ঢাকা শহরের প্রতিটি ভবনের ছাদে পর্যাপ্ত ও কার্যকর সৌর প্যানেল স্থাপনে সময়ভিত্তিক একটি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এবং টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) চেয়ারম্যানের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ আদেশ বাস্তবায়ন বিষয়ে আগামী ছয় মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতেও বলা হয়েছে।

এ ছাড়া ঢাকা শহরের আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনে ইতিমধ্যে স্থাপিত সৌর প্যানেলগুলো সচল করার জন্য রাজউক ও স্রেডাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো.

আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি ফয়েজ আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার রুলসহ এ আদেশ দেন।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) চলতি বছরের এপ্রিলে রিটটি করে। আদালতে বেলার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস হাসানুল বান্না। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান।

এর আগে প্রধান উপদেষ্টা শুধু সরকারি স্থাপনাগুলোর ছাদে প্যানেল বসিয়ে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নিতে ২৬ জুন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান বেলার আইনজীবী এস হাসানুল বান্না। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকা শহরের সব আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনের জন্য পর্যাপ্ত ও কার্যকর সৌর প্যানেল স্থাপনে সময়ভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা তৈরি ও তা বাস্তবায়ন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রুলে ঢাকা শহরের আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনের ছাদে স্থাপিত বিদ্যমান সৌর প্যানেলগুলো কার্যকরভাবে চালু রাখতে ব্যর্থতা কেন আইনবহির্ভূত ও জনস্বার্থবিরোধী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সব বিদ্যমান সৌর প্যানেল সম্পূর্ণরূপে কার্যকর করাসহ ঢাকা শহরের প্রতিটি ভবনের ছাদে পর্যাপ্ত ও কার্যকর সৌর প্যানেল স্থাপন করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কনভেনশন, চুক্তি ও জাতীয় মহাপরিকল্পনায় প্রতিশ্রুত গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিশ্চিতের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা–ও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।

বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব, গৃহায়ণ ও গণপূর্তসচিব, পরিবেশসচিব, রাজউক ও স্রেডার চেয়ারম্যান, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) এবং ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (ডেসকো) ব্যবস্থাপনা পরিচালক, রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) সভাপতিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে বলে জানান বেলার আইনজীবী এস হাসানুল বান্না।

বেলার ভাষ্য, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে টেকসই উন্নয়নের জন্য নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস হিসেবে সৌরশক্তি জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে এবং কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ঢাকার মতো ঘনবসতিপূর্ণ শহরে নবায়নযোগ্য শক্তি হিসেবে ছাদে সৌর প্যানেল স্থাপন ও তা কার্যকরভাবে সচল রাখার বিকল্প নেই। ঢাকা শহরের অব্যবহৃত ছাদগুলোয় সৌর প্যানেল স্থাপন করে শক্তি উৎপাদনকারী প্ল্যাটফর্মে পরিণত করার মাধ্যমে ঢাকার বিদ্যুৎ চাহিদার বড় অংশ পূরণ করা সম্ভব, যা কেন্দ্রীয় গ্রিডের ওপর চাপ কমাবে এবং ভোক্তাদের বিদ্যুৎ খাতের ব্যয় কমাবে।

বেলা বলছে, সৌর প্যানেল স্থাপনের ব্যাপক সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও তা স্থাপনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কালক্ষেপণ পরিলক্ষিত হচ্ছে। যেসব ভবনে ইতিমধ্যে সৌর প্যানেল স্থাপিত হয়েছে, যথাযথ নজরদারির অভাবে সেগুলো নিষ্ক্রিয় বা অকার্যকর অবস্থায় রয়েছে। জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার সীমিত করে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যাপকতা বৃদ্ধির মাধ্যমে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা হ্রাস করে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে ঢাকা শহরের অব্যবহৃত ছাদগুলোয় পর্যাপ্ত সোলার প্যানেল স্থাপন এবং ইতিমধ্যে স্থাপিত নিষ্ক্রিয় সৌর প্যানেলগুলো সক্রিয়করণের জন্য বেলা রিটটি করে।ঢাকা শহরের প্রতিটি ভবনের ছাদে পর্যাপ্ত ও কার্যকর সৌর প্যানেল স্থাপনে সময়ভিত্তিক একটি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এবং টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) চেয়ারম্যানের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ আদেশ বাস্তবায়ন বিষয়ে আগামী ছয় মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতেও বলা হয়েছে।

এ ছাড়া ঢাকা শহরের আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনে ইতিমধ্যে স্থাপিত সৌর প্যানেলগুলো সচল করার জন্য রাজউক ও স্রেডাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি ফয়েজ আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার রুলসহ এ আদেশ দেন।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) চলতি বছরের এপ্রিলে রিটটি করে। আদালতে বেলার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস হাসানুল বান্না। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান।

এর আগে প্রধান উপদেষ্টা শুধু সরকারি স্থাপনাগুলোর ছাদে প্যানেল বসিয়ে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নিতে ২৬ জুন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান বেলার আইনজীবী এস হাসানুল বান্না। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকা শহরের সব আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনের জন্য পর্যাপ্ত ও কার্যকর সৌর প্যানেল স্থাপনে সময়ভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা তৈরি ও তা বাস্তবায়ন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রুলে ঢাকা শহরের আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনের ছাদে স্থাপিত বিদ্যমান সৌর প্যানেলগুলো কার্যকরভাবে চালু রাখতে ব্যর্থতা কেন আইনবহির্ভূত ও জনস্বার্থবিরোধী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সব বিদ্যমান সৌর প্যানেল সম্পূর্ণরূপে কার্যকর করাসহ ঢাকা শহরের প্রতিটি ভবনের ছাদে পর্যাপ্ত ও কার্যকর সৌর প্যানেল স্থাপন করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কনভেনশন, চুক্তি ও জাতীয় মহাপরিকল্পনায় প্রতিশ্রুত গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিশ্চিতের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা–ও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।

বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব, গৃহায়ণ ও গণপূর্তসচিব, পরিবেশসচিব, রাজউক ও স্রেডার চেয়ারম্যান, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) এবং ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (ডেসকো) ব্যবস্থাপনা পরিচালক, রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) সভাপতিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে বলে জানান বেলার আইনজীবী এস হাসানুল বান্না।

বেলার ভাষ্য, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে টেকসই উন্নয়নের জন্য নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস হিসেবে সৌরশক্তি জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে এবং কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ঢাকার মতো ঘনবসতিপূর্ণ শহরে নবায়নযোগ্য শক্তি হিসেবে ছাদে সৌর প্যানেল স্থাপন ও তা কার্যকরভাবে সচল রাখার বিকল্প নেই। ঢাকা শহরের অব্যবহৃত ছাদগুলোয় সৌর প্যানেল স্থাপন করে শক্তি উৎপাদনকারী প্ল্যাটফর্মে পরিণত করার মাধ্যমে ঢাকার বিদ্যুৎ চাহিদার বড় অংশ পূরণ করা সম্ভব, যা কেন্দ্রীয় গ্রিডের ওপর চাপ কমাবে এবং ভোক্তাদের বিদ্যুৎ খাতের ব্যয় কমাবে।

বেলা বলছে, সৌর প্যানেল স্থাপনের ব্যাপক সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও তা স্থাপনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কালক্ষেপণ পরিলক্ষিত হচ্ছে। যেসব ভবনে ইতিমধ্যে সৌর প্যানেল স্থাপিত হয়েছে, যথাযথ নজরদারির অভাবে সেগুলো নিষ্ক্রিয় বা অকার্যকর অবস্থায় রয়েছে। জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার সীমিত করে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যাপকতা বৃদ্ধির মাধ্যমে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা হ্রাস করে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে ঢাকা শহরের অব্যবহৃত ছাদগুলোয় পর্যাপ্ত সোলার প্যানেল স্থাপন এবং ইতিমধ্যে স্থাপিত নিষ্ক্রিয় সৌর প্যানেলগুলো সক্রিয়করণের জন্য বেলা রিটটি করে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জ ন ন ব ল র আইনজ ব এস হ স ন ল ব ন ন র জউক ও স র ড ক র যকরভ ব ভবন র ছ দ ক র বন ন ব চ রপত র জন য পর ব শ র লক ষ ট কসই র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

আদালতে চুপ মমতাজ, হাসিমুখে ছিলেন সাবেক এমপি তুহিন

মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক এমপি মমতাজ বেগম ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) সাবিনা আক্তার তুহিনকে আজ সোমবার পৃথক মামলায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়। এসময় দেখা যায় আদালতে চুপচাপ ছিলেন মমতাজ আর হাসিমুখে ছিলেন সাবেক এমপি তুহিন। আদালতে সাবিনা আক্তার তুহিন কয়েকবার মমতাজ বেগমের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলেও তাতে তিনি সাড়া দেননি।

পরে রাজধানীর কোতোয়ালি থানার শাওন হত্যা মামলায় মমতাজ বেগমকে আদালতে তোলা হলে তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করা হয়। সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

মমতাজের মামলার সূত্রে জানা যায়, জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট রাজধানীর কোতোয়ালি থানার তাঁতীবাজার মোড়ে আন্দোলনে অংশ নেন শাওন মুফতি (২৩)। এদিন রাত সাড়ে ১১টায় আসামিদের ছোঁড়া গুলিতে আহত হলে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে রাত দেড়টার দিকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় নিহতের মা মাকসুদা বেগম গত ২৮ মে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫৭ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। এ মামলায় মমতাজ ১৪ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।

এদিন সকাল ১০টা ৩৩ মিনিটে আদালতে হাজির করা হয় সাবেক এমপি মমতাজ বেগমকে। মুখে মাস্ক, হাতে হাতকড়া, বুকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও মাথায় হেলমেট পরিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। কাঠগড়ায় উঠানোর পর পুলিশ হেলমেট জ্যাকেট ও হাতকড়া খুলে দেন। এসময় তিনি মুখ থেকে মাস্ক খুলে রাখেন। এরপর তিনি তার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলতে থাকেন। বিচারক ১০টা ৩৮ মিনিটে এজলাসে আসলে সবাই চুপ থাকেন। মামলার শুনানি শুরু হলে মমতাজ বেগম নিশ্চুপ হয়ে শুনানি শুনছিলেন। 

এদিন শুনানি চলাকালে সাবেক এমপি তুহিন মমতাজের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলার চেষ্টা করলেও তিনি কোনো কথা বলেননি। এদিন শুনানি শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নেও কোনো উত্তর দেননি মমতাজ। আদালতে শুনানি চলাকালীন সময়েও তিনি কোনো কথা বলেনি। এদিন তাকে বেশ বিমর্ষ দেখা যায়। 

অন্যদিকে হাসিমুখে ছিলেন সাবেক এমপি সাবিনা আক্তার তুহিন। তিনি আদালতকে বলেন, আমার ওষুধ শেষ হয়ে গেছে ওষুধ প্রয়োজন। 

আদালত চলাকালে তুহিনের শুনানির সময় তার আইনজীবী হোসেন শাহিন ওষুধ দেখিয়ে আদালতকে বলেন, উনার ওষুধ প্রয়োজন এগুলো দিতে হবে। 
এসময় বিচারক বলেন, এখান থেকে ওষুধ দেওয়ার নিয়ম নেই। যথাযথ নিয়মে ওষুধ নিবেন। বাইরে থেকে দেওয়া যাবে না। 

এসময় শুনানিতে পুলিশ রিমান্ড আবেদন করলে তুহিন হাসি দিয়ে মাথা নাড়াতে থাকেন। এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী যখন শুনানিতে কথা বলেন তখন তিনি মুচকি হাসি দেন এবং আগ্রহ সহকারে পিপির কথা শুনতে থাকেন। 

শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাবেক এমপি তুহিনের উদ্দেশ্যে বলেন, সে ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে কাজ করেছে। বিভিন্ন মিটিং মিছিলসহ হত্যাকাণ্ডে যুক্ত ছিল। তার বিরুদ্ধে কিছু প্রমাণও পাওয়া গেছে। আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের জন্য তার পরবর্তী রিমান্ড প্রয়োজন।

এসময় আসামি পক্ষের আইনজীবী হোসেন শাহিন আদালতকে বলেন, একটা অনুমানের ওপর নির্ভর করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া রিমান্ড চাইতে পারে না। তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই। এটা আইন লঙ্ঘন। তিনি বলেন, একজন পার্লামেন্ট সদস্যের কাছে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি সুসমন্নিত থাকে। ভাবমূর্তি বিপন্ন হয় না। আমরা রিমান্ড বাতিলসহ জামিন চাই। 
 
এর উত্তরে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুকী বলেন, বিনা ভোটের পার্লামেন্ট মেম্বার তিনি। তার পক্ষে এত বলার কিছু নেই। সাবেক সিইসি যখন বলেছেন যে এটা ডামি নির্বাচন। সেখানে বিনা ভোটের পার্লামেন্ট মেম্বার ও শেখ হাসিনার সহচরকে এত ভালো প্রমাণের যৌক্তিকতা নেই। 

এদিন উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জুলাই আন্দোলনে হত্যা মামলায় শেরেবাংলা নগর থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগের সাবেক সভাপতি ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

এসময় আদালত শেষে গারদে প্রবেশকালে সাংবাদিকদের তুহিন বলেন, ‘জয় বাংলা বলা কি অপরাধ? বিশ্ববাসীর কাছে বিচার চাই।’

এর আগে গত ২২ জুন গভীর রাতে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নের আওনা গ্রামে বাবার বাড়ি থেকে তুহিনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।

এক দিনের রিমান্ডে মুরাদ

এদিন একই সঙ্গে রাজধানীর ধানমন্ডি থানার আব্দুল মোতালেব হত্যা মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান কার্যনির্বাহী সদস্য শাহে আলম মুরাদের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

এর আগে গত ১৭ এপ্রিল সকালে উত্তরা এলাকা থেকে শাহে আলম মুরাদকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।

শাহে আলমের মুরাদের বিরুদ্ধে মোতালেব হত্যা মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে জিগাতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ছাত্র-জনতার মিছিলে থাকা আবদুল মোতালেব নামের এক কিশোর গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। পরে ২৬ আগস্ট তার বাবা আব্দুল মতিন বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৭৬ জনকে আসামি করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • করোনা পরীক্ষায় ভুয়া প্রতিবেদন, চট্টগ্রামে তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা
  • আদালতে চুপ মমতাজ, হাসিমুখে ছিলেন সাবেক এমপি তুহিন
  • ‘আমি আ.লীগ, যুব মহিলা লীগ না’, আদালতে সাবেক এমপি তুহিন
  • আদালতে ওষুধ চাইলেন সাবেক এমপি তুহিন
  • ঢাকা বারের সাবেক ১১ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
  • পটুয়াখালীতে আদালতে হাতাহাতির ঘটনায় বিএনপির ২০ নেতা–কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
  • নিউমুরিং টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব হস্তান্তরে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না, জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
  • অধস্তন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাবিধি অনুমোদনের রায় স্থগিত 
  • অধস্থন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাবিধি অনুমোদনের রায় স্থগিত