জলবায়ু অভিযোজন কার্যক্রমে তরুণদের সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ
Published: 1st, July 2025 GMT
জলবায়ু অভিযোজন কার্যক্রমে তরুণদের সম্পৃক্ত করতে যৌথভাবে কাজ করবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে শিক্ষা, সামাজিক খাত ও পরিবেশ সচেতনতা জোরদার করে স্থানীয় পর্যায়ে অভিযোজন সক্ষমতা তৈরিতে যৌথ কর্মপরিকল্পনা হাতে নেওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সঙ্গে ইউনিসেফ বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ রানা ফ্লাওয়ার্সের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের বৈঠকে এ আলোচনা হয়।
বৈঠকে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, জলবায়ু অভিযোজন কার্যক্রমে জবাবদিহিতা, সমন্বয় এবং তরুণদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ অবকাঠামো ও পানি সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের পরিবীক্ষণ ব্যবস্থায় তরুণ প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, পয়ঃনিষ্কাশন ও চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ইনসিনারেশনের বিকল্প হিসেবে উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর নিরাপদ ও ব্যবহারিক সমাধান গ্রহণের দিকে যেতে হবে।
বৈঠকে ইউনিসেফের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের জীবন, পুষ্টি ও শিক্ষা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ইউনিসেফ তরুণদের জলবায়ু সমাধানের কেন্দ্রবিন্দুতে রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, বিভিন্ন জেলায় তরুণদের নিয়ে পরামর্শ সভার পরিসর বাড়ানো এবং তাদের সঙ্গে নিয়মিত সংলাপ চালিয়ে যাওয়ার জন্য একটি কাঠামোগত ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা দরকার।
বৈঠকে ইউনিসেফ একটি যৌথ ডকুমেন্টারি সিরিজ নির্মাণের প্রস্তাব দেয়, যেখানে শিশুদের পরিবেশবান্ধব বার্তা স্থান পাবে। পরিবেশ উপদেষ্টা এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এটি বিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে এবং শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষার্থীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা সম্ভব।
পরিবেশ শিক্ষা ও সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে দুই পক্ষ যৌথভাবে একটি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণে একমত হয়েছে। কর্মপরিকল্পনায় থাকবে বর্জ্য পৃথকীকরণ, পুনর্ব্যবহার, শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে দুর্যোগ প্রস্তুতি এবং স্থানীয় পর্যায়ে অভিযোজন কার্যক্রম পরিচালনা।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড.
উভয় পক্ষই পরিবেশবান্ধব নেতৃত্ব বিকাশ এবং টেকসই উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও জোরদারের আশাবাদ ব্যক্ত করে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পর ব শ ইউন স ফ জলব য় স য দ র জওয ন হ স ন পর ব শ উপদ ষ ট ইউন স ফ ক ত কর পর ব শ জলব য়
এছাড়াও পড়ুন:
টপ এন্ড টি-টোয়েন্টিতে লড়বে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ
আজ মঙ্গলবার (০১ জুলাই) উত্তর অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য দারুণ এক সুখবর দিয়েছে নর্দার্ন টেরিটরি ক্রিকেট। তারা নিশ্চিত করেছে ২০২৫ সালের ‘টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজে’ আবারও অংশ নিতে যাচ্ছে এশিয়ার দুই ক্রিকেট পরাশক্তি পাকিস্তান ও বাংলাদেশ।
টানা তৃতীয়বারের মতো এই প্রতিযোগিতায় খেলতে নামবে পাকিস্তান শাহিনস (‘এ’ দল) । অন্যদিকে বাংলাদেশ ‘এ’ দল ২০২৪ সালে ফাইনালে হেরে যাওয়া আক্ষেপ এবার ঘোচাতে চায়, যেখানে তারা হেরে গিয়েছিল অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স একাডেমির কাছে।
সিরিজের উদ্বোধনী ম্যাচেই মুখোমুখি হবে এই দুই উপমহাদেশের অন্যতম শক্তিধর দল। আগামী ১৪ আগস্ট ডারউইনের টিআইও স্টেডিয়ামে স্থানীয় সময় রাত ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে এই ম্যাচটি। একই সঙ্গে এই ম্যাচ ঘিরে উদযাপন করা হবে পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস। তাই এটিকে ধরা হচ্ছে বিশেষ ‘মার্কি’ ম্যাচ হিসেবে।
আরো পড়ুন:
অপেক্ষার অবসান, নাকি আরও বাড়বে?
৩২৮ রানে জিতলো দক্ষিণ আফ্রিকা
এই সিরিজে এবার অংশ নিচ্ছে নেপাল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনও। ফলে নর্দার্ন টেরিটরি ক্রিকেটের আয়োজনে রয়েছে দুইটি আইসিসি পূর্ণ সদস্য দেশ এবং একটি অ্যাসোসিয়েট সদস্য দেশের দল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের নতুন সম্ভাবনা গড়ার মঞ্চে পরিণত হয়েছে এই আয়োজন।
প্রতিবারের মতো এবারও এই সিরিজে খেলবেন দুই দেশের উদীয়মান প্রতিভাবান খেলোয়াড়রা। বিদেশের পরিবেশে, অস্ট্রেলিয়ার কঠিন কন্ডিশনে খেলে নিজেদের প্রস্তুত করার দারুণ সুযোগ পাবে তারা।
২০২৪ সালে বাংলাদেশের স্কোয়াডে ছিলেন তরুণ পেসার রিপন মন্ডল ও স্পিনার রাকিবুল হাসান। যাদের ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয়েছে। এছাড়া আলোচনায় ছিলেন ২৩ বছর বয়সী উইকেটরক্ষক ব্যাটার পারভেজ হোসেন ইমন, যিনি সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে খেলেছিলেন বিস্ফোরক ৫৩ বলে শতরানের ইনিংস।
অন্যদিকে পাকিস্তানের দিক থেকেও এই সিরিজে খেলতে এসেছিলেন বেশ কিছু আন্তর্জাতিক তারকা। উসমান খান, ইরফান খান, জাহানদাদ খান, আরাফাত মিনহাস ও রোহাইল নাজির। সবাই-ই টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি খেলেই পরে সিনিয়র দলে সুযোগ পেয়েছেন।
এবারের এই আয়োজন নিয়ে নর্দার্ন টেরিটরি ক্রিকেটের সিইও গ্যাভিন ডোভি বলেন, “পিসিবি ও বিসিবিকে আবারও ডারউইনে স্বাগত জানাতে পেরে আমরা গর্বিত। তারা সত্যিকারের ক্রিকেট পরাশক্তি। এই সিরিজ শুধু খেলাধুলার নয়, বরং এটি আমাদের অঞ্চলের মানুষ, সংস্কৃতি ও সম্ভাবনাকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরার একটি অসাধারণ প্ল্যাটফর্ম।”
তিনি আরও যোগ করেন, “পাকিস্তান ও বাংলাদেশ—এই দুটি দেশ মিলিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে। নেপালকে সঙ্গে নিয়ে আমরা এবার আরও বড় পরিসরে আয়োজন করতে যাচ্ছি যা ডারউইনকে গ্লোবাল মানচিত্রে একটি নতুন পরিচিতি দেবে।”
বিসিবির সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী জানান, “টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি আমাদের ক্যালেন্ডারে এখন খুব গুরুত্বপূর্ণ। অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে খেলে আমাদের তরুণরা আন্তর্জাতিক মানে নিজেদের গড়ে তোলার সুযোগ পায়। এটি শুধু অংশগ্রহণ নয়, বরং উন্নয়নের একটি অংশ। বিশেষ করে ১৪ আগস্টের উদ্বোধনী ম্যাচের দিকে আমরা তাকিয়ে আছি।”
পিসিবির অপারেটিং অফিসার সুমাইর আহমেদ সৈয়দ বলেন, “পাকিস্তান শাহিনস তৃতীয়বারের মতো এই টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে। এটা আমাদের জন্য গর্বের। এখান থেকে অনেক উদীয়মান খেলোয়াড় উঠে এসেছেন, আন্তর্জাতিক মঞ্চে নাম লিখিয়েছেন। এ ধরনের টুর্নামেন্ট আমাদের ভবিষ্যতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”
সম্পূর্ণ সূচি ও ২০২৫ টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজে অংশ নেওয়া ১১টি দলের নাম পরবর্তী কয়েক সপ্তাহে ধাপে ধাপে প্রকাশ করা হবে।
ঢাকা/আমিনুল