বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ. জেড. এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, “অন্তর্বতী সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে- অন্যায়ের বিচার করা, সংস্কার সাধন করা। তাদের দায়িত্ব জনগণের অধিকার দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া। যা দিতে ১০ মাস চলে গেছে।”

শনিবার (২৮ জুন) দুপুরে মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলা বিএনপির কাউন্সিল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জাহিদ হোসেন বলেন, “আপনারা দেখেছেন, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নূরুল হুদা, হাবিবুল আউয়ালরা এখন কী বলছেন। গতকাল আদালতে দাড়িয়ে কথা বলেছেন। জ্ঞানপাপী বলে একটা কথা আছে- যে আমি সব জানি, বুঝতেছি কিন্তু প্রতিরোধের ব্যবস্থা করছেন না। চৌদ্দ, আটারো এবং চব্বিশসহ সব নির্বাচন ব্লু-প্রিন্টেড করে করা হয়েছে। জনগণকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।”

আরো পড়ুন:

অধ্যাপক ইউনূসকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন তারেক রহমান

গাজীপুরে ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিএনপির দু’পক্ষে সংঘর্ষ

রাজনগর সরকারি কলেজ মাঠে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জামি আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত রাজনগর উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গৌছ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দীন মিলন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য এম নাসের রহমান, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো.

ফয়জুল করিম ময়ূন, সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপন এবং সম্মেলন ও কাউন্সিল পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল মুকিত।

সমাবেশ শেষে উপজেলার ইউনিয়ন কমিটির ও নির্বাচিত ৫৬৮টি ভোটারের প্রত্যক্ষ ভোটে সভাপতি পদে ইংল্যান্ড প্রবাসী নূরুল ইসলাম সেলুন, সম্পাদক পদে  আব্বাস আলী এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রুপক দেব নির্বচিত হন।

ঢাকা/আজিজ/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র কম ট র সদস য উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ভোটের অনুপাতে সংসদে আসন বণ্টন, আ‌গে স্থানীয় নির্বাচনসহ ১৬ দা‌বি ইসলামী আ‌ন্দোলনের

প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে সংসদে আসন বণ্টন, নির্বাচনে লে‌ভেল প্লে‌য়িং ফিল্ডসহ ১৬ দা‌বি জা‌নি‌য়ে‌ছে চরমোনাই পী‌রের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আ‌ন্দোলন।

আজ শ‌নিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমা‌বে‌শের ঘোষণাপত্রে এ দা‌বি জানা‌নো হয়। ইসলামী আ‌ন্দোল‌নের আ‌মির সৈয়দ রেজাউল করী‌মের সভাপ‌তি‌ত্বে মহাসমাবেশের ঘোষণাপত্র পাঠ ক‌রেন দলের মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।

ঘোষণাপ‌ত্রে বলা হ‌য়ে‌ছে, ভবিষ্যৎ স্বৈরতন্ত্র রোধ করা, সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় জনমতের প্রতিফলন নিশ্চিতে সংস্কার ক‌মিশ‌নে মতামত দি‌য়ে‌ছে ইসলামী আ‌ন্দোলন। তা বি‌বেচনা কররত মহাসমা‌বেশ থেকে আহ্বান জানাচ্ছি। 

সংস্কারের দ্বিতীয় ধা‌পের সংলা‌পে বাস্তবায়‌নের জন্য ১৬ দফা দা‌বি জানা‌নো‌ হয়। এগু‌লো হলো-

১. সংবিধানের মূলনীতি হিসেবে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের সঙ্গে ‘আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাসই হবে রাষ্ট্র পরিচালনার মূল নীতি’ এ বিষয়টি অবশ্যই পুনঃস্থাপন করতে হবে। 

২. সংসদের প্রস্তাবিত উভয়কক্ষে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবে।

৩. গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যাশা বাস্তবায়নে জাতীয় ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে আগামী জুলাই মাসের মধ্যে জুলাই সনদ ঘোষণা করতে হবে।

৪. নির্বাচিত স্বৈরাচার, দুর্নীতিবাজ, লুটেরা ও সন্ত্রাসী শ্রেণি রাষ্ট্রক্ষমতাকে ব্যবহার করে জনগণের অধিকার কেড়ে নিতে না পারে, রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয়করণের মাধ্যমে ধ্বংস করতে না পারে এবং একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসন কায়েম করতে না পারে সে জন্য প্রয়োজনী মৌলিক রাষ্ট্রসংস্কার দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।

৫. সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতে জনপ্রশাসনকে ঢেলে সাজাতে হবে। ফ্যাসিবাদেরক চিহ্নিত করে দ্রুত অপসারণ করতে হবে।

৬. পতিত ফ্যাসিবাদের বিচার নিশ্চিতে বিদেশে পালাতক অপরাধীদের আটকে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা আরও জোরদার করতে হবে।

৭. দেশ থেকে পাচার করা অর্থ উদ্ধারে সক্রিয়, কার্যকর ও দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

৮. দেশে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও খুনখারাবি রোধে প্রশাসনকে আরও কার্যকর ও অবিচল হতে হবে।

৯. ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে। দেশবিরোধী চুক্তি বাতিল করতে হবে।

১০. জাতীয় নির্বাচনের আ‌গে সব স্থানীয় নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। আগামীতেও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে স্থানীয় নির্বাচনের বিধান প্রণয়ন করতে হবে।

১১. চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ, ঋণখেলাপি ও সন্ত্রাসীদেরকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে।

১২. জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পূর্বে অবশ্যই সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

১৩. ঘুষ, দূর্নীতিসহ সকল প্রকার নাগরিক হয়রানি বন্ধ করতে হবে। কোনো নিরপরাধ ব্যক্তির বিরুদ্ধে শুধু রাজনৈতিক কারণে হয়রানিমূলক মামলা বন্ধ করতে হবে। হয়রানিমূলক সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। দেশের কোথাও কোনো রকম মব সৃষ্টির সুযোগ দেওয়া যাবে না। মব সৃষ্টিকারীদের দমনে যথাযথ আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

১৪. দেশ বিরোধী ও ইসলাম বিরোধী সব ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত মোকাবিলায় সাম্রাজ্যবাদ, সম্প্রসারণবাদ ও আধিপত্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।

১৫. জাতীয় নির্বাচনে দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী শক্তির বিরুদ্ধে দেশপ্রেমিক ও ইসলামী শক্তির ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।

১৬. স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের সুরক্ষা, জনগণের জান-মাল ও ইজ্জতের নিরাপত্তা বিধান, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষা, সর্বত্র শান্তি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা এবং কাঙ্ক্ষিত উন্নতি ও অগ্রগতির লক্ষ্যে সকল পর্যায়ে ইসলামের সুমহান আদর্শের অনুশীলন করতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অনড় অবস্থান নয়, নমনীয়তাই রাজনৈতিক দূরদৃষ্টি
  • ‘বন্দর ইজারা ও করিডোরের সিদ্ধান্ত বাতিল না হলে নতুন কর্মসূচি’
  • যে বছরের পর বছর নির্যাতিত হয়েছেন তাকে মূল্যায়ন করতে হবে: অধ্যাপক নার্গিস বেগম
  • মব সন্ত্রাস জনগণের আন্দোলনের অর্জনকে ক্ষুণ্ন করছে: জোনায়েদ সাকি
  • নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব নির্বাচনে বিজয়ীদের প্রতি যুব ফেডারেশনের শুভেচ্ছা
  • ফেনীতে সমাবেশ শেষে চট্টগ্রামের পথে ‘বন্দর রক্ষার দাবিতে’ রোডমার্চ
  • ভোটের অনুপাতে সংসদে আসন বণ্টন, আ‌গে স্থানীয় নির্বাচনসহ ১৬ দা‌বি ইসলামী আ‌ন্দোলনের
  • ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থানে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে ইরান
  • সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ‘এক্সকিউজ’ দেওয়ায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত : হাসনাত আবদুল্লাহ