বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহসম্পাদক রুমিন ফারহানা বলেন, ‘আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ড. মোহাম্মদ ইউনূসের লন্ডনে বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠক থেকে আমরা যে বার্তা পেয়েছি, আগামী রমজানের আগে বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ এবং সকলের ভোট দেওয়ার মতো একটি নির্বাচন (জাতীয় সংসদ) হবে। এই নিবার্চনে আমাদের দায়িত্ব হলো ধানের শীষের যে প্রার্থী হবে, দলের যে প্রার্থী হবে, তাকে নির্বাচিত করা।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের সেনবাড়ি মুক্তমঞ্চে ইউনিয়ন পর্যায়ের বিএনপির কর্মিসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় রুমিন ফারহানা এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি জহিরুল হক খোকন।

রুমিন ফারহানা বলেন, ‘সরাইল-আশুগঞ্জ গ্যাসের ঘাঁটি, কিন্তু আমাদের ঘরে গ্যাস নেই। এটা আবার কেমন নিয়ম? আমার এলাকা থেকে সারা বাংলাদেশে গ্যাস যায়। তাহলে আমার ঘরে গ্যাস কোথায়? আমি ওয়াদা দিচ্ছি, আমি যদি আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হতে পারি, আমার এলাকার মা–বোনদের ঘরে গ্যাস দেব। এই এলাকায় গ্যাস–সংযোগ দেওয়া হবে।’

চুন্টা ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে এই কর্মিসভার আয়োজন করা হয়। চুন্টা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান মাস্টারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন চুন্টা ইউনিয়ন শাখা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক বিধান চন্দ্র দেব। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি এ বি এম মুমিনুল হক, জেলা বিএনপির সদস্য সরাইল উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সরাইল সদর ইউপির চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল জব্বার, উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মশিউর রহমান, উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, চুন্টা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ রহিম প্রমুখ।

কর্মিসভার প্রতিবাদে কালো পতাকা মিছিল
এদিকে রুমিন ফারহানার কর্মিসভা প্রতিহত করতে চুন্টা ইউনিয়ন শাখা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াছিন মিয়ার নেতৃত্বে ইউনিয়ন পর্যায়ের কয়েকজন নেতা-কর্মী গত শুক্রবার থেকে চুন্টা বাজার এলাকায় একাধিকবার কালো পতাকা মিছিল করেন। তাঁরা এ কর্মিসভা প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে আসছিলেন। তবে গতকাল দুপুর থেকে তাঁরা আর সক্রিয় ছিলেন না। এ বিষয়ে মনিরুল ইসলাম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রশাসনের অনুরোধে আমরা প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। আমাদের কিছু না বলে এবং আমাদের উপেক্ষা করে এ সভা হয়েছে। এ জন্য আমরা এ সভার বিরোধিতা করেছি।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ম ন ফ রহ ন ব এনপ র স আম দ র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

শ্রম আইন সংস্কারে তাগিদ ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের

বাংলাদেশের শ্রম আইন সংস্কারে তাগিদ দিল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস। তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের সঙ্গে বৈঠকে দূতাবাসের একটি প্রতিনিধিদল বলেছে, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও), ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ (ইইউ) সবার চাওয়া আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সংগতি রেখে বাংলাদেশের শ্রম আইন সংস্কার করা হবে।

রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএর কার্যালয়ে আজ বুধবার সংগঠনটির সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের সঙ্গে বৈঠক করে শ্রম আইন সংস্কারে এই তাগিদ দেয় মার্কিন দূতাবাসের প্রতিনিধিদল। শ্রম অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে দেশের আইনি সংস্কারের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রতিনিধিদলকে অবহিত করেন বিজিএমইএর সভাপতি। মার্কিন দূতাবাসের প্রতিনিধিদলে ছিলেন লেবার অ্যাটাশে লীনা খান, ফরেন কমার্শিয়াল সার্ভিস অ্যাটাশে পল জি ফ্রস্ট ও ফরেন অ্যাগ্রিকালচারাল সার্ভিস অ্যাটাশে এরিন কোভার্ট।

বৈঠকে বিজিএমইএর সভাপতি ছাড়াও জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ইনামুল হক খান, সহসভাপতি মো. রেজোয়ান সেলিম, মিজানুর রহমান, ভিদিয়া অমৃত খান, পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুর রহিম, পরিচালক ফয়সাল সামাদ, শেখ হোসেন মোহাম্মদ মোস্তাফিজ উপস্থিত ছিলেন। বিজিএমইএর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

মাহমুদ হাসান খান বলেন, তৈরি পোশাক খাতের শ্রম পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখা বিজিএমইএর অন্যতম অগ্রাধিকার। তাঁর নেতৃত্বে পর্ষদ দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই সুষ্ঠু শিল্প সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য ৮১টি শ্রমিক ফেডারেশনের সঙ্গে সংলাপ করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন পাল্টা শুল্কের নির্বাহী আদেশে বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করা তৈরি পোশাকে যদি কমপক্ষে ২০ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রের কাঁচামাল ব্যবহার করা হয়, তবে সেই পণ্যের ওপর নতুন আরোপ শুল্ক থেকে আনুপাতিকভাবে অব্যাহতি পাওয়া যাবে। বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে বিজিএমইএ নেতারা মার্কিন প্রতিনিধিদলের কাছে জানতে চান, রপ্তানি পণ্যে কী ফর্মুলায় বা প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের কাঁচামাল ব্যবহারের মূল্যায়ন এবং স্বচ্ছতা ও ট্রেসেবিলিটি নির্ণয় করা হবে। এ ব্যাপারে দূতাবাসের সহযোগিতা কামনা করেন তাঁরা।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানি বাড়াতে চট্টগ্রাম বন্দরের কাছে একটি গুদাম স্থাপনের সম্ভাব্যতা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। তাঁরা বলেন এটি বাংলাদেশি উদ্যোগ বা মার্কিন উদ্যোগ বা যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে। এই গুদাম তৈরি পোশাক রপ্তানিতে লিড টাইম কমাতে ভূমিকা রাখবে।

বিজিএমইএ নেতারা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানির পাশাপাশি পলিয়েস্টার, নাইলনের মতো ম্যান মেইড ফাইবার আমদানি করতে আগ্রহী। এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানতে তাঁরা মার্কিন দূতাবাসের সহযোগিতা কামনা করেন। বিষয়টি নিয়ে ফরেন কমার্শিয়াল সার্ভিস অ্যাটাশে পল জি ফ্রস্ট বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা বিস্তারিত জানাবেন।

মার্কিন দূতাবাসের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানি বাড়াতে আগামী মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় উদ্যোগের সিলেক্ট ইউএসএর সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য বিজিএমইএ নেতাদের পরামর্শ দেন। তাঁরা বলেন, এটি বাংলাদেশি তৈরি পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তাদের যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসায়িক নেটওয়ার্কিং তৈরিতে সহায়তা করবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শ্রম আইন সংস্কারে তাগিদ ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের
  • তিন বছর আগে মারা যাওয়া ব্যক্তি পেলেন ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতির পদ
  • প্যানেল গোছাতে ব্যস্ত সংগঠনগুলো, প্রচারে সম্ভাব্য প্রার্থীরা, শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য