তারাকান্দা-ধোবাউড়া সড়ক খানাখন্দে ভরা, মানুষের দুর্ভোগ
Published: 28th, June 2025 GMT
ময়মনসিংহের তারাকান্দা থেকে ধোবাউড়া সড়কটির বেহাল দশা। অধিকাংশ স্থান খানাখন্দ আর বড় গর্তে ভরা। যানবাহন চলে হেলে-দুলে ধীরগতিতে। সামান্য বৃষ্টি হলে খানাখন্দে পানি জমে যায়। ফলে প্রায়ই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। ৩০ মিনিটের রাস্তা পাড়ি দিতে সময় লাগছে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা। এই রাস্তায় চলাচলকারী তিনটি উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ ভোগান্তি পোহাচ্ছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ময়মনসিংহের তারাকান্দা-ধোবাউড়া চলাচলের একমাত্র আঞ্চলিক সড়কের প্রায় ৩০ কিলোমিটার রাস্তার কিছু দূর পর পর বড় বড় গর্ত। বিশেষ করে বিভিন্ন বাজারগুলোতে রাস্তার অংশ যেন পুকুর হয়ে আছে। এতে ধীরগতিতে গাড়ি চলাচলের কারণে মূল্যবান কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। অনেক সময় গর্তে চাকা পড়ে যানবাহন উল্টে যায়। যাতায়াতে দুর্ভোগ হওয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয়দের।
ছয় বছর আগে সড়কটির সংস্কার কাজে করা হলেও অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে তা কাজে আসেনি বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। তারা দ্রত টেকসই সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
কুষ্টিয়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশসহ নিহত ২
পাবনা-ঢাকা বাস চলাচল বন্ধ
ফুলপুর উপজেলার বওলা বাজারের এখলাস উদ্দিন বলেন, ‘‘তারাকান্দা থেকে ধোবাউড়া সড়কের বেহাল অবস্থা। একদিন এই সড়কে গেলে বাড়িতে এসে ব্যথার ওষুধ খেতে হয়।’’
ধোবাউড়া উপজেলার মানিক মিয়া বলেন, ‘‘বিভিন্ন কাজে প্রায়ই ময়মনসিংহ শহরে যেতে হয়। এই সড়কে যাতায়াতে কষ্ট হয়। বৃষ্টি হলে সড়কটির বড় বড় গর্তে পানি জমে যাওয়ায় মানুষের দুর্ভোগ হয়।’’
একই উপজেলার ব্যাংক কর্মকর্তা আবু নোমান বলেন, ‘‘আমরা সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষ বরাবরই অবহেলিত। জেলা শহরে আসার একমাত্র এই সড়কটি দুর্ভোগে ফেলেছে। আশা করি, কর্তৃপক্ষ আমাদের কষ্টটা বুঝবে।’’
শাখাওয়াত হোসেন নামে এক চালক বলেন, ‘‘সড়কজুড়ে খানাখন্দের কারণে ধীরগতিতে বাস চালাতে হয়। প্রায় সময় বাহন উল্টে দুর্ঘটনা ঘটে। প্রায়ই মূল্যবান যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়।’’
সড়কে চলাচলে দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ময়মনসিংহের নির্বাহী প্রকৌশলী সালমান রহমান রাসেল বলেন, ‘‘তারাকান্দা থেকে ধোবাউড়া সড়কের ৩০ কিলোমিটারে অধিকাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অধিক ক্ষতিগ্রস্ত অংশগুলো সংস্কারে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারে প্রকল্প পাঠানো হবে।’’
ঢাকা/মিলন/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন সড়ক দ র ঘটন উপজ ল র
এছাড়াও পড়ুন:
অবশেষে জাতীয় ক্রিকেট লিগে ময়মনসিংহ
দেশের অষ্টম বিভাগ হিসেবে ১০ বছর আগে আত্মপ্রকাশ করেছে ময়মনসিংহ। ক্রিকেট বোর্ডের ‘স্বীকৃতি’ পেতে ময়মনসিংহের লাগল ১০ বছর! বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) গতকাল বোর্ড সভায় ময়মনসিংহকে জাতীয় ক্রিকেট লিগে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
বিভাগীয় মর্যাদা পাওয়ার পর ক্রিকেটে নিজেদের দল চালানোর কথা ছিল ময়মনসিংহের। একাধিকবার আবেদন, সরকারি দপ্তরে চিঠি পাঠানো, মানববন্ধন, ক্রিকেটের বিভিন্ন আয়োজনে জোরাল দাবি সহ সবই করেছে ময়মনসিংহ জেলা ক্রীড়া সংস্থা। কিন্তু কোনো কিছুতেই কাজ হচ্ছিল না। অবশেষে আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বোর্ড ময়মনসিংহকে আপন করে নিয়েছে।
আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে হবে জাতীয় ক্রিকেট লিগের বড় ধৈর্যর প্রতিযোগিতা। প্রথমবারের মতো ময়মনসিংহ বিভাগ লিগে অংশ নেবে। এর আগে জাতীয় ক্রিকেট লিগের টি-টোয়েন্টি আসর রয়েছে। তবে আট দলের এই প্রতিযোগিতার সব আয়োজন প্রায় চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ায় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলা হবে না ময়মনসিংহের। সাদা পোশাকেই দলটিকে প্রথমবার দেখা যাবে।
আরো পড়ুন:
প্রত্যেকটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম হবে: আসিফ
অচলায়তন ভেঙে সক্রিয় হওয়ার অপেক্ষায় কোয়াব
ঢাকা থেকে দুটি দলের অংশগ্রহণ ছিল জাতীয় লিগে। ঢাকা বিভাগীয় দল থেকে যাবে আগের মতোই। তবে ময়মনসিংহকে জায়গা করে দিকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে ঢাকা মেট্রো। ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ মিঠু বলেছেন, ‘‘ময়মনসিংহ বিভাগ আগামী জাতীয় ক্রিকেট লিগের চারদিনের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ময়মনসিংহকে এগিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর।’’
ঢাকা মেট্রোকে বাদ দিয়ে ময়মনসিংহকে নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বিসিবির পরিচালক ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেছেন, “২০১১ সালে যখন রংপুর বিভাগীয় দল এলো এবং টুর্নামেন্টের দলসংখ্যা ৬টি থেকে ৭টি করা হলো, তখন ঢাকা মেট্রো দলকেও আনা হলো, যাতে আটটি দল হয়। এটা বিসিবি সভার কার্যবিবরণীতেই আছে। এবার ময়মনসিংহকে আনলে দল ৯টি হয়ে যাচ্ছে। আগের সেই একই কারণে সমানসংখ্যক দল রাখতে একটি দল কমানো হচ্ছে।”
টুর্নামেন্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়ানো এবং মান ধরে রাখার জন্য সব চেষ্টা বিসিবি করছে জানিয়ে নাজমুল আবেদীন যোগ করেন, ‘‘কোয়ালিটির ব্যাপারটিও এখানে উল্লেখযোগ্য। আমরা চাইলেই ১০-১২টি দলও করতে পারি। কিন্তু মান ধরে রাখতে চাই। আমরা অনেক সময়ই শুনেছি, অনেকে প্রস্তাব দিয়েছে, আট দল না নিয়ে ছয় দল নিয়ে টুর্নামেন্ট হোক, তাহলে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। কোনোদিন ছয় দলও হতে পারে, আপাতত আট দলই রাখছি আমরা।”
ঢাকা/ইয়াসিন