সাইকেল থেকে পড়ে স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলেন কাজল, এরপর...
Published: 2nd, July 2025 GMT
সম্প্রতি বলিউড অভিনেত্রী কাজলকে দেখা যায় নির্মাতা ও কোরিওগ্রাফার ফারাহ খানের সঙ্গে আড্ডায়। সেখানে তিনি ‘কুচ কুচ হোতা হ্যায়’ সিনেমার শুটিং চলাকালীন ঘটনার স্মৃতিচারণা করেন। এ সিনেমার শুটিংয়ে কাজল দুর্ঘটনায় পড়েন। তিনি সাইকেল চালাতে গিয়ে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পান। এ কারণে তিনি কিছু সময়ের জন্য স্মৃতি হারিয়ে ফেলেন। সে সময় পরিচালক করণ জোহর ও কাজলের সহ-অভিনেতা শাহরুখ খান ভয় পেয়ে যান। তবে ভয় পেলেও মজা করতে ছাড়েননি করণ। আর কাজল সে কথাই তুলে ধরেছেন ফারাহ খানের শোতে।
ফারাহ কাজলকে বলেন, “‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়” সিনেমার সময় তুমি সাইকেল থেকে পড়ে যাও। যখন তোমার জ্ঞান ফেরে, তখন আমরা খেয়াল করি, তুমি কিছু মনে করতে পারছ না। কাউকে চিনতেও পারনি। আমার মনে হয়, তুমি আসলে করণকে ভুলে যাওয়ার জন্য এটা করেছিলে।’
ফারাহর কথায় কাজল হেসে ওঠেন। তিনি বলেন, ‘আসলে করণই চেয়েছিল আমি স্মৃতি হারাই। যেন সে আমাকে বোঝাতে পারে, আমি একজন ব্যাকগ্রাউন্ড ড্যান্সার!’
তারপর এ সিনেমার সহ-অভিনেতা শাখরুখের প্রসঙ্গে কাজল বলেন, ‘আমার মাথায় প্রচণ্ড ব্যথা করছিল, আর তখন শাখরুখ আমাকে ওষুধ খাওয়াতে চাচ্ছিল। আর আমি বারবার বলছিলাম, আমি ওষুধ খেতে চাই না। তারপর তিন ঘণ্টা পর হঠাৎ সব মনে পড়ে গেল। মাথায় ব্যথাও ছিল না। আমি একদম ঠিক হয়ে গেলাম। আমি তখনো বুঝতে পারনি, আমার এতক্ষণ কোনো স্মৃতি ছিল না। আমি যখন শাহরুখকে বললাম, আমি একদম ঠিক আছি, শাহরুখ তখন বলল, “ইডিয়ট, তুমি ট্যাবলেট খেয়েছিলে বলেই সুস্থ হয়ে উঠেছ।”’
এ ঘটনা প্রসঙ্গে কাজল ‘ম্যাশেবল ইন্ডিয়া’কে দেওয়া আরেকটি সাক্ষাৎকারে জানান, ‘এ ঘটনার সময় আমি করণ-শাহরুখ কাউকেই চিনতে পারছিলাম না। আমি কাঁদতে কাঁদতে তাদের দিকে তাকিয়ে বলছিলাম, তোমরা কে? আমি কোথায়? আমাকে বাড়ি নিয়ে চলো!
‘এ ঘটনায় তাঁরা দুজন একেবারে ঘাবড়ে যায়। কারণ, সে সময় বাড়ি ফেরা ছিল প্রায় অসম্ভব। আমরা তখন মরিশাসে শুটিং করছিলাম।’
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকা ছাড়ার আগে স্ত্রীকে যাত্রী সাজিয়ে চালকের আসনে জার্মান দূত
স্ত্রী বেটিনা টোস্টারকে রিকশায় সওয়ারি বানিয়ে চালকের আসনে বসলেন জার্মান রাষ্ট্রদূত আখিম টোস্টার। চললেন কিছুটা পথও। জার্মানির রাষ্ট্রদূত হিসেবে বাংলাদেশে চার বছরের দায়িত্ব পালন শেষে তিনি আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকা ছেড়ে যাচ্ছেন। রিকশার চালক আর সওয়ায়ির ভিডিও দিয়ে এটাই ছিল জার্মান দূতাবাসের এক্স হ্যান্ডলে আখিমের শেষ পোস্ট।
আখিম ভিডিওতে বলছেন, ‘দারুণ চারটি বছর ঢাকায় কাটিয়ে ফিরে যাচ্ছি বার্লিনে। ঢাকা আর বার্লিনের দূরত্ব মাত্র ৭ হাজার কিলোমিটার।’
ভিডিওতে দেখা যায়, বাসার গেটে একটি রিকশা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন আখিম টোস্টার। পরনে লুঙ্গি ও পোলো টি–শার্ট, মাথায় লাল চেকের গামছা, হাতে ঘড়ি ও পায়ে কালো জুতা। এরপর তাঁর স্ত্রী বেটিনা টোস্টার এলে তিনি হাতে ধরে তাঁকে রিকশায় ওঠান। তুলে দেন তাঁর ট্রলিও। এরপর স্ত্রীকে সওয়ারি করে রিকশা চালিয়ে পথে নামেন জার্মান রাষ্ট্রদূত।
দূতাবাসের এক্স হ্যান্ডলে তাঁদের নিরাপদ জার্মান যাত্রার পাশাপাশি পরবর্তী যাত্রার জন্য শুভকামনা করা হয়েছে।
২০২১ সালের আগস্টে ঢাকায় জার্মানির চতুর্দশ রাষ্ট্রদূত হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন আখিম টোস্টার। ১৯৯০ সালে জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগ দেওয়া এই কূটনীতিক বাংলাদেশের আগে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বেনিনে নিজের দেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। কূটনীতিক হিসেবে আখিম টোস্টার জেনেভা, মাদ্রিদ, বুখারেস্ট, সারায়েভোর জার্মান দূতাবাসে বিভিন্ন দায়িত্বে কাজ করেছেন।