প্রথমবারের মতো ডিনস ও মেরিট অ্যাওয়ার্ড দিল বেরোবি
Published: 29th, June 2025 GMT
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) প্রথমবারের মতো সব অনুষদ ও বিভাগের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকে (সম্মান) কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের ডিনস ও মেরিট অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ প্রদান করা হয়েছে।
রবিবার (২৯ জুন) বিকেলে একাডেমিক ভবন-২ এর ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো.
এ সময় উপাচার্য বলেন, “আজকের দিনটি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি স্মরণীয় দিন। আজকের দিনের প্রাপ্ত সনদ শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক বেশি মূল্যবান। সম্মাননা ও সনদ অর্জনের অনুপ্রেরণা শিক্ষার্থীদের অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। স্নাতক পর্যায়ে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জনকারী সব শিক্ষার্থীকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।”
আরো পড়ুন:
মুরাদনগরে নারী ধর্ষণ: জবি ও কুবি শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ
যবিপ্রবিতে ছাত্রীদের আন্তঃবিভাগ ক্রিকেট প্রতিযোগিতা শুরু
তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীরা এই সাফল্যের যথাযথ মূল্যায়ন আগামী দিনে পাবেন। শহীদ আবু সাঈদের ক্যাম্পাসে যারা মেধার স্বাক্ষর রেখেছে, তাদের মাধ্যমে এই বিদ্যাপীঠ আরো সমৃদ্ধি লাভ করবে।”
২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের স্নাতক (সম্মান) চূড়ান্ত পরীক্ষায় অনুষদগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জনকারী চারজন শিক্ষার্থীকে ডিনস অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ এবং বিভাগসমূহের মধ্যে সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জনকারী ১৭ জন শিক্ষার্থীকে মেরিট অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ প্রদান করা হয়।
কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক কমলেশ চন্দ্র রায়, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান এবং জীব ও ভূ-বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. এমদাদুল হক।
একাডেমিক শাখার অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার মো. আমিনুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন, অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. মোরশেদ হোসেন এবং রেজিস্ট্রার ড. মো. হারুন-অর রশিদ। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. ফেরদৌস রহমানসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও রংপুরের কে. মুশতাক অ্যান্ড হাসনা ইলাহি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বিভাগগুলোতে অধ্যয়নরত চারজন নারী শিক্ষার্থীকে স্কলারশিপের চেক প্রদান করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী।
ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
এভারকেয়ার হাসপাতালে বিশ্ব হার্ট দিবস ২০২৫ পালন
ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ‘বিশ্ব হার্ট ডে ২০২৫’ পালন করা হয়েছে। সম্প্রতি হাসপাতালের মিলনায়তনে ‘ডোন্ট মিস আ বিট’ প্রতিপাদ্যে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আয়োজনের ‘পেশেন্ট ফোরাম’–এ রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা উপস্থিত ছিলেন। হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞরা রোগীদের হৃদ্রোগবিষয়ক সমস্যা ও রোগসংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেন। এ সময় হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞরা বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট বা অনিয়মিত স্পন্দনের মতো উপসর্গ অবহেলা না করার পরামর্শ দেন। তাঁরা বলেন, নিয়মিত চেকআপের মাধ্যমে প্রাথমিক অবস্থায় রোগ শনাক্ত করা গেলে জীবন বাঁচানোর সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যায়। দৈনন্দিন জীবনযাপনে ইতিবাচক পরিবর্তন, যেমন সুষম খাদ্য গ্রহণ, নিয়মিত শরীরচর্চা, স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট, ধূমপান বর্জন, পর্যাপ্ত ঘুম ইত্যাদির মাধ্যমে হার্ট সুস্থ রাখা সম্ভব বলে তাঁরা পরামর্শ দেন।
পেশেন্ট ফোরামে অংশ নেন হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল অ্যান্ড ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজি বিভাগের কো–অর্ডিনেটর ও সিনিয়র কনসালট্যান্ট এ কিউ এম রেজা, সিনিয়র কনসালট্যান্ট অধ্যাপক মো. শাহবুদ্দিন তালুকদার, সিনিয়র কনসালট্যান্ট শামস মুনওয়ার, সিনিয়র কনসালট্যান্ট আতিকুর রহমান, সিনিয়র কনসালট্যান্ট তামজীদ আহমেদ, এভারকেয়ার হসপিটালস, বাংলাদেশের (ঢাকা ও চট্টগ্রাম) ক্লিনিক্যাল ও ইন্টারভেনশনাল পেডিয়াট্রিক কার্ডিওলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সিনিয়র কনসালট্যান্ট ও কো–অর্ডিনেটর তাহেরা নাজরীন, হার্ট ফেইলিউর ও অ্যারিদমিয়া ইউনিটের সিনিয়র কনসালট্যান্ট অধ্যাপক এম আতাহার আলী, নন-ইনভেসিভ কার্ডিওলজি বিভাগের কনসালট্যান্ট নিঘাত ইসলাম, কার্ডিওথোরাসিক ও ভাসকুলার সার্জারির সিনিয়র কনসালট্যান্ট ও কো–অর্ডিনেটর মো. জুলফিকার হায়দার, সিনিয়র কনসালট্যান্ট সোহেল আহমেদ এবং কার্ডিওথোরাসিক অ্যানেস্থেসিয়ার সিনিয়র কনসালট্যান্ট ও কো–অর্ডিনেটর নিয়াজ আহমেদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এভারকেয়ার হসপিটালস বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও রত্নদীপ চাস্কার এবং গ্রুপ মেডিকেল ডিরেক্টর আরিফ মাহমুদ।
এ সময় মা ও শিশুর হার্টের যত্ন নিয়েও সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানানো হয়। জন্মগত হৃদ্রোগ প্রতিরোধে গর্ভধারণের তিন মাস আগে এমএমআর টিকা, ডায়াবেটিস মেলাইটাস নিয়ন্ত্রণ, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং গর্ভাবস্থায় টেরাটোজেনিক ওষুধ পরিহারের মাধ্যমে প্রতিরোধ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।