টাকার মালা গলায় ঝুলিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার আনন্দ মিছিল
Published: 29th, June 2025 GMT
চট্টগ্রামে দলীয় পদ পাওয়ার পর টাকার মালা গলায় ঝুলিয়ে আনন্দ মিছিল করেছেন এক স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা। তাঁর নাম মো. রাসেল। চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের ৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড শাখার সদ্য ঘোষিত কমিটিতে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়কের পদ পেয়েছেন তিনি।
গত শুক্রবার নগরের আকবরশাহ থানার উত্তর পাহাড়তলীর হারবাতলীতে এই আনন্দ মিছিল করা হয়। মিছিলের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। রাসেল নিজেও তাঁর ফেসবুকে ভিডিওটি শেয়ার করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্বেচ্ছাসেবক দলের ওয়ার্ড কমিটিতে পদ পাওয়া রাসেল ২০২০ সালের ২০ জুলাই আকবর শাহ থানা-পুলিশের হাতে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ অন্তত দুটি মামলা রয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, রাসেলকে ঘিরে ১৫ থেকে ২০ জন ব্যক্তি স্লোগান দিচ্ছেন। এরই মধ্যে একজন ৫০০ টাকার কয়েকটি নোট গেঁথে তৈরি করা একটি মালা রাসেলকে পরিয়ে দেন। এরপর সেটি পরেই আনন্দ মিছিল করেন রাসেল।
জানতে চাইলে ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আনন দ ম ছ ল
এছাড়াও পড়ুন:
ফিলিপাইনে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯
ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা বেড়ে ৬৯ জন হয়েছে। দেশটির দুর্যোগ-সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা আজ বুধবার এ খবর জানান। বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা ও পানি-বিদ্যুতের সংযোগ আবার চালু করার চেষ্টা করছে ফিলিপাইন সরকার।
দেশটির সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা রাফি আলেজান্দ্রো সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার আগে সেবু প্রদেশের উত্তরে বোগো শহরের কাছে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। স্থানীয় হাসপাতালগুলো আহত মানুষের ভিড়ে রীতিমতো উপচে পড়ছে।
আঞ্চলিক সিভিল ডিফেন্স দপ্তরের তথ্য কর্মকর্তা জেন আবাপো বলেন, সেবুর প্রাদেশিক দুর্যোগ দপ্তরের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৬৯ জন। অন্য একজন কর্মকর্তা জানান, আহত হয়েছেন ১৫০ জনের বেশি।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের দ্রুত সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানান, মন্ত্রিপরিষদ সচিবেরা ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। প্রিয়জন হারানো ব্যক্তিদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।
সেবু ফিলিপাইনের জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যগুলোর একটি। সেখানে প্রায় ৩৪ লাখ মানুষের বসবাস। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ম্যাকতান-সেবু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম চালু রয়েছে। এটা ফিলিপাইনের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর।
ভূমিকম্পে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সান রেমিগিও শহরটিও। উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তার জন্য এ শহরে ‘দুর্যোগপূর্ণ অবস্থা’ ঘোষণা করা হয়েছে। শহরের ভাইস মেয়র আলফি রেইনেস বলেন, উদ্ধারকর্মীদের জন্য খাবার ও পানি, সেই সঙ্গে ভারী সরঞ্জাম প্রয়োজন।
স্থানীয় ডিজেডএমএম রেডিওকে আলফি রেইনেস বলেন, ‘ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। বিদ্যুৎ নেই। আমাদের সত্যিই সহায়তা দরকার। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে পানির তীব্র সংকট রয়েছে। ভূমিকম্পে সেখানে সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
আরও পড়ুনফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত অন্তত ২৬, চলছে উদ্ধারকাজ৫ ঘণ্টা আগে