চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে ইব্রাহিম বাবু (৩০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে তাঁর পরিবার। বুধবার দুপুরে দর্শনা থানার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ৭৯ নম্বর প্রধান খুঁটির কাছে ভারতের অভ্যন্তরে গুলির এ ঘটনা ঘটে।

ইব্রাহিম বাবুর বাবা মো. নূর ইসলাম বলেন, তাঁর ছেলে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ঘাস কাটতে সীমান্ত এলাকার মাঠে যায়। সেখানে ঘাস কাটার সময় ভুল করে ভারত অভ্যন্তরে ঢুকে পড়লে বিএসএফ তাঁকে লক্ষ্য করে পরপর দুটি গুলি ছোড়ে। এতে ঘটনাস্থলে ইব্রাহিম বাবু মারা যান।

৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো .

নাজমুল হাসান সীমান্তে বিএসএফের গুলিবর্ষণের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঝাঁঝাডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএসফের গুলিবর্ষণের খবর পাওয়ার পরপরই ৩২ বিএসএফের কমান্ড্যান্টের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, বেশ কয়েকজন স্বর্ণ চোরাকারবারি ভারতের ২০০ মিটার অভ্যন্তরে ঢুকে পড়লে বিএসএফ তাঁদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এ ঘটনায় একজন গুলিবিদ্ধ হন এবং অন্যরা পালিয়ে যান। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে সেখানকার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

স্থানীয় একাধিক সূত্রের ভাষ্য, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের ঝাঁঝাডাঙ্গা গ্রামের মো. নূর ইসলামের ছেলে ইব্রাহিম বাবুসহ ৪-৫ জন দুপুর ১২টার দিকে গরুর ঘাস কাটার জন্য ভারতের সীমান্তের কাছাকাছি গালার মাঠে যান। এর কিছুক্ষণ পর স্থানীয় বাসিন্দারা পরপর দুটি গুলির শব্দ শুনতে পান। ইব্রাহিমের সঙ্গে ঘাস কাটতে যাওয়া লোকজন ফিরে এসে ইব্রাহিম বাবুর বাবাকে জানান, বিএসএফের গুলিতে তাঁর ছেলে মারা গেছেন এবং তাঁর লাশ বিএসএফ নিয়ে গেছে।

দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শহীদ তিতুমীর প্রথম আলোকে বলেন, সীমান্তে গুলিবর্ষণের খবর অনেকেই শুনেছেন। যেহেতু গুলিবর্ষণের পর ইব্রাহিম বাবু বাড়িতে ফেরেননি, এ জন্য তাঁর মা–বাবার ধারণা যে তাঁদের ছেলে মারা গেছেন। তবে গুলিবিদ্ধ লাশ দেখেছেন, এমন প্রত্যক্ষদর্শী পাওয়া যায়নি।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এসএফ র

এছাড়াও পড়ুন:

বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ঝাঁঝাডাঙ্গা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে ইব্রাহিম বাবু (৩২) নামের এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। বুধবার দুপুরে সীমান্তের ৭৯ নম্বর আন্তর্জাতিক মেইন পিলারের প্রায় ২০০ গজ ভেতরে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত ইব্রাহিম বাবু দামুড়হুদার ঝাঁঝাডাঙ্গা গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে। তাঁর পরিবারের দাবি, ইব্রাহিম কৃষক। তিনি কোনো চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না।

নূর ইসলাম বলেন, ‘দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আমার ছেলে বাবুসহ চার-পাঁচজন গরুর জন্য ঘাস কাটতে সীমান্তসংলগ্ন গালার মাঠে যায়। অসাবধানতাবশত তারা সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে। এ সময় ভারতের নদীয়া জেলার গেদে ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা ৭৯ নম্বর পিলারের কাছাকাছি গুলি ছোড়ে। গুলিতে বাবু ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায়।’

দর্শনা থানার ওসি শহিদ তিতুমীর বলেন, ‘আমরা নিহতের গ্রামে গিয়ে তাঁর পরিবার ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছি। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা সমকালকে বলেন, ‘বাবু অবৈধভাবে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। বিএসএফের গুলিতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। বিজিবি-বিএসএফ পর্যায়ে আলোচনা চলছে। আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মরদেহ ফেরত আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’

চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হাসান জানান, ঘটনার খবর পাওয়ার পরপরই ভারতের ৩২ ব্যাটালিয়নের বিএসএফ কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা জানিয়েছেন, একটি স্বর্ণ চোরাকারবারি দলের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। নাজমুল হাসান বলেন, ‘আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি আহত
  • বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত