প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুযায়ী শেয়ারবাজার সংস্কারে একজন বিদেশি পরামর্শক আনার কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। তিনি আরও জানান, দেশীয় প্রেক্ষাপট বুঝে সংস্কার প্রস্তাব তৈরি করতে দেশি বিশেষজ্ঞদেরও সমন্বয়ে দল গঠন করা হবে। গত বৃহস্পতিবার অংশীজনের সঙ্গে মাসিক সমন্বয় সভায় এ তথ্য জানান।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসি কার্যালয়ে রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় স্টক এক্সচেঞ্জ, ব্রোকার, মার্চেন্ট ব্যাংক, আইসিএবি, আইসিবি এবং সিডিবিএলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সভায় আইপিও মান এবং এর দুর্বলতা নিয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে। ব্রোকারদের সংগঠন ডিবিএর পক্ষ থেকে মন্দ আইপিও যাতে বাজারে আসতে না পারে, তার জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা, মার্চেন্ট ব্যাংক এবং অডিটরদের দায়িত্ব পালনের অনুরোধ জানান।

জানা গেছে, বৈঠকে ডিবিএর সভাপতি সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করেন, আইপিও নিয়ে কথা উঠলে একজন অন্যজনকে দেখিয়ে দেয়। কেউ নিজের দোষ নিতে চায় না। কোম্পানির অস্তিত্বই নেই এমন কোম্পানির শেয়ার স্টক এক্সচেঞ্জে কেনাবেচা হচ্ছে। এটি স্রেফ প্রতারণা। ঝুড়ির মধ্যে একটা আপেল খারাপ হলে তা ফেলে দিতে হয়, না হলে অন্যগুলোকে খারাপ করে। পৃথিবীর সব দেশে সেটিই নিয়ম, ব্যতিক্রম বাংলাদেশ। 

মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর একজন প্রতিনিধি বলেন, কোম্পানি ও অডিটরের দেওয়া তথ্যে নির্ভর করতে হয় ইস্যু ম্যানেজারকে। দুই বছরে একটি আইপিও ফাইল জমা দিলে লাইসেন্স হারানোর ভয়ে কিছু এড়িয়ে যাওয়া হয়। আবার ১০ কোটি টাকার আইপিওতে কো-ইস্যু ম্যানেজার নাম দিয়ে তিন প্রতিষ্ঠানও যুক্ত হয়।
নিরীক্ষকদের সংগঠন আইসিএবির প্রতিনিধি জানান, ঢালাও অভিযোগ ঠিক নয়। যখনই কোনো অডিট প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে আইসিএবির কাছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আসে, তখন ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তালিকাভুক্ত কপারটেক নামে কোম্পানির আইপিও অনিয়মের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, সংবাদপত্রে অনিয়মের তথ্য প্রকাশের পর অডিট প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স বাতিল হয়েছিল। কিন্তু ড.

খায়রুল হোসেনের কমিশন ওই কোম্পানির আইপিও অনুমোদন করে এবং দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জ তালিকাভুক্ত করে।

ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন, আইপিও আবেদন মূল্যায়নে স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা কম। অডিট এবং মূল্যায়নে পেশাদার চার্টার্ড ও কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট নিয়োগের পরিকল্পনা আছে। মূল্যায়ন সময় কমানো হবে বলে জানান তিনি।
সভায় অংশ নেওয়া কয়েকজন জানান, সমন্বয় সভায় যেসব সমস্যার কথা উঠে এসেছে, তা সবার জানা। সমস্যা সমাধানে সুনির্দিষ্ট কর্মপন্থা বা দায়িত্ব বণ্টন হয়নি। আগের সভায় কী আলোচনা হয়েছিল, তার প্রেক্ষিতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তার উল্লেখ নেই। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ য় রব জ র আইপ ও

এছাড়াও পড়ুন:

ডলার কাছে নিতেই আর কিছু মনে নেই, ব্যবসায়ীর ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা লুট

চট্টগ্রামের রাউজানের নোয়াপাড়া পথেরহাটের ভারতেশ্বরী প্লাজা মার্কেটের আবুধাবি স্টোরের দেশের বাইরে থেকে আমদানি করা নানা পণ্য বিক্রি হয়। দোকানের মালিক ওয়াহিদুল আলম নিজেই ব্যবসা দেখাশোনা করেন। আজ মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার দিকে দুই বিদেশি ও বাংলাদেশি ক্রেতা আসেন দোকানে। ৫০ ডলারের একটি নোট দিয়ে বিনিময়ে বাংলাদেশি মুদ্রা চান তাঁরা। ওয়াহিদুল নোট নিয়ে ভালো করে দেখার জন্য চোখের কাছে নেন। এরপর তাঁর আর কিছু মনে নেই। পুরোপুরি যখন চেতনা ফিরে পেলেন, তখন দেখলেন তাঁর দোকানের ক্যাশ বাক্স থেকে লুট হয়েছে ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা।

দোকানের পাশের একটি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণ করা ফুটেজে দেখা যায়, টাকা নিয়ে খুব দ্রুত চলে যাচ্ছেন দেশি ও বিদেশি দুই প্রতারক। তবে আবুধাবি স্টোর নামের দোকানটিতে সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকায় ভেতরে কী ঘটেছে তা দেখা যায়নি।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর ধারণা, ডলারের মধ্যে ‘শয়তানের নিশ্বাস’ নামের রাসায়নিক ছিল। তার প্রভাবে তিনি সবকিছু ভুলে গেছেন। প্রতারকেরা ওই রাসায়নিক শুকিয়ে তাঁর টাকা লুট করে নিয়ে গেছে।

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এর আগেও ‘শয়তানের নিশ্বাস’ প্রয়োগ করে প্রতারণার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সেসব প্রতিবেদন ঘেঁটে জানা যাচ্ছে মূলত স্কোপোলামিন নামের একটি রাসায়নিক প্রয়োগ করে ছিনতাইসহ নানা অপরাধ করে আসছে প্রতারকেরা। এই রাসায়নিকের প্রভাবে ক্ষণিকের জন্য মানুষের স্মৃতি, বিচারশক্তি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা সম্পূর্ণভাবে লোপ পায়। ওয়াহিদুল আলমের ক্ষেত্রেও তা ঘটেছিল।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ওয়াহিদুল আলম বলেন, ৫০ ডলারের একটি নোট ভাঙানোর জন্য তাঁর দোকানে আসেন একজন বিদেশি ক্রেতা। তাঁর সঙ্গে একজন বাংলাদেশিও ছিলেন। নোটটি তিনি তাঁদের কাছ থেকে নিয়ে ভালো করে দেখতে গিয়ে চেতনা হারান। প্রতারকেরা তাঁর ক্যাশ বাক্স থেকে ১ লাখ ৪২ হাজার টাক নিয়ে যায়।

জানতে চাইলে এক কিলোমিটার দূরে থাকা নোয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ওই ধরনের ঘটনার কোনো অভিযোগ তাঁদের কেউ জানায়নি। অভিযোগ দিলে তাঁরা ঘটনাটি খতিয়ে দেখে প্রতারক চক্রকে খুঁজে বের করার জন্য কাজ করবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কেবিসির মঞ্চে সোফিয়া-ব্যোমিকারা, শুরু বিতর্ক
  • দয়া করে গাজায় যান: পোপ লিওর প্রতি ম্যাডোনার আহ্বান
  • ডিএসইতে তালিকাভুক্ত হতে পারছে না সিএসই
  • পিএসজিকে বিদায় দোন্নারুম্মার, এনরিকে বললেন ‘আমি দায়ী’
  • আপগ্রেড হচ্ছে সার্ভিল্যান্স সিস্টেম, সক্ষমতা বাড়ছে বিএসইসির
  • গাজায় হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে ইসরায়েল
  • কবর ভেঙে ফেলার আহ্বান ইসরায়েলি মন্ত্রীর
  • ডলার কাছে নিতেই আর কিছু মনে নেই, ব্যবসায়ীর ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা লুট
  • মার্জিন রুলসের খসড়া অনুমোদন দিল বিএসইসি
  • এসেনসিয়াল ড্রাগসকে আনতে সক্রিয় ডিএসই, মন্ত্রণালয়ে চিঠি