চট্টগ্রামে করোনায় আরও একজনের মৃত্যু
Published: 28th, June 2025 GMT
চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম সালেহা বেগম (৪০)। গতকাল শুক্রবার নগরের জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আগে থেকেই তিনি হৃদ্রোগসহ নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।
আজ শনিবার সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো ২৪ ঘণ্টার সবশেষ প্রতিবেদনে তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। সালেহা বেগমের বাড়ি জেলার মিরসরাই উপজেলায়। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর তাঁকে জেনারেল হাসপাতালের কোভিড-১৯ বিভাগে ভর্তি করা হয়েছিল। এ নিয়ে করোনায় এ মাসে চট্টগ্রামে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল সাতজনে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, চট্টগ্রামে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ছয়জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে চারজন নগরের এবং দুজন উপজেলার বাসিন্দা। নগরের শেভরন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চারজন এবং এভারকেয়ার হাসপাতালে দুজনের করোনা শনাক্ত হয়। চট্টগ্রামে চলতি মাসে মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৩০ জনের। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৬৬ জন পুরুষ, ৬৩ জন নারী ও এক শিশু।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর ন য়
এছাড়াও পড়ুন:
জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় বদলে যেতে পারে শিক্ষার্থীর জীবন
লেখাপড়া প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এক বছর লেখাপড়া শেষে একটা পরিপূর্ণ মূল্যায়ন পেতে চায়। পরীক্ষার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীর সঠিক মূল্যায়ন পাওয়া সম্ভব। তাই জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা একজন শিক্ষার্থীর জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। একজন শিক্ষার্থীর জীবন এ বৃত্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়েই বদলে যেতে পারে।
জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা শুধু একটি পরীক্ষাই নয়, বরং একজন শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ গঠনের একটি শক্তিশালী ভিত্তি। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত একজন শিক্ষার্থী ধীরে ধীরে এই পরীক্ষার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে থাকে। এতে করে তার মধ্যে লক্ষ্য নির্ধারণ, পড়ার প্রতি আগ্রহ এবং নিয়মিত অধ্যবসায়ের অভ্যাস গড়ে ওঠে।
একজন শিক্ষার্থী যখন বৃত্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে শুরু করে, তখন তার মানসিক বিকাশের পাশাপাশি আত্মবিশ্বাসও বৃদ্ধি পায়। এই আত্মবিশ্বাস একজন শিক্ষার্থীর জন্য অনেক দরকার। ভবিষ্যৎ লেখাপড়ার প্রতিযোগিতামূলক সড়কে একমাত্র পরীক্ষার মাধ্যমেই শিক্ষার্থী নিজেকে গড়ে তুলতে সক্ষম।
জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা আবার শুরু হতে যাচ্ছে। অবশ্য এ উদ্যোগ ঘিরে বিভক্ত মত রয়েছে শিক্ষাবিদদের মধ্যে। এই পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষকদের অভিমত ছাপা হচ্ছে শিক্ষায়আর এই বৃত্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা জাতীয় পর্যায়ে একটি স্বীকৃতি অর্জনের সুযোগ পায়। একজন শিক্ষার্থী যখন বৃত্তিপ্রাপ্ত হয়, তখন সে শুধু নিজেই গর্বিত হয় না, তার পরিবার, বিদ্যালয় এবং সমাজও তার ওপর গর্ববোধ করে। এতে তার মধ্যে আরও ভালো কিছু করার অনুপ্রেরণা সৃষ্টি হয়। পড়াশোনায় সে আরও মনোযোগী হয়ে ওঠে এবং ভবিষ্যতে ভালো ফলাফলের জন্য আত্মবিশ্বাস অর্জন করে। এই সাফল্য পরবর্তীকালে তার শিক্ষা ও কর্মজীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
আরও পড়ুনঅষ্টম শ্রেণিতে আবারও বৃত্তি পরীক্ষা ফিরছে, আছে প্রশ্নও২৮ জুলাই ২০২৫রাবেয়া সুলতানা, সিনিয়র শিক্ষক, বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল, ঢাকা