ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সর্বনিম্ন প্যাকেজ ৮০০ টাকায় ৫০ এমবিপিএস নির্ধারণের দাবি
Published: 28th, June 2025 GMT
দেশের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের মাসিক সর্বনিম্ন প্যাকেজের মূল্য ৮০০ টাকা করার দাবি জানিয়েছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)। ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠনটি মনে করে, প্রস্তাবিত টেলিকম নেটওয়ার্ক নীতিমালা সংকট তৈরি করবে। তা ছাড়া কম মূল্যের ইন্টারনেটের জন্য সরকারকে ছাড় দিতে হবে বলে মনে করে সংগঠনটি।
আজ শনিবার রাজধানীর মহাখালীর রিটায়ার্ড আর্মড ফোর্সেস অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন (রাওয়া) ক্লাবে সাংবাদিকদের সংগঠন টিআরএনবি আয়োজিত ‘প্রস্তাবিত খসড়া টেলিকম নীতিমালা: আইএসপি শিল্পের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক কর্মশালায় বক্তারা এ কথা বলেছেন।
ইন্টারনেট ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত দেশীয় উদ্যোক্তাদের সুরক্ষা চেয়ে আইএসপিএবি সাতটি দাবি তুলে ধরেছে। এর মধ্যে সর্বনিম্ন প্যাকেজ ৮০০ টাকায় ৫০ এমবিপিএস নির্ধারণ অন্যতম।
২০২১ সালের জুনে বিটিআরসি ‘এক দেশ এক রেট’ নীতি চালু করে। এই নীতির আওতায় সারা দেশে ইন্টারনেট সেবাদাতাদের একই দামে সংযোগ দিতে বলা হয়। এতে তিনটি প্যাকেজ রাখা হয়। প্রথম প্যাকেজের মূল্য মাসে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা, গতি ৫ এমবিপিএস। সম্প্রতি দাম কমিয়ে এটা ৪০০ টাকা করার জন্য সরকার থেকে আইএসপিদের বলা হয়েছিল।
আইএসপিএবির অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে, ফ্লোর প্রাইস (সর্বনিম্ন দাম) নির্ধারণ, অ্যাকটিভ শেয়ারিং চালু করা, লাস্ট মাইল কানেকটিভিটি আইএসপির হাতে থাকা, এনটিটিএন সার্ভিস চার্জ এক অঙ্কে নামিয়ে আনা, সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল (এসওএফ) ও রাজস্ব ভাগাভাগি তুলে দেওয়া এবং স্থানীয় উদ্যোক্তাদের সুরক্ষা দেওয়া।
কর্মশালায় আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, প্রস্তাবিত খসড়া টেলিকম নীতিমালা গত ২৭ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় নীতিগত সংকট সৃষ্টি করেছে। তিনি আরও বলেন, কম মূল্যে সবচেয়ে ভালো ইন্টারনেট সেবা দেওয়া বাস্তবসম্মত নয়। এটা সস্তা রাজনীতির পর্যায়ে পড়েছে। সরকার ছাড় না দিলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ইন্টারনেটের দাম কমাতে পারবে না।
আইএসপিএবির সভাপতি বলেন, সরকার আইএসপি খাত থেকে প্রায় ৬০ শতাংশ কর ও রাজস্ব নেয়। সেখানে সাশ্রয়ী মূল্যে উচ্চগতির ইন্টারনেট পাওয়া সম্ভব নয়।
কর্মশালায় অ্যাকটিভ শেয়ারিংয়ের উদাহরণ দিয়ে আইএসপির মহাসচিব নাজমুল করিম ভূঁইয়া বলেন, অ্যাকটিভ শেয়ারিংয়ের অভাবে দেশের প্রচুর অর্থের অপচয় হচ্ছে। এটা কমাতে ১ জিবিপিএসের একটা কমন কেব্ল লাইন ধানমন্ডিতে করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ৭৭টি আইএসপি একসঙ্গে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে।
টিআরএনবি সভাপতি সমীর কুমার দের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান রবিনের সঞ্চালনায় কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন সংগঠনটির সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম, এমদাদুল হক ও সদস্য মোবারক হোসেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্ধিরগঞ্জের নতুন বাজারে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো মাদক সেবীদের আস্তানা
মাদকের করাল গ্রাস থেকে যুব সমাজকে রক্ষায় এবার সরাসরি মাঠে নামল সিদ্ধিরগঞ্জের নতুন বাজার সামাজিক সংগঠন।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকালে ১১টায় সংগঠনটি এক ব্যতিক্রমী মাদকবিরোধী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আদমজীনগর সোনামিয়া বাজা’র এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী ও সেবীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়।
সংগঠনের সদস্যরা নতুন বাজার এলাকার মাদক সেবীদের আস্তানায় মহড়া দেন এবং যেখানে বসে মাদক সেবন করা হয়, সেই স্থানগুলো ভেঙে গুঁড়িয়ে দেন। পরবর্তীতে তারা আশেপাশের স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতি মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য জোর আহ্বান জানান।
এ সময় সংগঠনটির সভাপতি ইসমাইল হোসেন বলেন, আজ আমাদের সমাজে মাদক রন্ধ্রে রন্ধ্রে সয়লাব। দিন দিন যুবসমাজের মধ্যে এ প্রবণতা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আমাদের ভবিষ্যতকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
মাদক শুধু একটি পরিবার নয়, একটি সমাজকেও শেষ করে দেয়। আমাদের এই অভিযান মাদকমুক্ত সমাজ গড়ার প্রথম পদক্ষেপ। নতুন বাজার সামাজিক সংগঠন কোনোমতেই এই এলাকায় মাদক সেবন বা ব্যবসা চলতে দেবে না।
সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে মাদকের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে দাঁড়াতে হবে। আমরা স্থানীয় প্রশাসন ও জনগণের সহযোগিতা কামনা করি।
এসময় মাদকবিরোধী এই অভিযানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের, উপদেষ্টা মোঃ সেলিম, আবুল হাশেম মন্টু, মাইন উদ্দিন আহমেদ, সংগঠনের সভাপতি ইসমাইল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোহেল হোসেন মুসা, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আহাদ, সদস্য মোঃ আজিমসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা।
সংগঠনের সদস্যরা দৃঢ়তার সাথে জানান, মাদকের এই ভয়াবহতা রোধে তাদের কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।