৭০ টাকার ফেসওয়াশ বিক্রি হচ্ছে হাজার টাকায়!
Published: 3rd, July 2025 GMT
রাতারাতি মোটা অঙ্কের টাকা হাতানোর জন্য আমদানিতে মিথ্যা ঘোষণা, আন্ডার ইনভয়েসিং, শুল্ক ফাঁকি, বাজারে মেয়াদোত্তীর্ণ মানহীন পণ্য ঠেকাতে এবং বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে কসমেটিকস পণ্যের ওপর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) যে নতুন শুল্ক নীতি করেছে তা প্রতিরোধ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে অসাধু আমদানীকারকরা।
সম্প্রতি এনবিআর থেকে প্রকাশিত এক তথ্য বিবরণীতে দেখা গেছে, আমদানীকালে একটি বিদেশি ব্র্যান্ডের ফিনিশড গুডস (প্যাকেজিংসহ) হিসেবে আইলাইনার পণ্য সব ধরনের শুল্ক ও পরিবহন ব্যয়সহ খরচ পড়েছে ৪ টাকা ৩১ পয়সা। কিন্তু এই পণ্য বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৯৪০ টাকা। এতে করে সরকার ও ভোক্তারা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে অসাধু আমদানিকারকরা।
ঘটনার বিষয়টি পরোক্ষভাবে স্বীকারও করেছে কসমেটিকস আমদানিকারকদের সংগঠন। সম্প্রতি এক মানববন্ধনে ‘বাংলাদেশ কসমেটিক্স অ্যান্ড টয়লেট্রিজ ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন’ (বিসিটিআইএ) সভাপতি মো.
একইভাবে, তাদের উল্লেখিত, XBC কোকোয়া বাটার ক্রিম (৫০০ মিলিলিটার) www.poundland.co.uk-এ খুচরা বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১.৩৭ ডলারে, যার পাইকারি মূল্য প্রায় ০.৬৮৫ ডলার এবং প্রতি কেজির গড় পাইকারি মূল্য ১.৩৭ ডলারেরও কম। সে অনুপাতে আমদানি ব্যয় ৮২.০২ টাকা হলেও দেশের বাজারে খুচরা এবং অনলাইন (cellsii.com)-এ নূন্যতম ৯৫০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ তারা দাবি করেন এই আন্তর্জাতিক মানের প্রসাধনী পণ্যের প্রকৃত মূল্য বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে পূর্ববর্তী বাজেটে নির্ধারিত ন্যূনতম শুল্কায়ন মূল্যের তুলনায় অনেক কম।
বিষয়টি নজরে আসায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছন অ্যাসোসিয়েশন অব স্কিন কেয়ার বিউটি প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অব বাংলাদেশ-এএসবিএমইবি’র সভাপতি আশরাফুল আম্বিয়া।
তিনি বলেন, “দেশীয় শিল্প সুরক্ষায় এখনই নজর দিতে হবে। সরকার অসাধু দাপট বন্ধ করতে না পারলে দেশীয় শিল্পকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না। আর তাতে করে লক্ষাধিক লোক বেকার হয়ে রাস্তায় নামবে। যা সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংকট তৈরী করবে। দুষ্ট চক্রে প্রভাবিত হলে দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না। ফলে সরকারকে এর জন্য বড় মাশুল গুনতে হবে”
আশরাফুল আম্বিয়া আরো বলেন, “আমদানীকারকরা কসমেটিকস ফিনিশড গুডস হিসেবে পণ্য আমদানি করলেও নীতিমালার ফাঁক গলে শুল্ক পরিশোধ করছেন শুধু মুল উপাদানের। এতে করে বাজারে অসম প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হচ্ছে। ছিটকে পড়ছেন দেশীয় উদ্যোক্তারা, বিনিয়োগে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন অনেকে। কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে পড়ছে নেতিবাচক প্রভাব। শুরুর দিকে আগ্রহ থাকলেও অনেকে এখন আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। বিনিয়োগ হারানোর পাশাপাশি এটি নতুন কর্মসংস্থানের জন্য অশনি সংকেত।”
উৎপাদকরা বলছেন দেশীয় উৎপাদনে সক্ষমতা তৈরী হওয়ার পরও অসৎ উপায়ে আমদানি বন্ধ করতে না পারলে দেশে শিল্পায়ন, বিনিয়োগ সুরক্ষা, নতুন বিনিয়োগ আকর্ষণ ও দেশীয় উৎপাদনশীলতায় স্থবিরতা তৈরী হতে পারে। এতে পরনির্ভরশীলতা থেকে মুক্ত না হয়ে বরং পুরোপুরি আমদানির নামে অসাধু চক্রের কবলে পড়তে পারে দেশ।
এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী শুধু কালার কসমেটিকস খাতে চলতি বছরে আমদানি প্রায় ৫শ কোটি টাকার। আন্ডার ইনভয়েস এবং ওজনে ফাঁকি না দিলে প্রকৃতপক্ষে টাকার অঙ্কে এটি হওয়ার কথা নূন্যতম ১৬শ কোটি টাকা। সে হিসাবে শুধু আমদানিতেই ফাঁকি হচ্ছে প্রায় ১১শ কোটি টাকা। এছাড়া, অসাধুরা নিয়মিত ভ্যাট পরিশোধ করছেন না।
এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী গত অর্থবছরে (২০২৪-২০২৫) সকল আমদানিকারকরা মিলে সরকারকে রাজস্ব দিয়েছে মাত্র ১৭ কোটি টাকা। বিপরীতে উৎপাদক হিসেবে শুধু ১টি প্রতিষ্ঠান দিয়েছে ১০০ কোটি টাকার বেশি।
সংশ্লিষ্টরা বলেন, নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের কোনো মহলের ভূমিকা রহস্যজনক এবং দেশীয় শিল্পবিরোধী। যার কারণে স্থানীয় বিনিয়োগ প্রবল অসম প্রতিযোগীতা ও ঝুঁকির মুখোমুখি হয়েছে বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, কোন কোন মহলের শিল্পায়ন বিরোধী মনোভাব কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে বর্তমান সরকারের যে অগ্রাধিকার নীতি রয়েছে তার পরিপন্থি।
এএসবিএমইবি’র জেনারেল সেক্রেটারি জামাল উদ্দীন বলেন, “এই খাতে এখনই লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান রয়েছে। শুধু সরকারের নীতি সহায়তার অভাবে শিল্পের আকার ও ব্যাপকতা আটকে আছে। আমদানি বিকল্প দেশীয় শিল্পের বিকাশ ঘটলে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হয়। কর্ম️সংস্থান ছাড়াও উপরন্তু, রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জ️ন করা যায়। তাই নীতিনির্ধ️ারণে অগ্রাধিকার তালিকায় শীর্ষে️ থাকা উচিত স্থানীয় বিনিয়োগ সুরক্ষা।” তাছাড়া, কসমেটিকস আমদানি সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ শুল্ক, কর ও ভ্যাট ফাঁকির যে অভিযোগ উঠেছে তা দুদকের দ্বারা তদন্তের দাবি জানান তিনি।
তিনি বলেন, “কতিপয় মানহীন ও ভেজাল পণ্যের ছড়াছড়ির খবর প্রায়শই দেখা যায়। এসব ভেজাল পণ্য ব্যবহার করে ক্রেতারা প্রতারিত হচ্ছেন। পড়ছেন বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে। তাই স্থানীয় উৎপাদনকে নীতি সহায়তা দিয়ে মানসম্মত পণ্য ক্রেতাদের জন্য সুলভ করা জরুরী।”
দেশে গ্লোবাল ব্র্যান্ডের উৎপাদন কার্যক্রম সম্প্রচারণে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানি সহজলভ্য করা গেলে এবং সরাসরি কসমেটিকস পণ্যের আমদানি শুল্কহার বাড়ানো হলে দেশীয় উৎপাদন ও উদ্যোগকে এগিয়ে নেওয়া সহজ হবে মন্তব্য করেন তিনি।
অর্থ️নীতিবিদ ও ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনোমিকস রিসার্চ (এনবিইআর) এর চেয়ারম্যান প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ বলেন, “প্রায় ৩শ’ কোটি ডলারের কসমেটিকস বাজারের শিল্পে বিদ্যমান সম্পুরক শুল্ক ও ভ্যাট স্থানীয় উদ্যোক্তাদের জন্য বৈষম্যের কারণ হবে। কারণ এই শিল্পের বার্ষি️ক গড় প্রবৃদ্ধির হার সাড়ে ১২ শতাংশ। তাই দেশীয় শিল্পে বিনিয়োগ আকর্ষ️ণে নীতি সহায়তা জরুরী। বাংলাদেশে কসমেটিকস ও স্কিনকেয়ার সামগ্রীর বার্ষিক বাজার ২১ হাজার কোটি টাকার ওপরে। এই খাত দেশের সম্ভাবনাময় একটি খাত হলেও আমদানী নির্ভর বিদেশি পণ্যের ভিড়ে দেশি কোম্পানির পণ্যগুলো অনেকটা চ্যালেঞ্জের মুখে।”
সরকারের পক্ষে দেশীয় এসব পণ্য জনপ্রিয় করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও সম্পূরক ভ্যাট, অতিরিক্ত শুল্ক আরোপকে বলা যায় এ খাতে অন্যতম বাধা। বর্ত️মানে স্থানীয় উৎপাদন পর্য️ায়ে মূল্য সংযোজন কর ও সম্পুরক শুল্ক আরোপযোগ্য পণ্যের তালিকায় রয়েছে ওষ্ঠাধার প্রসাধন, চক্ষু প্রসাধন, হাত, নখ বা পায়ের প্রসাধন, পাউডার, সুগন্ধিযুক্ত বাথ সল্ট এবং অন্যান্য গোসল সামগ্রীসহ সংশ্লিষ্ট প্রসাধন সামগ্রী।
এই খাতের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন, কসমেটিকস ও স্কিন কেয়ার পণ্যের কাঁচামাল আমদানির শুল্ক কমালে দেশীয় বাজার আরো সম্প্রসারিত হবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কেননা এসব কাঁচামালের প্রায় ৯০ শতাংশই বিদেশ থেকে উচ্চমূল্যে আমদানি করতে হয়। মিথ্যা ঘোষণায় আমদানি, লাগেজ পার্টি, চোরাইপথে পণ্য এবং নকল ও ভেজাল উৎপাদন বন্ধ করতে না পারলে স্থানীয় উৎপাদন ব্যহত হয়ে পুনরায় আমদানি নির্ভর হয়ে পড়বে এই খাত।
দেশীয় পণ্য উৎপাদনে প্রয়োজনীয় কাঁচামালের শুল্ক হ্রাস, বিদেশি পণ্য আমদানিতে শুল্ক বৃদ্ধি, অবৈধ পথে বাজারে আসা পণ্য ঠেকানো, নকল পণ্য রোধ ইত্যাদি বিষয়ে সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নিলে বাংলাদেশে কসমেটিকস শিল্প খাত অন্যতম শীর্ষ রপ্তানিতে পরিণত হবে বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
ঢাকা/হাসান/ইভা
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আমদ ন ক রকর কসম ট ক এই খ ত র জন য প রক শ ন যতম ধ করত সরক র করছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
ডিপ্লোমা কোটা বাতিলসহ ৩ দাবি রুয়েট শিক্ষার্থীদের
তিন দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৩ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রুয়েট লাইব্রেরির সামনে হাজারো শিক্ষার্থী জড়ো হন। পরে সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তালাইমারি মোড়ে এসে সমাবেশ করেন তারা। এদিকে, বৃষ্টি শুরু হলে তা উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা সেখানেই সমাবেশ অব্যহত রাখেন।
মিছিলে তারা ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘কোটার নামে বৈষম্য, চলবে না চলবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
আরো পড়ুন:
র্যাগিংয়ের অভিযোগে কুবির একটি ব্যাচের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ, তদন্ত কমিটি গঠন
যৌন হয়রানির দায়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তি চান ইবি শিক্ষার্থীরা
শিক্ষার্থীরা জানান, আমরা বেশ কিছুদিন ধরে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের অধিকার আদায়ে আন্দোলন করছি। রুয়েট প্রশাসন বরাবরই আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছেন এবং তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
রুয়েট ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রবিউল ইসলাম সরকার, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. এইচ এম রাসেল প্রমুখ শিক্ষকগণ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেন।
রুয়েট ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রবিউল ইসলাম সরকার বলেন, “প্রকৌশল পেশায় কোটা বৈষম্যের বিরুদ্ধে এই আন্দোলন শুধু শিক্ষার্থীদের নয়, সমগ্র প্রকৌশলী সমাজের। কোটা নামক প্রথা প্রকৌশল পেশাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে এবং শিক্ষার্থীদের বাধ্য করছে রাস্তায় নামতে। এখন সময় এসেছে এই অবিচারের বিরুদ্ধে সুশৃঙ্খল প্রতিবাদ গড়ে তোলার। আমি একজন শিক্ষক হিসেবে মানবিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা থেকেই তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি।”
পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক এইচ এম রাসেল বলেন, “যথাযথ মেধার মূল্যায়ন হলে দেশ আরো দক্ষ প্রকৌশলী পাবে। শিক্ষার্থীদের এ দাবি জাতির উন্নয়নের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত।”
যন্ত্রকৌশল বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তানজিমুল ইসলাম বলেন, “আমরা বেশ কিছুদিন ধরে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের অধিকার আদায়ে আন্দোলন করছি। ১০ম শ্রেণির পোস্টের নামই হচ্ছে ইঞ্জিনিয়ার, সেখানে আমি বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার হয়ে কেনো এপ্রোচ করতে পারবো না? যদি বিএসসি থাকলে আবেদন না করা যায় তাহলে ডিপ্লোমা কিভাবে পারে? আইন যদি হয় তাহলে তো সেটা সবার জন্যই সমান হওয়া দরকার।”
এদিকে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে রুয়েট প্রশাসনের সমর্থন অত্যন্ত প্রশংসনীয়। রুয়েটের সাম্প্রতিক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ১০ম গ্রেড বিএসসি ও ডিপ্লোমা উভয় ডিগ্রিধারীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে, যা আন্দোলনের দাবিগুলোর একটির প্রথম বাস্তবায়ন।
আন্দোলনকারীরা জানান, তাদের আন্দোলন কোনো বিশেষ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নয়। বরং প্রকৌশল পেশাকে মর্যাদা ও মেধার ভিত্তিতে গড়ে তুলতেই তারা যৌক্তিক প্রতিবাদ করছেন। প্রকৌশল খাতে দীর্ঘদিনের অবিচার ও বৈষম্যের অবসান ঘটাতে এখনই প্রয়োজন একটি জাতীয় স্তরের সংস্কার। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলমান থাকবে এবং সারাদেশে সচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে পরবর্তী কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
বিক্ষোভে উত্থাপিত তাদের তিনটি দাবি হলো- ইঞ্জিনিয়ারিং নবম গ্রেডে সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং বিএসসি ডিগ্রিধারী হতে হবে, কোটার মাধ্যমে কোনো পদোন্নতি নয়, এমনকি অন্য নামেও সমমান পদ তৈরি করেও পদোন্নতি দেয়া যাবে না; টেকনিক্যাল দশম গ্রেডে উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদ সবার জন্য উন্মুক্ত করতে হবে অর্থাৎ ডিপ্লোমা ও বিএসসি উভয় ডিগ্রিধারীকে পরীক্ষার সুযোগ দিতে হবে; ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ডিগ্রি ছাড়া কেউ ইঞ্জিনিয়ার পদবি ব্যবহার করতে পারবে না, এই মর্মে আইন পাশ করে গেজেট প্রকাশ করতে হবে।
ঢাকা/মাহাফুজ/মেহেদী