দেশের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের মাসিক সর্বনিম্ন প্যাকেজের মূল্য ৮০০ টাকা করার দাবি জানিয়েছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)। ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠনটি মনে করে, প্রস্তাবিত টেলিকম নেটওয়ার্ক নীতিমালা সংকট তৈরি করবে। তা ছাড়া কম মূল্যের ইন্টারনেটের জন্য সরকারকে ছাড় দিতে হবে বলে মনে করে সংগঠনটি।

আজ শনিবার রাজধানীর মহাখালীর রিটায়ার্ড আর্মড ফোর্সেস অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন (রাওয়া) ক্লাবে সাংবাদিকদের সংগঠন টিআরএনবি আয়োজিত ‘প্রস্তাবিত খসড়া টেলিকম নীতিমালা: আইএসপি শিল্পের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক কর্মশালায় বক্তারা এ কথা বলেছেন।

ইন্টারনেট ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত দেশীয় উদ্যোক্তাদের সুরক্ষা চেয়ে আইএসপিএবি সাতটি দাবি তুলে ধরেছে। এর মধ্যে সর্বনিম্ন প্যাকেজ ৮০০ টাকায় ৫০ এমবিপিএস নির্ধারণ অন্যতম।

২০২১ সালের জুনে বিটিআরসি ‘এক দেশ এক রেট’ নীতি চালু করে। এই নীতির আওতায় সারা দেশে ইন্টারনেট সেবাদাতাদের একই দামে সংযোগ দিতে বলা হয়। এতে তিনটি প্যাকেজ রাখা হয়। প্রথম প্যাকেজের মূল্য মাসে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা, গতি ৫ এমবিপিএস। সম্প্রতি দাম কমিয়ে এটা ৪০০ টাকা করার জন্য সরকার থেকে আইএসপিদের বলা হয়েছিল।

আইএসপিএবির অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে, ফ্লোর প্রাইস (সর্বনিম্ন দাম) নির্ধারণ, অ্যাকটিভ শেয়ারিং চালু করা, লাস্ট মাইল কানেকটিভিটি আইএসপির হাতে থাকা, এনটিটিএন সার্ভিস চার্জ এক অঙ্কে নামিয়ে আনা, সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল (এসওএফ) ও রাজস্ব ভাগাভাগি তুলে দেওয়া এবং স্থানীয় উদ্যোক্তাদের সুরক্ষা দেওয়া।

কর্মশালায় আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, প্রস্তাবিত খসড়া টেলিকম নীতিমালা গত ২৭ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় নীতিগত সংকট সৃষ্টি করেছে। তিনি আরও বলেন, কম মূল্যে সবচেয়ে ভালো ইন্টারনেট সেবা দেওয়া বাস্তবসম্মত নয়। এটা সস্তা রাজনীতির পর্যায়ে পড়েছে। সরকার ছাড় না দিলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ইন্টারনেটের দাম কমাতে পারবে না।

আইএসপিএবির সভাপতি বলেন, সরকার আইএসপি খাত থেকে প্রায় ৬০ শতাংশ কর ও রাজস্ব নেয়। সেখানে সাশ্রয়ী মূল্যে উচ্চগতির ইন্টারনেট পাওয়া সম্ভব নয়।

কর্মশালায় অ্যাকটিভ শেয়ারিংয়ের উদাহরণ দিয়ে আইএসপির মহাসচিব নাজমুল করিম ভূঁইয়া বলেন, অ্যাকটিভ শেয়ারিংয়ের অভাবে দেশের প্রচুর অর্থের অপচয় হচ্ছে। এটা কমাতে ১ জিবিপিএসের একটা কমন কেব্‌ল লাইন ধানমন্ডিতে করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ৭৭টি আইএসপি একসঙ্গে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে।

টিআরএনবি সভাপতি সমীর কুমার দের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান রবিনের সঞ্চালনায় কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন সংগঠনটির সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম, এমদাদুল হক ও সদস্য মোবারক হোসেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব প এস সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

খাগড়াছড়িতে সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার

খাগড়াছড়িতে সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করেছে ‘জুম্ম ছাত্র–জনতা’। আজ মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে সংগঠনের নামে খোলা ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানায় সংগঠনটি।

সংগঠনটি জানান, খাগড়াছড়ির গুইমারায় সংঘটিত ঘটনার তদন্তে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আজ দুপুরে গুইমারায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার, খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল, গুইমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আইরিন আক্তার, গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এনামুল হক চৌধুরী প্রমুখ।

প্রশাসনের আশ্বাস ও উদ্যোগের প্রতি আস্থা রেখে এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গোৎসবকে সম্মান জানিয়ে আজ রাত ১১টা থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত অবরোধ স্থগিত করা হয়েছে। তবে প্রশাসনের কাছে উপস্থাপিত আট দফা দাবি যদি যথাযথভাবে পূরণ না করা হয়, আবারও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবে সংগঠনটি।

খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর এর প্রতিবাদে গত শনিবার খাগড়াছড়িতে অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেয় জুম্ম ছাত্র–জনতা। এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গত রোববার গুইমারার রামেসু বাজারে বিক্ষোভ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটে। সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে অবরোধকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ছিল স্থানীয় একটি পক্ষ। এ সময় গুলিতে তিন পাহাড়ির মৃত্যু হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জিয়া উদ্যানের লেকে মাছের পোনা ছাড়ল ‘আমরা বিএনপি পরিবার’
  • খাগড়াছড়িতে সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার