নড়াইলে সড়কের সংস্কারকাজ দ্রুত শেষ করার দাবিতে মানববন্ধন
Published: 28th, June 2025 GMT
প্রায় আড়াই বছরেও শেষ হয়নি নড়াইলের কালিয়া উপজেলার খাশিয়াল ইউনিয়নের খাশিয়াল বাজার থেকে নড়াগাতী পর্যন্ত সাত কিলোমিটার সড়কের সংস্কারকাজ। সড়কটি খোঁড়াখুঁড়ির পর কাজ ফেলে চলে গেছেন ঠিকাদার। এখন খানাখন্দে ভরা সড়ক নিয়ে বিপাকে পড়েছেন এলাকাবাসী।
দুর্ভোগ থেকে বাঁচতে সংস্কারকাজ দ্রুত শেষ করার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা। আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে খাশিয়াল বাজারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। খাশিয়াল ও পার্শ্ববর্তী জয়নগর ইউনিয়নবাসীর ব্যানারে আয়োজিত কর্মসূচিতে এলাকার কয়েক শ মানুষ অংশ নেন।
মানববন্ধনে খাশিয়াল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বি এম বরকত উল্লাহ, খাশিয়াল আদর্শ সম্মিলনী উচ্চবিদ্যাপীঠের সাবেক প্রধান শিক্ষক মফিজুর রহমান, খাশিয়াল ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য জাফর মোল্যা, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য কাবির বিশ্বাস, বড়দিয়া উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক প্রবীর রায়, স্থানীয় বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম, সরদার আব্দুল করিম, ওবায়দুর খন্দকার প্রমুখ বক্তব্য দেন।
কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, লোহাগড়া উপজেলার বড়দিয়া বাজার থেকে কালিয়া উপজেলার খাশিয়াল হয়ে নড়াগাতী থানায় যাতায়াতের প্রধান সড়ক ভাঙাচোরা হওয়ায় সাত কিলোমিটার (খাশিয়াল-নড়াগাতী) অংশ সংস্কারের উদ্যোগ নেয় সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। প্রায় আড়াই বছর আগে কাজ শুরু হলেও বছরখানেক আগে ঠিকাদার কাজ ফেলে চলে যায়। সড়কটির দুই পাশে খাশিয়াল ও জয়নগর ইউনিয়নের সাতটি গ্রামের মানুষ বসবাস করেন। সংস্কারের জন্য খুঁড়ে ফেলা রাস্তা বৃষ্টিতে কাদামাটিতে একাকার হয়ে দুর্ভোগের নামান্তর হয়ে উঠেছে। হাঁটাচলা তো দূরের কথা, যান চলাচলও চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, কৃষক, রোগীসহ সবাই পড়ছেন ভোগান্তিতে।
মানববন্ধনে ইউপি চেয়ারম্যান বি এম বরকত উল্লাহ বলেন, আড়াই বছর হয়ে গেল সড়কের কাজ শেষ হলো না। খোঁড়া সড়কে খানাখন্দ ভরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে। কয়েক দিন আগে দুর্ঘটনায় একজন মারা গেছেন। প্রতিনিয়তই ইজিবাইক-ভ্যান উল্টে যাচ্ছে। আগের সরকার না হয় পালিয়ে গেল, বর্তমান সরকারের কী দৃষ্টিগোচর হয় না? অবিলম্বে রাস্তার কাজ শেষ করতে হবে। অন্যথায় তাঁরা জেলা সওজের কার্যালয় ঘেরাও করবেন।
জানতে চাইলে জেলা সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অন্তঃসত্ত্বা নারীকে মারধরের অভিযোগ, নওগাঁয় ইউএনওর অপসারণ চেয়ে মানববন্ধন
নওগাঁর ধামুইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহরিয়ার রহমান ও ধামুইরহাট পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুস সালামের বিরুদ্ধে অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ দুজনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ বুধবার দুপুরে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের শাস্তি ও ইউএনওর অপসারণের দাবিতে উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, উপজেলার মঙ্গলকোঠা আবাসিক এলাকায় ধামুইরহাট পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ফেলা নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সকালে পৌরসভার লোকজনের সঙ্গে এলাকাবাসীর বাগ্বিতণ্ডা হয়। ময়লা ফেলতে বাধা দেওয়ার খবর পেয়ে ইউএনও শাহরিয়ার রহমান ও পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুস সালাম ঘটনাস্থলে যান। এ সময় ওই দুই কর্মকর্তা প্রকাশ্যে মঙ্গলকোঠা এলাকার এক অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ দুই নারীকে মারধর করেন।
গৃহবধূ সামিরন খাতুন বলেন, ‘পৌরসভার লোকজন গাড়িতে করে আমাদের এলাকায় ময়লা ফেলতে এলে এলাকার সবাই মিলে বাধা দিই। বসতবাড়ির আশপাশে ময়লা ফেললে সমস্যা হবে বলে ইউএনওকে ময়লা না ফেলতে এলাকাবাসী অনুরোধ করেন। কিন্তু ইউএনও আমাদের কথা না শুনে আমাকেসহ মিতুকে (অন্তঃসত্ত্বা নারী) নিজেই লাঠি দিয়ে মারধর করেন। আমরা ইউএনওর অপসারণসহ তাঁর কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
মানববন্ধনে স্থানীয় আবদুল কুদ্দুস বলেন, ‘ইউএনও আমার গর্ভবতী স্ত্রীর গায়ে তুলেছে সবার সামনে। একজন ইউএনওর আচরণ এমন হলে আমরা বিচার কার কাছে পাব?’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও শাহরিয়ার রহমান বলেন, পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা একটি খাস জমিতে ময়লা ফেলতে গেলে স্থানীয় কয়েকজন বাধা দেন এবং পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের গালমন্দ করে তাড়িয়ে দেন। বিষয়টি সমাধানের জন্য তিনি ওই এলাকায় গেলে এলাকার কিছু লোক তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। সেখানে কয়েকজন অবৈধ দখলদার নারী-পুরুষ বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করেন। একপর্যায়ে পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও আনসারদের গায়ে হাত তোলেন। নারীদের মারধরের অভিযোগের বিষয়ে তিনি দাবি করেন, ‘সেখানে কারও গায়ে হাত তোলা হয়নি। কিছু স্বার্থান্বেষী মহল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলছে।’
জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল প্রথম আলোকে বলেন, আজ মানববন্ধন করে কিছু লোক ইউএনওর বিরুদ্ধে নারীকে মারধরের অভিযোগ করেন। উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও জেলা প্রশাসনের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক।