জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় ঢাকার অদূরে আশুলিয়ায় ছয়জন আন্দোলনকারীকে পোড়ানোর ঘটনায় হওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। এই মামলায় ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, ঢাকা রেঞ্জের সাবেক উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) সৈয়দ নুরুল ইসলামসহ পলাতক আট আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

আজ বুধবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-২ এই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন। এই ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারক মো.

মঞ্জুরুল বাছিদ ও বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।

এ মামলায় অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাভার সার্কেলের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলাম, ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহিল কাফী, আশুলিয়া থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ এফ এম সায়েদ (রনি), ঢাকা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) উত্তরের সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন, আশুলিয়া থানার সাবেক উপপরিদর্শক আবদুল মালেক, সাবেক উপপরিদর্শক আরাফাত উদ্দীন, সাবেক উপপরিদর্শক শেখ আবজালুল হক, সাবেক উপপরিদর্শক বিশ্বজিৎ সাহা, সাবেক উপপরিদর্শক কামরুল হাসান ও সাবেক কনস্টেবল মুকুল চোকদার।

শুনানি শেষে আজ দুপুরে প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম বলেন, এ মামলার আট আসামি বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার আছেন। তাঁদের হাজির করতে বলা হয়েছে। অন্য আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। ১৩ জুলাই এ মামলার পরবর্তী শুনানি।

ঘটনার বিবরণ দিয়ে তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের ৫ আগস্ট বেলা তিনটার দিকে আশুলিয়া থানার সামনে পাঁচজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এর বাইরে আরও একজন গুলিতে গুরুতর আহত হন। একজনকে জীবিত ও পাঁচজনকে মৃত অবস্থায় প্রথমে একটি ভ্যানে তোলা হয়। সেখান থেকে পুলিশের একটি গাড়িতে তোলে পুলিশ। পুলিশের গাড়িতে এই ছয়জনকে (যাঁর মধ্যে একজন জীবিত) আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় পুলিশ। এই ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন সাজ্জাদ হোসেন (সজল), আস সাবুর, তানজীল মাহমুদ সুজয়, বায়েজিদ বুসতামি ও আবুল হোসেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

ডাকসু নির্বাচন: চতুর্থ দিনে মনোনয়ন ফরম নিলেন একজন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের চতুর্থ দিনে মাত্র একজন মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। তিনি সদস্য পদে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান ডাকসু নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।

তিনি বলেন, “মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন একজন। তিনি সদস্য পদের জন্য মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। আর একজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত মোট মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছে ৪৩ জন।”

তিনি আরো বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানে হামলার মামলায় আসামিরা ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থী বা ভোটার হতে পারবেন না। ভোটের আগের দিনও খোঁজ পাওয়া গেলে তাদের ভোট থেকে বিরত রাখা হবে।”

ঢাকা/সৌরভ/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাবির হলে চিকিৎসাহীন মৃত্যুর দায় কার
  • সৌন্দর্য সৃষ্টি করতে থাকুন রফিকুন নবী 
  • মাছের ঘের দখল নিয়ে দুই পক্ষের গোলাগুলিতে একজন নিহত
  • সোনালি সাফল্যের আড়ালে ধূসর বাস্তবতা
  • গোমস্তাপুরে ২ শিশুর অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে গুঞ্জন
  • পাথর লুটে জড়িত বড় নেতারা গ্রেপ্তার হচ্ছেন না
  • ‘রুকন না হলে চাকরি থাকবে না’ বিষয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ব্যাখ্যা
  • বিপ্লবের এক বছর পর আশা হতাশায় রূপ নিচ্ছে
  • বগুড়ায় ডিবি পুলিশের ওপর হামলায় আহত ৩, পাঁচজনকে গ্রেপ্তার
  • ডাকসু নির্বাচন: চতুর্থ দিনে মনোনয়ন ফরম নিলেন একজন