বন্দরে রঞ্জু বাহিনীর সদস্য শহীদা ফের বেপরোয়া, ছাড় পায়নি ৭০ বছরের বৃদ্ধও
Published: 29th, June 2025 GMT
কখনো সুমি, কখনো শহীদা,কখনো চুমকি কখনো বা খাইরুন নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন জনকে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের মাধ্যমে সর্বশান্ত করে চলেছে ছলনাময়ী এক নারী। সম্প্রতি এমন বিরল এক অভিযোগ মিলেছে নারায়ণগঞ্জ বন্দরের রুস্তমপুর এলাকায়।
শহীদা মূলতঃ নারায়ণগঞ্জের দুর্ধর্ষ ব্ল্যাকমেইল চক্র রঞ্জু ওরফে গালপোড়া রঞ্জু বাহিনীর সদস্য। বিগত ৪বছর আগে র্যাব-পুলিশের বিশেষ অভিযানে এই চক্রের প্রায় দুই ডজন সদস্যকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনলেও ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছেন রুস্তমপুরের এই ভয়ংকর নারী শহীদা।
শহীদা একাধিক বিয়ের কণে। সে মূলতঃ বিভিন্ন জনের অর্থ-সম্পদের তথ্য জেনে এসব ব্ল্যাকমেইলিং কর্মকান্ড করে থাকে। নিরীহ পুরুষকে সে কৌশলে বশে এনে প্রথমে তার টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয় পরে সম্পত্তি দখল করে। এরপর কেউ তার বিপক্ষে গেলে তার বিরুদ্ধে বিয়ের ভূয়া কাবিন তৈরি করে আদালতে মামলা ঠুকে দেয়।
এইভাবে সে অগণিত লোকজনকে সর্বশান্ত করেছে। শহিদার কবলে পড়ে সর্বশান্ত হওয়া ওই এলাকার ব্যবসায়ী আব্দুর রশীদ ওরফে গ্লোব রশীদ নামে এক ব্যক্তির খরিদা সম্পত্তি দখলের জন্য ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভূয়া কাবিন বানিয়ে আদালতে ভূয়া মামলা দায়ের করে তাকে জেল খাটায়।
পরবর্তীতে মামলাটি আদালতে শেষ পর্যায়ে গেলে শহীদার প্রকৃত চরিত্র ফুটে ওঠে। ওই মামলায় সে নিজের নাম সুমি আক্তার এবং পিতার সম্রাট মিয়া ও মায়ের নাম দেয়া স্বপ্না বেগম দেয়। সেই সাথে ঠিকানাও ব্যবহার করা হয় পশ্চিম দেওভোগ। ভুক্তভোগী রশীদ মিয়া জানান,শহীদা একজন চরিত্রহীণ। নিজেকে ৩২ বছর সাজিয়ে আমার মতো ৭০ বছরের একজন মানুষকে ধর্ষণ মামলা দেয়।
এ পর্যন্ত তার কমপক্ষে প্রায় অর্ধডজন বিয়ে হয়েছে। তার বর্তমান স্বামী শাহাদাৎ হোসেনকে একই কায়দায় ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে। বেশ কয়েক বছর ধরে সে আমাকে নানাভাবে হয়রানি করে আসছে। কিছুদিন আগে এই শহীদা তার বাহিনী দিয়ে আমার বসত ৫টি ঘর ও ঘরের আসবাবপত্র ভেঙ্গে টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালংকার লুটসহ প্রায় ৬০ লাখ টাকার ক্ষতিসাধণ করে।
আব্দুর রশীদ আরো জানান,শহীদা এই পর্যন্ত ৭টি বিয়ে করে সর্বশান্ত করেছে। বর্তমানে সে ৭ নম্বার স্বামী শাহাদাৎ এবং ৩নম্বর স্বামী আব্বাস মিয়ার পুত্র আলীকে নিয়ে সংসার পেতেছেন। এছাড়াও বন্দর কলাবাগ এলাকার মৃত আঃ সামাদ সরকারের ছেলে মামুন সরকারকে বিয়ে করে ব্ল্যাকমেইল করে।
পরে মোটা অংকের বানিজ্য করে তার সঙ্গে ছাড়াছাড়ি করে। এভাবেই শহীদা একের পর এক মানুষকে সর্বশান্ত করে পথে বসানোর জাল বিছিয়ে চলেছে।
তার বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া উচিত। অন্যথায় তার বাহিনী কর্তৃক ভবিষ্যতে অগণিত নিরীহ মানুষ সর্বশান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: সন ত র স ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
নাভানা সিটির পশুর হাট ব্যবস্থাপনায় নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে : মামুন মাহমুদ
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (নাসিক) সিদ্ধিরগঞ্জের ৭নং ওয়ার্ডের কাশেমপাড়া নাভানা সিটি বালুর মাঠ কোরবানীর পশুর হাট কমিটির ঈদ পুনর্মিলনী ও সম্মানিত ক্রেতবৃন্দের পুরস্কার আর ওয়ান ফাইভ র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠান উৎসবমূখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জের কাশেমপাড়া নাভানা সিটর বালুর মাঠে এ র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়।নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এড. রাকিবুর রহমান সাগরের সভাপতিত্বে উক্ত অনষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ এবং এতে প্রধান বক্তা হিসেব উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব।বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর হোসেনের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সদস্য অকিল উদ্দিন ভুঁইয়া, রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী মনির হোসেন, বিএনপি নেতা সাখাওয়াত হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেন খোকন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি নেত ইমাম হেসেন বাদল ও ফতুল্লা থানা বিএনপি নেতা কাজী মাজেদুল ইসলাম মাজেদসহ হাট কমিটির নেতৃবৃন্দস স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ প্রমূখ।
প্রধান অতিথি অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, “নাভানা হাট কর্তৃপক্ষের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে নারায়ণগঞ্জের পশুর হাট ব্যবস্থাপনায় নতুন এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। জনসম্পৃক্ততা, স্বচ্ছতা ও উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনার মাধ্যমে কোরবানির হাট যে আরও আকর্ষণীয় ও আধুনিক হতে পারে—এই আয়োজন সেটি প্রমাণ করেছে।র্যাফেল ড্রতে ৯ জনকে দিনার সেট এবং নাসিক ৯নং ওয়ার্ডের আবুল হোসেন নামে এক ক্রেতা আর ওয়ান ফাইভ মোটর সাইকেল বিজয়ী হয়েছেন। আবুল হোসেন ৮৫ হাজার টাকার বিনিময়ে একটি গরু ক্রয় করছিলেন।