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। শুনানিতে অংশ নেন পাংশা উপজেলা বিএনপির সভাপতি চাঁদ আলী খানসহ দলের কয়েকজন নেতা-কর্মী। শুনানির একপর্যায়ে অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কাজী রকিবুল হাসান ও অফিস সহকারী সবুজ হোসেনকে মারধর ও লাঞ্ছিত করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। পরে সন্ধ্যায় রাজবাড়ী সদর থানা-পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে চাঁদ আলী খানসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন চাঁদ আলী খান, নারায়ণপুর গ্রামের রুহুল আমিন ও বাচ্চু বিশ্বাস, রাজবাড়ী শহরের ভবানীপুর এলাকার মামুন শিকদার, ফরিদ হোসেন ও শিশির করিম। তাঁরা সবাই বিএনপির নেতা-কর্মী বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঘটনার পর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কাজী রকিবুল হাসান বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাধা, কর্মকর্তাদের মারধর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগে রাজবাড়ী সদর থানায় মামলা করেন। পুলিশ ওই রাতেই তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে শুক্রবার আদালতে পাঠায়। তবে তাঁরা সবাই শুক্রবার বিকেলে জামিনে মুক্তি পান।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
জাতীয় নির্বাচন তদন্ত কমিশনে ইসির তিন কর্মকর্তা অন্তর্ভুক্ত
গত তিন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের উত্থাপিত অভিযোগ পর্যালোচনা এবং ভবিষ্যতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে গঠিত তদন্ত কমিশনকে সহায়তা করতে তদন্ত কমিশনে তিন কর্মকর্তাকে সংযুক্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সহকারী সচিব নাজমুল কবীরের সই করা এই সংক্রান্ত চিঠি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
আরো পড়ুন:
সংসদ নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ
রবিবার সুশীল সমাজ ও শিক্ষাবিদদের সঙ্গে বৈঠকে বসছে ইসি
চিঠি থেকে জানা যায়, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ১৩ আগস্টের স্মারক অনুযায়ী ৪ জন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৩ জন কর্মকর্তাকে স্থায়ীভাবে তদন্ত কমিশনে সংযুক্তির অনুরোধ করা হলেও পরবর্তীতে নতুনভাবে তিন কর্মকর্তাকে সংযুক্ত করা হলো।
প্রথমে প্রস্তাবিত কর্মকর্তারা ছিলেন নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান, ইসি সচিবালয়ের উপসচিব মো. রফিকুল ইসলাম ও উপসচিব মোহাম্মদ এনামুল হক। তবে পরবর্তীতে তাদের পরিবর্তে নতুন যাদের সংযুক্ত করা হয়েছে তারা হলেন উপসচিব মো. আব্দুল মমিন সরকার, মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন ও মো. হেলাল উদ্দিন খান।
ঢাকা/এএএম/এসবি