জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, “রংপুরের পুত্রবধূ শেখ হাসিনাকে যতক্ষণ পর্যন্ত দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তি কার্যকর করা না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত শহীদ আবু সাঈদের আত্মা শান্তি পাবে না। তার শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত রংপুরের রাজপথ ছাড়বে না ছাত্র-জনতা।” 

মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে রংপুর জিলা স্কুল চত্বরে ‘জুলাই পদযাত্রা’ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

মৌলিক সংস্কারের নামে যে তালবাহানা শুরু হয়েছে, তার কঠোর সমালোচনা করেন আখতার হোসেন। তিনি বলেন, “যেসব রাজনৈতিক দল ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত, রংপুরের জনগণ তাদের রাজপথেই প্রতিহত করবে।” জুলাই ঘোষণাপত্র আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বেন না বলেও জানান তিনি।

আরো পড়ুন:

রংপুরে আবু সাঈদ চত্বর থেকে এনসিপির ‘জুলাই পদযাত্রা’ শুরু

বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার ডাক দিয়েছি, সেই দেশ গড়ে ঘরে ফিরব: নাহিদ

জাতীয় পার্টিকে ‘স্বৈরাচারের দোসর’ আখ্যা দিয়ে এনসিপির সদস্য সচিব বলেন, “জাপা রংপুরে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের দমন করতে চায়।” রংপুরে জাতীয় পার্টির করা মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি। একইসঙ্গে জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে রংপুর থেকে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান আখতার হোসেন।

পথসভায় আখতার হোসেন বলেন, “শহীদ আবু সাঈদের রক্তের ঋণ শোধ করতে হলে এই অঞ্চল থেকে বৈষম্য দূর করতে হবে। সেই লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক পার্টি রংপুর বিভাগকে অতীতের সমস্ত বৈষম্যের বেড়াজালকে ভেদ করে এগিয়ে নিতে দৃঢ়ভাবে কাজ করবে।”

মাসব্যাপী জুলাই পদযাত্রার প্রথম দিনের শেষাংশের পদযাত্রা সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আবু সাঈদ চত্বর থেকে শুরু হয়। পদযাত্রাটি নগরীর প্রায় ৫ কিলোমিটার প্রদক্ষিণ শেষে জিলা স্কুল মোড়ে রাত সাড়ে ৮ টায় শেষ হয়।

পথসভায় এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, উত্তর অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বক্তব্য দেন। এসময় দলটির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/আমিরুল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ত য় ন গর ক প র ট আখত র হ স ন পদয ত র র জপথ

এছাড়াও পড়ুন:

মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ